নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 414 বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : অডিট আপত্তি নিয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনা মেনে শেষ কিস্তির এক হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন। এ নিয়ে গ্রামীণফোন দুই হাজার কোটি টাকা বিটিআরসিতে জমা দিল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) গ্রামীণফোনের একটি প্রতিনিধি দল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান জহুরুল হকের হাতে সমমূল্যের পে-অর্ডার তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, অডিট আপত্তির ফলে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা ছিল ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আপিল বিভাগের নির্দেশে (৩ মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা) গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোন বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করে।
টাকা জমা হওয়ার পরে অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আজ (মঙ্গলবার) গ্রামীণফোন একহাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে। যদিও এই টাকা ৩০ মের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই টাকা জমা দেওয়ায় গ্রামীণফোনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই টাকা পাবলিক ডিমান্ড। রাষ্ট্রীয় টাকা। এই টাকা না দেওয়ার কোনও উপায় নেই। দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। গ্রামীণফোনের পরিশোধ করা এই টাকা সরকারের অনেক কাজে লাগবে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই টাকাটা জমা দিতে পেরেছি। দেশের এই দুর্যোগে টাকাটা কাজে লাগবে জেনে আমরা আন্দিত।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার পর থেকেই গ্রামীণফোন বিটিআরসি থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছে। এখন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণের জন্য ইকুইপমেন্ট (নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ) খুবই প্রয়োজন। কিছু চলে এসেছে। কিছু আসার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমরা সামনে আরও ভালো সেবা দিতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্যরা।
অবশিষ্ট বকেয়া আদায় বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী যৌথভাবে বলেন, করোনা সংকট কেটে গেলে আমরা উভয়পক্ষ বসবো। একটা সমাধানে পৌঁছাবো। এজন্য আমাদের সহযোগিতা করছে ফিন্যান্স ডিভিশন। তারা হিসাব করে আমাদের জানাবে। কম বেশি যাই হোক আমরা মেনে নেবো।
Posted ৯:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan