বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 369 বার পঠিত
পুঁজিবাজারের ওটিসি বা ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২১ কোম্পানির ওপর বিশেষ নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বাজারে তালিকাভুক্ত আরো ৪৩ কোম্পানির বিষয়ে সার্বিক প্রতিবেদন তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়।
ওটিসি মার্কেটে হচ্ছে মূল বাজার থেকে আলাদা লেনদেনের একটি প্লাটফর্ম। এ প্লাটফর্মে শেয়ারের ক্রেতা-বিক্রেতা থাকে খুবই সীমিত। নিয়মিত লেনদেনও হয় না। মাঝেমধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির কিছু কিছু শেয়ারের লেনদেন হয়ে থাকে। বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি বাজারে ৬৪টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। বিএসইসির হিসাবে, এর মধ্যে ২১ কোম্পানির কার্যক্রম সচল রয়েছে। আর বাকি ৪৩টি কোম্পানি বলতে প্রায় অস্তিত্বহীন।
বিএসইসির ওই আদেশে আরো বলা হয়, বিশেষ নিরীক্ষা ও বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরির কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় কোম্পানিগুলোর সব ধরনের সম্পত্তি বিক্রি, স্থানান্তর, বন্ধক ও যে কোনো ধরনের পরিবর্তনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি, স্থানান্তর, বন্ধক রাখার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যা ওইসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশা জাগাবে।
বিএসইসির আদেশে যে ২১ কোম্পানির কার্যক্রম সচল রয়েছে সেগুলোর ওপরই বিশেষ নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির নিজস্ব খরচে বা স্টক এক্সচেঞ্জের খরচে বিশেষ এ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। আর যে ৪৩ কোম্পানি অস্তিত্বহীন সেগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে। কোম্পানিগুলোর জায়গা-জমি, সম্পত্তি কী কী আছে তার বাজারমূল্যসহ কোম্পানিগুলোর বর্তমান অবস্থা, আর্থিক তথ্যসংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করে ৪৩ কোম্পানির ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরির জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওটিসিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের মুনাফা পাচ্ছেন না। এমনকি কোম্পানিগুলোও যথাযথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা তাদের সব অর্থ খুইয়েছেন। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ পদক্ষেপ সময়োচিত ও পুঁজিবাজারবান্ধব বলে আশা করা যায়।
Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed