নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 146 বার পঠিত
দেশে ও বিদেশে বহুল আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারকে আরও ৫৬ দিনের জেল কাস্টডিতে (জেসি) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের একটি আদালত। এর আগে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এবং পাচারকারী পিকে হালদারকে পলাতক অবস্থায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। একই সঙ্গে তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
কে আগামী ১৭ নভেম্বর আদালতে হাজির করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্যে উল্লেখ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সংশ্লিষ্ট জেল হেফাজতে বন্দি থাকার ৪২ দিন পর অভিযুক্ত পি কে হালদারকে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালতে হাজির করা হয়। পরে ওই আদালত অভিযুক্ত পিকে হালদারকে আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই তাকে আদালতে হাজির করার তারিখ নির্ধারণ করেন।
সূত্র মতে, ২০২১ সালের মে মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভারতে নিজের নাম ‘পি কে হালদার’ পরিবর্তন করে ‘শিব শঙ্কর হালদার’ নামে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন বলে জানান ইডি’র কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। ওই মামলার তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা (দুদক)। তবে মামলা করার আগেই অভিযুক্ত পি কে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। যাওয়ার আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন পিকে হালদার।
সুত্র মতে,একই সময়ে অভিযুক্ত পিকে হালদার চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) নিজের নিয়ন্ত্রণে ধরে রাখেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তা কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ ও সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেন তিনি। পি কে হালদারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ৬২ জন সহযোগীর খোঁজ পায় দুদক। পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা করেছে দুদক।
Posted ৫:১৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy