আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বুধবার, ০৬ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 366 বার পঠিত
অর্থনীতিতে করোনার চাপ কমানো এবং বেসরকারি খাতকে ঝাঁকুনি সামলে উঠায় সহায়তা করতে সৌদি আর বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত দেশটির নাগরিকদের পাশাপাশি সেখানে কর্মরত লাখ লাখ প্রবাসীর বড় দুঃসংবাদ হয়ে উঠেছ্।ে এসব সিদ্ধান্তে একদিকে তাদের বেতন কমাসহ চাকুরিচ্যুত হতে পারে।
সম্প্রতি সৌদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলেও এটি এখনো সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। কিন্তু দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা একটি কপির ভিত্তিতে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে স্থানীয় আল শারক পত্রিকা। আর এর ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা গালফ নিউজ।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে। চুক্তিতে যা-ই থাকুক না কেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বৈধ বলে গণ্য হবে। তবে প্রথম পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য কার্যকর থাকবে।
অন্যদিকে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাভাইরাসের প্রকোপের ৬ মাস পর থেকে শর্তসাপেক্ষে যে কোনো সময় যে কাউকে ছাঁটাই করতে পারবে। আগের করা চুক্তির ভিত্তিতে আদালতে যেতে পারবেন না ছাঁটাই হওয়া কোনো কর্মী।
যেসব প্রতিষ্ঠান করোনায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ সহায়তা পেয়েছে বা পাবে, তারাও বেতন কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। কোনো কর্মীর বেতন কমানো না হলে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার ৬ মাস পরে যে কোনো সময় তাকে ছাঁটাই করা যাবে। আর বেতন কমানো হয়ে থাকলে ছাঁটাইয়ের জন্য বেতমন কমানোর পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কর্মীর প্রাপ্য বার্ষিক ছুটির বিষয়টি সমন্বয় করতে হবে। আর কোম্পানি সত্যিই বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এমন প্রমাণ থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম প্রধান বাজার সৌদি আরবে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে বিপুল সংখ্যক প্রবাসি বাংলাদেশিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাতে আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহে তা ফেলবে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব।
এর আগে জানা গিয়েছে, সৌদি সরকার তাদের ভিশন ২০৩০ কর্মসূচির বাস্তবায়নসহ নানা কারণে সে দেশে অবস্থানরত প্রবাসী জনশক্তির পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে চায়। এর অংশ হিসেবে দেশটি কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে চাপ দিতে শুরু করেছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। সরকার বিষয়টি মনে নিয়ে একেবারে সব প্রবাসীকে ফেরত না পাঠিয়ে আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যাযক্রমে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে। এর মধ্যেই জানা গেল বেতন কমানোর খবর।
Posted ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan