মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ | সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট | 634 বার পঠিত
১৯৮৬ সালের ২৬শে মার্চ প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মাধ্যমে বীমা শিল্পে আমার পদার্পন। বীমার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করতে করতে ২৮ বছর পর ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডে ২০১৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে কর্মরত আছি। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বীমা শিল্পে যারা কর্মরত আছেন এবং বীমা শিল্পের যে অস্থিরতা বর্তমানের বিরাজমান ও বীমা পেশায় যারা আসতে আগ্রহী তাঁদের সাথে শেয়ার করার জন্যই এই লেখা।
বীমা পেশার সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সততা, দৃঢ়তা, ধৈর্য্য, সাধনা ও একাগ্রতা। পেশার প্রতি সম্মান, শিক্ষা, জানার আগ্রহ ও সফলতার জন্য কাজ করে যাওয়া। নিজেকে এবং পেশাকে অন্যদের কাছে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দতার সাথে উপস্থাপন করা।
বীমা ব্যবসা একদিনে হয় না। সবাই সফলকামও হয় না, কি লাইফ কি নন-লাইফ। ঝঁরে পরা লোকের সংখ্যাই বেশী, গুটি কয়েক লোক কেবল সাফল্যের হাসি হাসতে পারেন। এই কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বা শিক্ষিত তরুণ, তরুণী এই পেশায় কাজ করতে আগ্রহী হয় না। কারণ শিক্ষা জীবন শেষ করার পর কেউই পরিবার পরিজনের কাছে হাত পাততে চায় না। তাই বীমা পেশার মতো কঠিন পেশায় তাঁদের জীবনের কয়েকটি বছর “ট্রাই এন্ড এরর”-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। সবাই নিশ্চিত জীবন চায়, মাস শেষে নির্ধারিত বেতন চায়, রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায়। টার্গেট বিহীন স্বাছন্দ জীবন চায়। কিন্তু বীমার জীবনতো ছোট বড় সকলকেই টার্গেটের পিছনে ছুটিয়ে ছাড়ে। তাইতো সবাই সফল হতে পারে না।
আমাদের দেশে বীমা নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা হয়। কারণ বীমায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর আনাগোনা কম। নন-লাইফ বীমার ব্যবসা চলে রেফারেন্সে, চলে কোন শিল্পগোষ্ঠীর আর্শিবাদে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের খেয়াল খুশিতে। তাই এদেরকে সুবিধা দিতে না পারলেই বীমা সম্পর্কে এতো নেতিবাচক কথা হয়।
ট্যারিফ সংশোধন কমিটি গার্মেন্টস-এর ফায়ার ট্যারিফ সংশোধন করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর জন্য ফায়ার এন্ড আর.এস.ডি প্রিমিয়ামের যে রেট দিয়েছেন তা পূর্বের রেট থেকে বর্তমানে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম হওয়াতে বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে খুশী করতে বীমার প্রিমিয়াম হার বিদেশের অনুকরণে কমানো হয়েছে তা মোটেও যুক্তিযুক্ত হয়নি। সব কাজে বিদেশী ভাবধারা অনুসরণ দেশের বা শিল্পের জন্য সুখকর হয় না। ট্যারিফ সংশোধন কমিটির বিজ্ঞজনেরা দেশের বীমা শিল্পের কথা বিবেচনায় নিলে ট্যারিফ সংশোধনের কারণে এই বছর থেকে বীমা শিল্পের প্রিমিয়াম আয় প্রায় ১(এক) হাজার কোটি টাকা কম হতো না। তারপরেও প্রিমিয়াম আন্ডারকাট (বিদেশ থেকে প্রিমিয়াম রেট এনে) ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে কিছু কিছু কোম্পানী নিজেরা সুবিধাভোগ করছে আর সরকার ট্যাক্স, ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই কারণে মার্কেটে বীমা সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।
ট্যারিফ সংশোধনের পরেও ব্যবসায়ীদের চাপে বীমা কোম্পানীগুলো বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এজেন্ট কমিশনটাও বীমা গ্রহীতাদের দিয়ে দিচ্ছে। এটাই বর্তমান বাজারের বাস্তবতা। কমিশন বন্ধ করার জন্যই ট্যারিফ সংশোধন করা হয়েছে। যা প্রমান করে অতীতের মতো এবারও মস্ত বড় ভুল হলো।
এমতাবস্থায় আমরা যারা নন-লাইফ বীমায় কাজ করছি তাঁদের অবস্থা তথৈইবচ। আমরা ব্যবসায়ী, ব্যাংকারদের খুশি করতে করতে বেতনের টাকাটাও নিয়ে বাসায় যেতে পারি না। বাঁচ্চা-কাঁচ্চাদের লেখাপড়া, সংসার খরচ, অসুখ-বিসুখ তারপরে করোনার প্রভাব সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা। সবাই যার যার মতো বাঁচার জন্য একে অন্যের ব্যবসা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে অবিরত অথচ বিআইএ’র নির্দেশনার পরেও কোন পরিবর্তন আসছে না। সবাই যেন অবৈধ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। বিআইএ’র পরিচালনায় থেকে বীমা কোম্পানীগুলোকে যারা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তাদের কোন কোন কোম্পানীর নামও এই কাজে যুক্ত আছে বলে মার্কেটে শোনা যায়।
মার্কেট সার্ভে করে এতো নির্দেশনার পরেও যারা বীমা বাজার অস্থির করে তুলেছে তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে মার্কেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। ছোট বেলায় পড়েছিলাম চোর ধরতে চোর নিয়োগ দিতে হয়। আজ সেকথা সত্যি বলে মনে হচ্ছে।
এমন অবস্থায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কমিশন বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই প্রয়োজন সকল বীমা কোম্পানীকে ভিজিল্যান্স টীমের মাধ্যমে পরিদর্শন করিয়ে বীমা শিল্পের বাস্তব অবস্থা নিরূপণ করে টেকসই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা; যাতে অবৈধ ও অনৈতিক প্রতিযোগীতা বন্ধ করা যায়। বীমা শিল্পে যারা কাজ করছেন তাঁরা যেন আত্ম-মর্যাদার সাথে কাজ করে এ শিল্পকে উন্নতর দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত ৬৪ নং সার্কুলারটি বীমা শিল্পের আর্থিক মানদন্ডকে উন্নত করেছে। তারপরেও বিআইএ’র মিটিং-এ শোনা যাচ্ছে কোন কোন কোম্পানী ঐ সার্কুলারের নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বাজারে অর্থ সরবরাহ করে বাজারকে অস্থির করে তুলছে। তা সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
কেননা আমাদের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয় পেশায় একজন হিসাব বিশেষজ্ঞ (চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট), অর্থনীতি এবং বীমা পেশার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সবিশেষ অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ আজ তিনি একজন সত্যিকার পেশাজীবি হিসাবে এই উচ্চতর পদে আসীন হয়েছেন। তাঁর টিমে অত্যন্ত মেধাবী সদস্যবৃন্দ, পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালকগণ আছেন। যারা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আজ বীমা শিল্পের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে সরকারের রাজস্ব খাতকে চাঙ্গা করার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
নন-লাইফ বীমায় বর্তমান ইস্যুকৃত সার্কুলার নং-৭৫ এবং ৭৮ বীমা শিল্পকে ভালো করার আরো একটা সুন্দর পদক্ষেপ। আমরা চাই সার্কুলার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বীমা পেশায় বিশেষ করে যারা উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে বিভিন্ন পদে কাজ করছেন তাঁদের সম্মানজনক অবস্থা বজায় রেখে কিভাবে শিল্পে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে বীমার সাথে জড়িত সকল পক্ষকে উদার মনোভাব নিয়ে সঠিক এবং বাস্তব সম্মত মতামত দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট নিবেদন শিল্প বিকাশে এখন দরকার দক্ষ হাতে নার্সিং ও দক্ষ জনশক্তি তৈরী করে পেশার মান উন্নয়ন ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে বীমা পেশাজীবিদের উদ্ধারে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া। ছোট বড় কোম্পানী বাছ-বিচার না করে সকলের প্রতি সমান মনোভাব দেখানো। কেউ যেন নিগৃহীত বা অযাচিত নির্যাচিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। সর্বক্ষেত্রে অফিসিয়াল সহমর্মিতা ও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে শিল্পের উন্নয়নের জন্য সকলকে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা। তা হলে অবশ্যই শিল্পের নিয়ন্ত্রণ আসবে। আমাদের মনে হয় বর্তমানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের যে টিম রয়েছে তাঁরা সকলেই এই ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ এবং তাঁরা সফলকাম হবেন ইনশা-আল্লাহ।
বীমা পেশায় বড় কোম্পানীর তুলনায় ছোট কোম্পানীগুলোতে আনুপাতিক হারে বেশী লোক বীমা ব্যবসা সংগ্রহে কাজ করে থাকেন। বড় কোম্পানীগুলো সেবায় এবং মানে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানীর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানীগুলো খুব কষ্ট করে ছোট ছোট অনেক কর্মীর মাধ্যমে ব্যবসা সংগ্রহ করে থাকে। যা বড় কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। তাই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রিমিয়াম আয়ের ১০% দিয়ে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানীর পক্ষে কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার বড় কোম্পানীর জন্য ১০% অনেক টাকা। যা অনৈতিক কাজ করতে সহায়ক হবে। এর ফলে তৃতীয় প্রজন্মের কোম্পানীগুলোর টিকে থাকা দায়। এই ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ন্যায় প্রিমিয়াম আয়ের ভিত্তিতে বেতনের স্লাব করে দেয়া যায় কিনা তা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন সংস্থা এই মর্মে ৩০/০৯/২০২০ইং তারিখে এক সার্কুলার ইস্যু করেছে যে, “তৃতীয় পক্ষীয় বীমা ঝুঁকি না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা করার সুযোগ নেই”। আমরা জানি পুলিশ বীমার জন্য মামলা না করলে কেউ তা করতে আগ্রহী হয় না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার সার্কুলারের বলে সকল ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি বীমা বন্ধ প্রায়।
অনেক কোম্পানীই বিআরটিএ অফিসকে ঘিরে তাদের শাখা বা বুথ দ্বারা বীমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সার্কুলারের ফলে সে সকল অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেকার হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে ভেবে দেখা দরকার।
সম্প্রতি চালুকৃত “ইউএমপি” বীমা শিল্পে স্বচ্ছতার মানদন্ডে বিরাট ভূমিকা পালন করছে সত্যি। কিন্তু সে সেবা বীমা গ্রহীতাগণ সত্যিকার ভাবেই পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ খবর নেয়া উচিত। তা ছাড়া নন-লাইফ বীমার পলিসির পিরিয়ড হলো এক বছর। তার জন্য কোয়ার্টারলী ইউএমপি চার্জ প্রদান করা যুক্তিসঙ্গত কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার। খরচকে নিয়ন্ত্রণ করেই আমাদের শিল্পে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে হবে।
বর্তমান পৃথিবীতে শিক্ষা, পরিশ্রম, মেধা, দক্ষতা, প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মাধ্যমেই অর্থনীতির চাকা ঘুর্নীয়মান রাখতে হয়। বীমা ব্যবসায় কাউকে বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ নেই। যার যার ক্ষেত্রে তাকে কাজ করে প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে। সকলের সার্বিক সহযোগীতার মাধ্যমে বীমা শিল্প এগিয়ে যাবে।
তাই বীমা পেশায় জড়িত আমার বন্ধু, সহকর্মীদের কাছে করজোড়ে আবেদন আসুন আমরা সকলেই নীতি ও নৈতিকতার চর্চা করি। উন্নয়ন কর্মকর্তা ও এজেন্ট এই দ্বৈত সত্ত¡ার মাঝে একটি মধ্যম পন্থা বাহির করে শিল্প রক্ষায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করি। এই ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন-এর যৌথ যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং তা পরিপালনে আমাদের নৈতিক সমর্থন বীমা শিল্পকে আমাদের দেশে সর্বাধিক স্বচ্ছতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা জাতির জনক এই পেশার লোক ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বীমা পরিবারের সদস্য। ১লা মার্চ ২০২০ বীমা দিবসে তিনি কথার ছলে অবসর সময়ে বীমা শিল্পে যোগদানের জন্য আশা ব্যক্ত করেছেন। আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয়ও হিসাব বিজ্ঞানে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, মেধায়, মননে একজন প্রজ্ঞাবান চৌকস ব্যক্তিত্ব। বীমার প্রতি যার ছোট বেলা থেকে পান্ডিত্য রয়েছে এবং পরিনত বয়সে সরাসরি বীমা ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন। তাঁর সমর্থন ও সহযোগীতা আজ আমাদের বড় বেশী প্রয়োজন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে আমাদের দেশের বীমা পেশাজীবীরা আর দশটা দেশের বীমা কর্মজীবিদের মতো নিজ পেশার স্বীকৃতি বর্তমান কর্তৃপক্ষের হাত ধরেই পাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বীমা পেশায় জড়িত সকলের মঙ্গল কামনা করে ইতি টানলাম।
লেখক : ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোং লি.
Posted ৩:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed