
| রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 199 বার পঠিত
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সাত মাসে উন্নয়ন সহযোগী ও দেশের কাছ থেকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪৬৯ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান পাওয়া গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই ছাড় গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৩৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার বেশি।
গত অর্থবছরের একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগী এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে মোট ৩৩৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদান পাওয়া গিয়েছিল।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণ ও অনুদান ছাড়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছর কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিকা কেনা ও স্বাস্থ্য সেবা বাড়াতে অনেক প্রতিশ্রুতি ছিল উন্নয়ন সহযোগীদের। সেগুলোর অর্থছাড় হওয়ায় এবার অন্যান্য অর্থবছরের তুলনায় ছাড় অনেক বেড়েছে।
এসময়ে উন্নয়ন সহযোগী এবং ঋণদাতা সংস্থা ও দেশগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাজেট সাপোর্টসহ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলোর অর্থও ছাড় করেছে।
মূলত এই দুই কারণেই চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বেশি অর্থ ছাড় হয়েছে, জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আওতায় ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা বা ১ হাজার কোটি ডলারেরও কিছু বেশি ঋণ ও অনুদান হিসেবে পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৭২১ কোটি ২০ লাখ ডলারের বৈদেশিক ঋণ সহায়তার অর্থ ছাড় হয়েছিল, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৪০ কোটি ডলারের রেকর্ড ছাড় হয়েছিল।
প্রতিশ্রুতির মোট পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২২৩ কোটি ৩ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম মাসে মাসে ২৪৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদান সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
অপরদিকে চলতি অর্থব্ছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে মোট ১২২ কোটি ১২ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরমধ্যে আসল হিসাবে ৯০ কোটি ১১ লাখ ডলার এবং ৩২ কোটি ডলার সুদ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
গত অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল।
Posted ৪:০৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy