শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x
ডিএসসিসিতে দুর্নীতিমুক্ত ও শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে

৬ হাজার ৭৪১কোটি টাকার বাজেট দিলেন মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২   |   প্রিন্ট   |   166 বার পঠিত

৬ হাজার ৭৪১কোটি টাকার বাজেট দিলেন মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেছেন,‘ দায়িত্ব গ্রহণের পর এই সংস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত ও শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যক্রম জবাবদিহিতামূলক করা হয়েছে। নগরবাসী এখন আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নগরবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, আর্থিক ভঙ্গুর অবস্থা ও দেনায় জর্জরিত এই সংস্থা এখন নিজস্ব অর্থে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে। সমুদ্বয় বকেয়া বিল ও দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।’

মেয়র বলেন, ‘এই সংস্থার কতিপয় দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করত না। তাদের হোল্ডিং এর ট্যাক্স ধার্য পর্যন্ত করা হতো না। ৬০-৭০ দশকের তৈরি অনেক ভবন এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও এতোদিন ট্যাক্স দেননি। কিন্তু এবার ওইসব মালিক এবং প্রতিষ্ঠান হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। গত অর্থবছরে প্রায় ৮৭৯ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে একটি ভঙ্গুর করপোরেশনকে ঢাকাবাসীর আস্থায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধা নিরসনে এই সংস্থা নিজস্ব অর্থে পুরনো খাল,উদ্ধার এবং পরিস্কারের কার্যক্রম শুরু করায় এখন আর জলাবদ্ধার ভয় নেই।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নগরভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন। মেয়র এবার সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তায় প্রকল্প নির্ভর ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন।বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদসহ কাউন্সিলর, বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ১৫ মে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস মেয়র ডিএসসিসির দায়িত্ব গ্রহণের পর এবার তৃতীয় বাজেট ঘোষণা করলেন। গত ২৬ জুলাই নগর ভবনের ডিএসসিসির করপোরেশন সভায় সর্বসম্মতভাবে এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের অংশের প্রারম্ভিক স্থিতি ধরা হয়েছে ৫৯৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, রাজস্ব আয় ১ হাজার ২০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, অন্যান্য আয় ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, সরকারি থোক ও বিশেষ বরাদ্দ ৬৫ কোটি এবং সরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে প্রকল্প ভিত্তিক আয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮১৬ কোটি ৯ লাখ টাকা।

মেয়র শেখ তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৩১ কোটি ৫২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আজ (৪ আগস্ট) ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন।

বাজেটে ব্যয়ের খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; ডিএসসিসি পরিচালনায় মোট ব্যয় ৪৮৯ কোটি টাকা,অন্যান্য ব্যয় ৭৫ কোটি টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন ব্যয় ৭৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তায় উন্নয়ন ব্যয় ৪ হাজার ৮১৬ কোটি টাকাসহ মোট ব্যয় ৫ হাজার ৬০৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং সমাপনী স্থিতি রাখার টার্গেট ৫৬৮ কোটি ৬৯ লাখা টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের নিজস্ব উৎসের মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৫০ কোটি টাকা, বাজার সেলামী ২০০ কোটি টাকা, বাজার ভাড়া ৩৫ কোটি টাকা, ট্রেডলাইসেন্সের আয় ১৫০ কোটি টাকা, রিকশা লাইসেন্স ফি আদায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা,বিজ্ঞাপনী খাত থেকে ১৫ কোটি টাকা, মোবাইল টাওয়ার থেকে ৮ কোটি টাকা, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ১০ কোটি টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে ১৫০ কোটি টাকা, বাস ও ট্রাক টার্মিনাল থেকে ১৬ কোটি টাকা, কোরবানীর অস্থায়ী পশুর হাট থেকে ২২ কোটি টাকা, টয়লেট ও কাঁচা বাজার ইজারা থেকে ৩০ কোটি টাকা,‘পিসিএসপি’ ও চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহকারীদের বার্ষিক নিবন্ধন ফি থেকে ১২ কোটি টাকা, রাস্তা খনন ফি ৪০ কোটি টাকা, ব্যাংক সুদ-মেট্রোরেল-পদ¥াসেতুসহ অন্যান্য খাতের আয় ২০ কোটি টাকা, স্থায়ী আমানতের ওপর সুদ ৪৫ কোটি টাকা, সরকারি মঞ্জুরি (থোক) ৪০ কোটি টাকা এবং সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি ২৫ কোটি টাকা। এছাড়া আরও অন্যান্য উৎস ও খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজেটে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন ভাতাসহ পাওনা পরিশোধ ২৮৫ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও গ্যাস বিল পরিশোধ ৭৬ কোটি টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় ২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, উদ্যান ও খেলার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় ৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা,মশক নিধনে কীটনাশক খাতে ২৫ কোটি টাকা, কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রিয় বাণিজ্যিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৫:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।