বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

খোদা বক্স : এক ইতিহাস, এক কিংবদন্তী (পর্ব-২)

রিজওয়ান আহমেদ ফরিদ (পাকিস্তান)   |   বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   2055 বার পঠিত

খোদা বক্স : এক ইতিহাস, এক কিংবদন্তী (পর্ব-২)

কঠিন কাজ, সফল ‘জীবন’

কারনোস্কি তাঁর দু’দুটো বৃহৎ গ্রন্থে ‘‘The EFU Saga’ এবং ‘Between Tears and Laughter’- দশ পৃষ্ঠারও বেশি ব্যয় করেছেন ইস্টার্ন ফেডারেল-এর নিদর্শনমূলক অগ্রগতির পেছনে খোদা বকস-এর ব্যক্তিত্ব ও অবদানের প্রশস্তিতে, যদিও একজন পাঠকের কাছে এই মন্তব্য সাধারণভাবে কোম্পানীর মার্কেটিং বিভাগের অনবদ্য কর্মদক্ষতার গুণগান বলেই মনে হবে। কারনোস্কি ইস্টার্ন ফেডারেল-এর সামগ্রিক কর্মযজ্ঞের কৃতিত্বে ‘অ-জীবন’ ((Non-life) ব্যবসার কর্মাধ্যক্ষদের অবদানকেই সর্বাধিক অভিনন্দনযোগ্য বলে বিবেচনা করেছেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে অধিক সঙ্গত হত যদি তিনি ‘জীবন বীমা’ মার্কেটিং-এর কর্মীদের কষ্টসাধ্য অবদানকে অনুধাবন করার জন্য সমপরিমাণ সময় ও মনোযোগ ব্যয় করতেন। সাধারণ বীমার চেয়ে জীবন বীমা বিপণনের কাজ অনেক বেশি কঠিন। জীবন বীমা কর্মীদের ব্যবসা ধরার জন্য একাগ্রতা, নিষ্ঠা, প্রত্যয় ও ইচ্ছাশক্তি নিয়ে লেগে থাকতে হয়। দশটির মধ্যে নয়টি প্রাথমিক আপত্তি তাঁদের হজম করে এগোতে হয় ‘না’ ‘এখন নয়’ ‘পরে আসুন’ ‘ব্যস্ত আছি’ ‘আমার প্রয়োজন নেই’ ‘এ লাইনে আমার বন্ধু আছে’ ‘এটা অ-ইসলামিক’ ‘এতে সুদের ব্যাপার রয়েছে’ ‘এটা একটা বাজি ধরা’। সাধারণ বীমা (General Insurance) কিন্তু এ জাতীয় বাস্তব বা অবাস্তব আপত্তির বিপত্তি থেকে মুক্ত। … জীবন বীমা ব্যবসার বিকাশের নেপথ্যে ছিল বিপণন কর্মীদের নিরলস গতিশীল প্রয়াস – যাঁরা নিজেদের পারিবারিক জীবন, শক্তি, সময়, স্বার্থ বলিদান দিয়েছেন। বিনিময়ে এনে দিয়েছেন কোম্পানীর গৌরব।

‘আদমজী ইনসিওরেন্স কোম্পানী’র পরিচালক অধিকর্তা ও প্রধান কর্মাধ্যক্ষ মি. মোহাম্মেদ চৌধুরী লিখেছেন, ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিয়ন-এ একজন জীবন বীমা ব্যক্তিত্ব হিসেবে খোদা বকস অসাধারণ কর্মক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। একজন পরিকল্পনাকার, একজন সেলসম্যান, একজন সেলস এক্সিকিউটিভ এবং একজন জীবন বীমা রূপকার হিসেবে তিনি ছিলেন চূড়ান্ত সফল। ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিয়ন-এর ব্যবসার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, সংস্থা গর্বের সঙ্গে বিজ্ঞাপিত করতে পারতো – প্রতি দু’জন বীমাকৃত ব্যক্তির মধ্যে একজনের বীমা রয়েছে ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিয়ন-এর সঙ্গে। এ সাফল্য সামগ্রিক উদ্যোগের গড়পরতা ফসল নয়। আমার মতে, এ সাফল্যের প্রায় পুরো কৃতিত্বই ছিল খোদা বকস-এর। অবশ্য দুঃখজনক ঘটনা হল, তিনি তাঁর কোম্পানীর উচ্চতর পদস্থ পরিচালকগণের কাছ থেকে সে অনুপাতে প্রাপ্য প্রশংসা ও তারিফ পাননি। এটা সম্ভবত ঘটেছিল খোদা বকস-এর প্রতি ঈর্ষা ও হীনমন্যতার কারণে ; সে সময় কোম্পানির ভিতরের ও বাইরের অন্যান্য জীবন বীমা কার্যনির্বাহকরা (Executives) তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারেনি। তাঁর সাফল্য শুধুমাত্র তাঁর নিজস্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমিত ছিল না, বরং সারা পাকিস্তানেই ব্যাপ্ত ছিল- তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে।

কেমন ছিলেন মানুষটি
সেলস কর্মীদের প্রতি খোদা বকস-এর দরদী ব্যবহার ছিল অনবদ্য। বলা যায় এক্সিলেন্ট। দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে ফিল্ড সদস্যদের ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করার যে প্রথাগত ও প্রথাবহির্ভূত রীতি ছিল, খোদা বকস তার সঙ্গে সংযুক্ত করেছিলেন তাঁর নিজস্ব কিছু মৌলিক সুচিন্তিত পদ্ধতি-প্রকরণ, যার মধ্যে ছিল- অনুপ্রাণিত করা, স্বীকৃতি দেওয়া এবং কর্মদক্ষতায় অধিকতর সাফল্যকে উদযাপন করা।
বাইরে সফরে গেলে তিনি প্রত্যেক বিক্রয়কর্মীকে হয় টেলিফোন করে, না হয় চিঠি পাঠিয়ে কাজে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দিত করতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেলিগ্রাম পাঠাতেন প্রতিটি কর্মীর বাড়িতে, তার অসাধারণ কর্মদক্ষতার প্রশংসা ও স্বীকৃতি জানিয়ে। এই টেলিগ্রামগুলো বৈদ্যুতিক উদ্দীপনার মত প্রভাব ফেলত, পরিবারের লোকেদের কাছে সেই ফিল্ডকর্মীর ভাবমূর্তি দারুণভাবে বেড়ে যেত। ঘটনা এমনই ছিল যে, সেই সময়কালে কোন কর্মীর বাড়ির দরজায় ডাকপিওনের টোকা পড়লে, বিশেষত রাত্রিতে, সেটা এক গুরুত্বপূর্ণ বা সিরিয়াস ঘটনা বলে মনে করা হত। সেই পরিবার ও আশেপাশের প্রতিবেশীরাও ধরে নিতেন যে, নিশ্চয়ই কোন মূল্যবান সংবাদ এসে পৌঁছেছে।

খোদা বকস ছিলেন ছোটখাট চেহারার মানুষ। বেশবাসে সবসময় স্যুট-বুটে ফিটফাট থাকতেন। মাটির সঙ্গে ছিল তাঁর যোগ। ভদ্র, বিনয়ী এবং উদার চরিত্রের কিন্তু অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি। ইস্টার্ন ফেডারেল-এর প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালক এবং ‘স্টেট লাইফ’-এর অবসরপ্রাপ্ত উন্নয়ন পরিচালক ইফতেকার আহমেদ হানফি বলেছেন, ‘খোদা বকস কিছু নীতি বলবৎ করেছিলেন। তিনি অফিসে আসতেন সকাল নয়টার ঠিক ১০ মিনিট আগে।’ সে রকমই আবুল মাহমুদ বলেছেন, যিনি ইস্টার্ন ফেডারেল-এ রয়েছেন ১৯৫০ সাল থেকে, ‘খোদা বকস ছিলেন দারুণ সময়ানুবর্তী। নিয়মিত অফিসে এসে পৌঁছতেন সকাল ৯টার আগে।’
খোদা বকস বিশ্বাস করতেন যে কোন পেশায় সাফল্যের চাবিকাঠিটি চিনে নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং সেটি হলো সমস্ত সম্ভবপর স্তরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলা।

অন্যদের চোখে তিনি
মি. ওয়াজির আলী, ‘হ্যাশো’ গ্র“পের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা, স্মৃতিচারণ করেছেন :
‘১৯৬৭ সালে ইস্টার্ন ফেডারেল-এ যোগদান করার পর একদিন আমি আমার অফিসে বসে আছি। গলায় মালা পরে এক ভদ্রলোক, যাঁর পেছনে দু’জন লোকও ছিল। নিতান্ত অনাড়ম্বরভাবে অফিসে এসে ঢুকলেন এবং নিজের পরিচয় দিলেন ‘আমি খোদা বকস’। … এভাবেই খোদা বকস-এর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। তাঁর সাথে পরিচিত হওয়ার এই ধরন আমার কাছে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ছিল। তিনি যেভাবে এগিয়ে এলেন, আলাপ করলেন, তা থেকে মনে হচ্ছিল যেন অনেক বছর ধরেই আমরা পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত – যদিও সেটাই আমাদের একদম প্রথম মোলাকাত ছিল। বলতে হয়, মনের ওপর প্রথম যে ছাপ পড়েছিল, সেই ছাপই রয়ে গেছিল শেষ পর্যন্ত।’

মি. এম এ চিশতি খোদা বকস-কে প্রথম দেখেন একটি কনভেনশনে, পাকিস্তান ইনসিওরেন্স এসোসিয়েশন যেটি আয়োজন করেছিল। চিশতি বলছেন :
‘প্রথম সাক্ষাতেই দেখলাম তিনি একদম সোজা-সিধা এক মানুষ। পাতলা ছিপছিপে চেহারা কিন্তু কথাবার্তায় অত্যন্ত নিপুণ। তখনই আবিষ্কার করেছিলাম, তিনি-ই এক ব্যক্তিত্ব যাঁর পক্ষে কিছু অবদান রাখা সম্ভব। সত্যি কথা বলতে কি, আমি বেশ পরে জেনেছিলাম এই মানুষটিই হচ্ছেন খোদা বকস, যিনি পূর্ব পাকিস্তানে ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিয়ন-এর নাম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথাসর্বস্ব করেছেন। …. এছাড়াও আমি দেখেছি – কত দৃঢ়চেতা অথচ বিনয়ী মানুষ ছিলেন তিনি।

১৯৬৪ সালে করাচিতে দাঙ্গা, হত্যালীলা লেগেছিল। শহরের উপদ্রুত এলাকাগুলিতে কার্ফু বলবৎ করা হয়েছিল। মি. আই এ হানফি থাকতেন—এলাকাতে। এই অঞ্চলটিও কার্ফুর আওতায় এসেছিল। হানফি সাহেবের স্পষ্ট স্মরণে আছে কীভাবে খোদা বকস তাঁর দায়িত্ববোধের পরিচয় রেখেছিলেন – শহরে দাঙ্গা আর উপদ্রবের মধ্যে তাঁর চারপাশের এলাকার মানুষদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের যাবতীয় কর্তব্য-কাজ তিনি হাতে নিয়েছিলেন। এ সময় একদিন হানফি খোদা বকস-এর একটি ফোন পান। ফোনে তিনি বলেন :
‘হানফি, কার্ফুর জন্য আপনি আপনার বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না। আমাদের অনেক বন্ধু অফিসে আসতে পারছেন না। তাই আমি দুটো কার্ফু পাশ যোগাড় করেছি, একটা আমার আর একটা আমার ড্রাইভারের জন্য। আমি গাড়ি পাঠাচ্ছি আপনার কাছে। গাড়ির পেছনের বুট-এ আটা, ময়দা, ঘি, চাল, বাচ্চাদের খাবার ইত্যাদি প্যাকেট থাকছে। এই প্যাকেটগুলো ছাড়াও ড্রাইভারের কাছে আট হাজার টাকা ক্যাশ দেওয়া থাকছে। আমি ড্রাইভারকে বলেছি প্রথমে আপনার বাড়িতে যেতে এবং আপনাকে সঙ্গে নিয়ে আপনার এলাকায় আমাদের সব লোকদের বাড়িতে যেতে। যদি কারোর কিছু প্রয়োজন হয় আপনি এই প্যাকেটের জিনিসগুলো তাদের মধ্যে বিতরণ করে দেবেন। যদি কারোর প্রত্যক্ষ সাহায্য দরকার লাগে, আপনি সোজা আমার অফিসে চলে আসবেন যাতে আমরা তৎক্ষণাৎ তার সাহায্যের বন্দোবস্ত করতে পারি। যেসব লোকেরা আমার কোম্পানির জন্য এবং আমার জন্য কাজ করছেন আমি তাদের সাহায্যের প্রয়োজনকে অগ্রাহ্য করতে পারি না।’
মি. হানফি তাঁর এলাকায় বসবাসকারী প্রতিটি অফিস-কর্মীর বাড়িতে যান এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানেই সাহায্য দান করেন। পূর্ব অঞ্চল থেকে আসা মহম্মদ আলী আকবর নামে এক ভদ্রলোক সেখানে ছিলেন। তাঁর শিশুসন্তান গুরুতর অসুস্থ ছিল। কার্ফুর জন্য ডাক্তার ওষুধ কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। খোদা বকস ডাক্তারের জন্য আরেকটি কার্ফু পাশ যোগাড় করেছিলেন। ডাক্তার গিয়ে সেই শিশু রোগীকে দেখেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা দেন এবং তাকে ওষুধপত্র এনে দেওয়া হয়।

এই ধরনের ঘটনা কিছু বিরল ছিল না বরং খোদা বকস-এর জীবনে এগুলি ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। আরো অনেক অনুরূপ ঘটনার কথা বলেছেন হানফি, শরাফত আলী কোরেশি, ওয়ারিস আলী খান এবং আরো অনেকে।

আশ্চর্য রকম স্মৃতিশক্তি ছিল খোদা বকস-এর। সমস্ত ফিল্ড অফিসার, কার্যনির্বাহক এবং কর্মীসদস্যদের নাম মনে রাখতেন। বিভাগীয় সহকর্মীদের পারিবারিক অবস্থা, আবেগের ধরন, দক্ষতা, দুর্বলতা এবং চাহিদা সম্পর্কে নিজেকে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রাখতেন। তিনি সরাসরি কর্মীদের বাড়িতে যেতেন, পরিবারের সঙ্গে আলাপ করতেন তাদের অনুভূতি মূল্যবোধ, স্বপ্ন প্রত্যাশা এবং শঙ্কা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য। তিনি উৎসাহ দিতেন, পরামর্শ দিতেন, উন্নতমানের জীবনযাপনের জন্য এবং ছেলেমেয়ে ও নির্ভরশীলদের ভালো রকম লেখাপড়া শেখার জন্য। যখনই কোন সহকর্মী কোন নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে ভর্তি করাতে সুপারিশের প্রয়োজন প্রকাশ করত খোদা বকস নিশ্চিতভাবে সাহায্যের হাত এমন আন্তরিকতার সঙ্গে বাড়িয়ে দিতেন যেন তিনি সেই পরিবারের অভিভাবক।
তিনি বিশ্বাস করতেন, লক্ষ্য পূরণের জন্য একজন ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা বজায় রাখার মত পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান সুনিশ্চিত অত্যন্ত জরুরি। একজন বিক্রয়কর্মীর অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার প্রতি নজর রাখা এবং তাকে সহায়তা দেওয়া – প্রধান চালিকা শক্তি। এই শক্তির জোরেই বিক্রয়কর্মী গ্র“পের থেকে অসাধারণ কাজের ফসল অর্জিত হতে পারে। যে কেউ যখন খোদা বকস-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেত, তিনি প্রথমেই জানতে চাইতেন তার পরিবারের কুশল সংবাদ, ঘরবাড়ির অবস্থার উন্নতি বিধানের কথা, লেখাপড়ার কথা।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:২৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।