নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট | 301 বার পঠিত
বছরজুড়েই সঞ্চয় বিমুখ প্রবণতার কারণে গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ কমেছে ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৯-২০) মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু তার আগের অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেই হিসেবে অর্থবছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ।
গত কয়েক বছর ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছিল। ওই বিক্রিতে লাগাম টানতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে বেশ কিছু শর্ত ও বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ফলে গত বছর কমতির দিকেই ছিল সঞ্চয়পত্র বিক্রি। সম্প্রতি করোনা মাহামারিতে সঞ্চয়তো দূরের কথা উল্টো সঞ্চয় তুলে নিচ্ছেন অনেক গ্রাহক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মার্চ থেকে দেশে করোনা
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের (২০১৯-২০) মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নিলেও বিক্রি কমতে থাকায় পরবর্তীকালে তা কমিয়ে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা ধরা হয়।
বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রে একজন ব্যক্তি একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা, যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যায়।
দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্যৎ তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এছাড়া এখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র লাগে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এসব কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Posted ১:১৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan