নাসির আহমাদ রাসেল | মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২ | প্রিন্ট | 244 বার পঠিত
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: ইতিমধ্যে ইসলামি বীমা বিধিমালা’র একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে আইডিআরএ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামি বীমাকে জনপ্রিয় এবং শরীয়াহর আলোকে পরিপূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য করতে এই বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কতটা জরুরি বলে মনে করেন?
এস এম শাকিল আখতার: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে বীমা খাতের উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থে ইসলামি শরীয়াহভিত্তিক বীমা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে ইসলামি বীমার কার্যক্রম রয়েছে। যা ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অগ্রগতি এবং ইসলামি শরীয়াহভিত্তিক বীমা গ্রহণে জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতেই বীমা আইন ২০১০ এ ইসলামি বীমার বিষয়টি আনা হয়েছে। বীমা আইন ২০১০ এর ৭ ধারায় ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত বীমা ব্যবসার কথা বলা হয়েছে।
একই আইনের ১৪৬ ধারায় আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইসলামি বীমা বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই এই বিধিমালা হচ্ছে। আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যেই বিধিমালা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইসলামি বীমা ব্যবস্থা কী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
এস এম শাকিল আখতার: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইসলামি বীমা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যেহেতু ইসলামি বীমা একটি সুদমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। বাংলাদেশের যেসব ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বীমার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ নেই, শরীয়াহভিত্তিক হওয়ায় তারাও এই আর্থিক কার্যক্রমে সংযুক্ত হবেন। তারাও বীমা সুরক্ষায় এসে, সঞ্চয় করতে আগ্রহী হবেন। ফলে সমাজে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়বে,দারিদ্রতা হ্রাস পাবে।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Posted ১:১৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy