বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 519 বার পঠিত
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার রাজনীতির শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। তবে কখনো কোনো বড় পোস্টে ছিলাম না, বড় পোস্ট চাইওনি কখনো। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। আমরা কখনো পদ নিয়ে চিন্তা করিনি, পদ আমরা চাইওনি। পদ সৃষ্টি করা এবং সবাইকে পদে বসানো—এই দায়িত্বটাই পালন করতাম।’
‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতির কাজ করে যেতাম আব্বার আদর্শ নিয়ে। তিনি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। আমরা দুটো বছরও আব্বাকে একসঙ্গে জেলের বাইরে পাইনি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উত্রাইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কখনো হা-হুতাশ ছিল না। আমাদের মা খুব দৃঢ়চেতা ছিলেন। আমার বাবার অবর্তমানে মা পার্টি চালাতেন। মামলা-মোকাদ্দমাও চালাতেন। সবই করতেন তিনি। সংসারও দেখতেন।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালে বিদেশ থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ৩৮ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক এমন কোনো কাজ আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য কখনো করিনি। নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার জন্য কাজ করিনি, কাজ করেছি দেশের মানুষের জন্য। সব সময় চিন্তা করেছি—মানুষকে কী দিতে পারলাম, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আমরা যতবার ক্ষমতায় এসেছি, মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি।’
কয়েক দশক আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দলের সভানেত্রী হিসেবে ৩৮ বছর, এটা বোধ হয় একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।’ তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘না’। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আপনাদেরও সময় এসেছে, তা ছাড়া বয়সও হয়েছে। এ বিষয়গুলো তো দেখতে হবে।’
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর দল ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় গেলে কী করব তার প্রস্তুতি ছিল বলেই পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি করতে পেরেছিলাম। ক্ষমতায় থেকেও মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি—এটাও কিন্তু বিশাল অর্জন। নেতাকর্মীদের কাছে এটুকু চাইব—এই আস্থা-বিশ্বাস যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। ব্যক্তিগত জীবনে কী পেলাম না পেলাম সে চিন্তা যেন না করি। দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।’
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনের স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে দিন প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। বিমানবন্দর থেকে ট্রাকে করে সংসদ ভবনের সামনে আসতে প্রায় চার ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল।’
বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
Posted ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed