নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 321 বার পঠিত
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে সাড়া বিশ্বের মত বাংলাদেশেও অনেকেই আয় করছেন, কিন্তু সরকার এ খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়কর পাচ্ছে না। এজন্য বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইন কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে আয়ের ওপর উৎসে কর কর্তন কিংবা এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্তদের আয়করের আওতায় আনতে নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এবারের বাজেটেও অনলাইন ব্যবস্থায় বিজ্ঞাপন আয়ের সঙ্গে যুক্তদের করের আওতায় আনতে তাদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন নেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থাৎ এ ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবেন, তাদের ই-টিআইএন নিতে হবে এবং বছর বছর আয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে।
এ লক্ষ্যে অর্থবিলে আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪ ধারায় ই-টিআইএন নেওয়ার বাধ্যবাধকতাসংক্রান্ত ধারায় নতুন কিছু পরিবর্তন হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে টিআইএন নেওয়ার বাধ্যবাধকতায় আনা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এবং অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরাও। অর্থাৎ তাদেরও ই-টিআইএন নিতে হবে। একইভাবে বাইকসহ মোটর গাড়ি বা অন্য কোনোভাবে অনলাইনে স্পেস বরাদ্দের মাধ্যমে কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হলেও টিআইএন নিতে হবে।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দিনে দিনে ম্যানুয়াল ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের ক্রয়বিক্রয় কিংবা লেনদেন জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার প্রচার, প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশনের বাইরে প্রচুর বিজ্ঞাপন দিচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। এর মাধ্যমে কোটি কোটি কিংবা শতকোটি টাকা লেনদেন হলেও সরকার এসব খাত থেকে প্রত্যাশিত আয়কর পাচ্ছে না।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এয়ার বিএনবির উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, দেশেও অনলাইন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে প্রচুর বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও এ খাত থেকে সরকার প্রকৃত আয় পাচ্ছে না। এজন্য এর সঙ্গে যুক্তদের টিআইএন নেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এয়ার বিএনবি এক ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস। যেখানে বিভিন্ন পণ্য, সেবা কিংবা স্থাবর সম্পত্তির বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে আয় করা হয়।
দেশে বর্তমানে টিআইএনধারীর সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। যদিও এনবিআর মনে করছে, এ সংখ্যা ১ কোটি হওয়া উচিত। গত কয়েক বছর ধরেই এনবিআর আয়করের আওতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে। এনবিআরের হিসাবেই এখনো দেশের প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করে ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ।
Posted ১১:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan