নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 551 বার পঠিত
পণ্যের যথাযথ মান অনুসরণ না করায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ১৭ ব্র্যান্ডের পণ্য। একই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।
খোলাবাজারে সার্ভিল্যান্স অভিযান চালিয়ে পণ্য কিনে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে বাংলাদেশ মানের (বিডিএস) থেকে নিম্নমান হওয়ায় এসব পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি পরবর্তীতে ওই পণ্যসমূহের মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচারে বিরত থাকা এবং উৎপাদনকারীদের বাজার থেকে বিক্রিত মালামাল প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিএসটিআই থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রমজান উপলক্ষে সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে সংগৃহীত নিম্নমানের পণ্যের প্রতিষ্ঠান, পণ্য এবং ব্র্যান্ডের নাম: চট্টগ্রামের কল্পনা কমোডিটিস কোম্পানির এপি-১ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের চিটাগাং ফ্লাওয়ার মিলস-এর অ্যাংকর ব্র্যান্ডের সুজি, যশোরের আল আমিন বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারির আল আমিন ব্র্যান্ডের লজেন্স, ঢাকার মি. বেকার অ্যান্ড পেস্ট্রি শপের মি. বেকার ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ফরিদপুরের সেফ ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবা ব্র্যান্ডের চিপস (পটেটো), কক্সবাজারের রিয়াদ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বঙ্গ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের আর এম ব্র্যান্ডের ঘি, বগুড়ার জিনিয়াস সেফ ফুড অ্যান্ড কনজ্যুমারের জিনিয়াস স্পেশাল ব্র্যান্ডের ঘি, সয়াবিন তেল ও হলুদের গুঁড়া; বগুড়ার সীমা ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের সীমা ব্র্যান্ডের সুজি, গাজীপুরের জি এম ফুড প্রোডাক্টসের এবি-১ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ও রাজা ব্র্যান্ডের ঘি, গাজীপুরের শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্টসের নুরজাহান ব্র্যান্ডের বাটার, শরীয়তপুরের মাদার ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের বেস্ট-১ ব্র্যান্ডের ঘি, মৌলভীবাজারের শাহী ফুড প্রোডাক্টসের শমসের নগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি এবং একটি নাম ঠিকানাবিহীন ড্রামের লুজ সয়াবিন তেল।
পণ্যের মান সনদ প্রদানের পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে কি-না তা যাচাই করার জন্য বছরব্যাপী নিয়মিত সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে থাকে। রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা যেন ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ও পানীয় প্রস্তুত এবং বিপণন থেকে বিরত থাকে সে লক্ষ্যে আগে থেকেই সার্ভিলেন্স জোরদার করা হয়।
এ বছর রমজান মাসে ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২ মাসে ইফতার ও সেহরির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্য সার্ভিলেন্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহপূর্বক বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৫২১টি, পরীক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে-২৫৩টির। এরমধ্যে মানসম্মত নমুনা- ২৩৬টি, নিম্নমানের নমুনা- ১৭টি এবং পরীক্ষাধীন রয়েছে- ২৬৮টি নমুনা।
উল্লেখ্য যে, দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন এবং মানোন্নয়নের পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের মান সংরক্ষণও বিএসটিআইয়ের অন্যতম দায়িত্ব। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কাজ হচ্ছে, প্রসেসড ফুড এবং শিল্পজাত পণ্যের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ ও মানসনদ প্রদান। সরকার বিভিন্ন সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ১৮১টি পণ্যকে বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক মানসনদের আওতাভুক্ত করেছে। এসব পণ্যের মানসনদ প্রদানের পাশাপাশি ক্রেতা-ভোক্তার বৃহত্তর স্বার্থে এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে পণ্য ও সেবার গুণগতমান বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে আসছে।
Posted ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan