নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 476 বার পঠিত
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এছাড়া বিএসইসিতে আরও তিন কমিশনার নিয়োগ পাচ্ছেন। আর মাত্র একদিন পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানান।
বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে আর মাত্র একদিন পরই বিদায় নিচ্ছেন অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। অভিযোগ আছে, আইন লঙ্ঘন করে শেয়ারবাজারে বহু আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়া খায়রুল হোসেনকে আরও দুই বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান করা হয়। এবার তার স্থানে নতুন কাউকে আনা হচ্ছে। কে হচ্ছেন খায়রুলের উত্তরসূরী তা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
এমনই আলোচনার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং কমিশনার হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল এফসিএ ও কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট এ কে এম দেলোয়ার হোসেনের নাম প্রস্তাব করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটি অনুমোদন করলে দু-একদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কোনো কারণে যদি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদন না করে তাহলে এ পদের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের শর্টলিস্ট আরও তিনজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন- সাবেক সচিব ড. এম আসলাম আলম, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন এবং বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান। এ তিনজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে নিয়োগের জন্য প্রস্তাব করা করা হবে।’
এদিকে জানা গেছে, কমিশনার হিসেবে প্রস্তাবকৃতদের মধ্যে অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও অজিত কুমার পাল বর্তমানে জনতা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।
আগামী ১৫ মে থেকে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের মেয়াদ শুরু হবে। আর তিনজন কমিশনারের পদ ফাঁকা থাকায় তারা যেদিন যোগ দেবেন সেদিন থেকেই তাদের মেয়াদ কার্যকর হবে।
গত ১৮ এপ্রিল কমিশনার অধ্যাপক স্বপন কুমার বালার চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয়। তিনি আগের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে চলে গেছেন। তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল।
অপর কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন নিজামীর চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ রোববার (৩ মে) শেষ হয়েছে। তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল ২০১১ সালের ৪ মে।
এদিকে ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান খোন্দকার কামালুজ্জামান। তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর। ২০১১ সালের ২৯ মে নিয়োগ পাওয়া কমিশনার আমজাদ হোসেনের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালে ৩০ এপ্রিল। এরপর থেকেই ওই পদে যোগ্য কাউকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৪ মে বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের মেয়াদ শেষ হলে বিএসইসিতে থাকবেন শুধু একজন কমিশনার। ফলে করোনাকালে বিএসইসি যেন অভিভাবকহীন হয়ে না পড়ে সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে সরকার।
Posted ৫:৪২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan