বিবিএনিউজ.নেট | শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 468 বার পঠিত
সরকারি সংস্থার অর্থ আমানত হিসাবে রাখার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারবে না। এসব আমানত ৬ শতাংশ বা এর কম সুদে রাখা যাবে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
যেসব ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়েছে, তারাই শুধু এই টাকা পাবে। যারা নামায়নি, তারা সরকারি আমানত পাবে না। ঋণের সুদের হার কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের মাত্র ১৯ দশমিক ২১ শতাংশ সরকারি খাতের। এর মধ্যে সরাসরি সরকারি খাতের আমানত ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সরকারি অন্যান্য (স্বায়ত্ত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত) সংস্থার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বাকি ৮০ দশমকি ৭৯ শতাংশই হচ্ছে বেসরকারি খাতের আমানত।
ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে ১০ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের আমানত হচ্ছে আট লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারি খাতের মোট আমানত হচ্ছে দুই লাখ আট হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি আমানত ৬৭ হাজার ৫৭৬ লাখ কোটি টাকা এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার আমানত এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, মোট আমানতের মধ্যে সরকারি আমানতের পরিমাণ খুবই কম। ফলে এই আমানত ঋণের সুদের হারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। এ কারণে সরকারি খাতের আমানত প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে সরকারের বৈদেশিক তহবিল টাকায় রূপান্তর করে ব্যাংকে আমানত হিসাবে রাখা হবে। অন্য আরও যেসব তহবিল থাকে, সবই ব্যাংকে রাখা হবে। এতে টাকার প্রবাহ ব্যাংকমুখী হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ মানি হিসেবে যেসব অর্থ নিজেদের কাছে রাখে, তা থেকেও কিছু অর্থ বাজারে ছাড়া যাবে। সব মিলে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়বে।
এসব আমানত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নোটিশ আমানত, সঞ্চয়ী হিসাব, স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা রাখা হবে।
Posted ৫:১৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed