নিজস্ব প্রতিবেদক: | শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 481 বার পঠিত
বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো মহামারী করোনার অশুভ ছায়া পড়েছে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের উপর। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্যাটেলাইট ও প্রিন্ট গণমাধ্যমের চার সাংবাদিক। এছাড়া সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ১০০ সাংবাদিককে।
গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশে সাংবাদিক হিসেবে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন বেসরকারি টেলিভিশনের এক ক্যামেরাপারসন। গত ২৬ মার্চ তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়ায় তাকে সেদিনই ছুটি দেয়া হয়। এ ঘটনার পর তার সংস্পর্শে আসা আরও ৪৭ রিপোর্টার-ক্যামেরাপারসন ও কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
৯ এপ্রিল আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনের একজন রিপোর্টার ও তার শ্বশুর করোনায় আক্রান্ত হন। তার সংস্পর্শে আসা টেলিভিশনটির সাংবাদিক, ক্যামেরাম্যান, গাড়িচালকসহ অন্তত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুটি দৈনিকের দুজন সাংবাদিকের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর এই দুজনসহ প্রতিষ্ঠান দুটির অন্তত ২০ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এই সংখ্যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত বলছেন সংশ্লিষ্টরা। গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ, মিডিয়া হাউজ থেকে স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসামগ্রী না দিয়েই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন চলাফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ। করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ব্যয় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে বহনের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া কম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট পরিহার করে ঝুঁকি কমানো ও অফিস সহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে মাঠ সাংবাদিকের জন্য আলাদা সুরক্ষিত নিভৃত বার্তাকক্ষের (আইসোলেশন নিউজরুম) পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের একজন সদস্য সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছি।’
Posted ৯:০৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy