বিবিএনিউজ.নেট | শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 702 বার পঠিত
২০১৯-২০২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাজেটে কৃষি বীমা এবং তরুণদের জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এ দু’টি সিদ্ধান্ত ছাড়া সবই গরপড়তা আলোচনা এবং সেকেলে বলে মনে করেন।
মির্জ্জা আজিজুল এবারের বাজেটের চারটি প্রধান ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রথমত. বাংলাদেশের বাজেটের ত্রæটি হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রা থাকে, তা বাস্তবায়ন না হওয়া। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে বিশেষ কোনো বার্তা নেই। উচ্চবিলাসী লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকারগুলো উচ্ছ¡াস প্রকাশ করে থাকেন বটে। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিবর্তন নেই।
দ্বিতীয় ত্রæটির কথা উল্লেখ করেন বেসরকারি খাত নিয়ে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে যে স্থবিরতা, তা দূরীকরণে সুস্পষ্ট কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। ঠিক আগেও ছিল না। অথচ এই খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এরপর গুরুত্ব দেন ব্যাংকিং খাতের সমস্যা নিয়ে। এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দীর্ঘদিনের। হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও হয়েছে ব্যাংক থেকে। মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এ খাতের সমস্যা দূরীকরণে কোনো নির্দেশনা রাখা হয়নি এবারের বাজেটে। তার মানে সমস্যা জিইয়েই থাকছে।
সর্বশেষ সমস্যার কথা উল্লেখ করেন আয় বৈষম্য নিয়ে। বলেন, ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা নেই। অথচ টেকশই অর্থনীতি গড়ে তুলতে হলে আয় বৈষম্য নিয়ে এখনই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া কথা। তাছাড়া বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ এবং দরিদ্রই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে এবারের বাজেটে কৃষি বীমা এবং তরুণদের জন্য বিশেষ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত দুটি বিশেষ চমক বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্ত দেখার বিষয় হচ্ছে, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় কীভাবে, যোগ করেন মির্জ্জা আজিজুল।
Posted ১০:১২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed