নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 174 বার পঠিত
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য আগামীকাল রোববার থেকে দেয়া শুরু করবে সরকার।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ বা টিসিবি দেশের উপজেলা পর্যায়ে এই পণ্য বিক্রি করবে।
অবশ্য কম দামে পণ্য দিতে সরকার ফ্যামিলি কার্ড চালু করেছে। ঢাকার বাইরের এলাকাগুলোতে রোববার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এক কোটি মানুষের মধ্যে কম দামে পণ্য দিতে ফ্যামিলি কার্ড বিষয়ে শুক্রবার ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেতে পারেন সেজন্য ভর্তুকি মূল্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে চাল, ডাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজের মতো কিছু পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়।
যেভাবে দেয়া হচ্ছে ফ্যামিলি কার্ড:
করোনাকালীন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদানের যে ডেটাবেজ প্রণয়ন করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৩০ লাখ পরিবার, সারা দেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগী পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
এর বাইরে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার উপকারভোগী রয়েছেন। যাদের মধ্যে টিসিবি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে।
এ জন্য উপকারভোগী নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্রের সূচক বিবেচনা করা হয়েছে। পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
কার্ডধারী পাবেন দুই দফা পণ্য:
প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে একসঙ্গে পাঁচ পণ্যের প্যাকেট পাবেন কার্ডধারীরা। আগামী রোববার হতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম পর্বে ১ কোটি উপকারভভোগী পরিবারের মধ্যে ১১০ টাকা লিটারে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজিতে ২ কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা কেজিতে ২ কেজি মসুর ডাল।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩ এপ্রিল থেকে তিনটি পণ্যের সঙ্গে ৫০ টাকা কেজিতে ২ কেজি ছোলা যুক্ত হবে।
তদারকি করবেন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন
মানবিক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন সম্পৃক্ত থাকবে।
গত ৮ মার্চ হতে সংশ্লিষ্ট জেলায় পণ্য পাঠানো শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় টিসিবির পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পৌঁছে গেছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় খাদ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও নির্ধারিত গুদামে পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাক করছে।
টিসিবির পণ্যগুলো সুষ্ঠুভাবে বিতরণের লক্ষ্যে এরইমধ্যে জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক/সমপর্যায়ের কর্মকর্তাকে অথরাইজড অফিসার নিয়োগ করেছেন এবং কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী পদায়ন করা হয়েছে।
কার্যক্রম তদারকির জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কমিটি স্থানীয় প্রশাসন গঠন করে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে টিসিবির পণ্য বিতরণের জন্য সরকার তিনটি পরিপত্র জারি করেছে। পরিপত্রে টিসিবির উপকারভোগী বাছাই, পণ্য বিক্রি কার্যক্রম মনিটরিং, কমিটি গঠনসহ এ বিষয়ে গৃহীত পরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়নে বিভিন্ন বিষয় স্পষ্টীকরণ করা হয়।
নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক তদারকি করবে।
এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ অন্যরা।
Posted ৪:০৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy