শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কড়াকড়ি

বিবিএনিউজ.নেট   |   বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   766 বার পঠিত

সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কড়াকড়ি

সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। এখন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগবে। একইভাবে কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগবে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদিও এ নিয়ম আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এতদিন তা সবক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার যে পরিমাণ অর্থ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, বছরের অর্ধেক সময়েই তার চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছেন সাধারণ মানুষ। ফলে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণের বোঝা বড় হচ্ছে, সুদ বাবদ অর্থ পরিশোধের দায় বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিল পর্যন্ত অর্থবছরের ১০ মাসেই বিক্রি হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। ওই সময়ে সামগ্রিকভাবে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্রে ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে ব্যাংক ব্যবস্থায় আমানত সরবরাহ কমছে। এ অবস্থায় সরকার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যাতে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে কেউ সরকারের দেওয়া এই বিশেষ সুবিধা নিতে না পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগ ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বাস্তবায়ন করছে। প্রথমে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে বাস্তবায়ন হলেও গত ৩০ জুন থেকে দেশের সবখানে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থার লেনদেন বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিদিন সারাদেশে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এ জন্য এখন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ এর বিধি-৫ এর উপবিধি-৫ অনুযায়ী কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগবে। কর কমিশনার নিশ্চিত করবেন যে, ওই অর্থ কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের। একইভাবে কৃষিভিত্তিক ফার্মের অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রত্যয়ন দেবেন উপ-কর কমিশনার।

উল্লেখ্য, কোনো প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারে না। সরকার জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কল্যাণে গড়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্ম অর্থাৎ মৎস্য, পোলট্রি, পোলট্রি ফিড, বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ খামার, উদ্যান ও রেশম জাতীয় কৃষি ফার্মের আয়ের ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11389 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।