| মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 125 বার পঠিত
বাংলাদেশে অনেক ধরনের কারখানা চালু আছে। তবে দ্রুত কোটিপতি বাননোর কারখানার সন্ধান এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে এবার আলোচনায় এসেছে উঠে এসেছে ‘কোটিপতি বানানোর কারখানা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিষয়টি’। জাতীয় দৈনিকে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ গুরুত্বের সাথে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। রাজউকের প্রভাবশালী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরির সুবাধে দ্রুত কোটিপতি হচ্ছেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাতারাতি ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা, কোটিপতি বানানোর কারখানা রাজউক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অপরদিকে নগরবাসী রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছেন রাজউকের কাছে। এই পরিস্থিতিতে মহামান্য হাইকোর্ট আগামী দুই মাসের মধ্যে রাজউকের কোটিপতি কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এরআগেও হাইকোর্ট একাধিকবার রাজউকের চিহ্নিত প্রভাবশালী কোটিপতি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দুদকের পক্ষ থেকে জোরালো অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে রাজউকে ঘুষ, দুর্নীতি এবং নগরবাসীর অমানবিক হয়রানি বহুগুণে বেড়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) ওই প্রতিবেদনটি বিচারপতি মো. সেলিম ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা। পরে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থে রাজউকের কোটিপতি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধরতে দুদককে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদককে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাতারাতি ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা, কোটিপতি বানানোর কারখানা রাজউক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউক যেন কোটিপতি বানানোর এক কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানে চাকরি করলে রাতারাতি ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। বড় পদ নয়, একেবারে কেরানি পদে চাকরি করেও কোটিপতি বনে গেছেন অনেকে। স্বল্প বেতনের চাকরি করে যাদের সাধারণ জীবনযাপনের কথা, তাদের কেউ কেউ রীতিমতো রাজা-বাদশাহ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। খোদ রাজধানীতে তাদের একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। আছে নামিদামি ব্র্যান্ডের একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, তাদের অনেকেই অবৈধ অর্থের জোরে এখন সমাজপতিও বটে। হতে চান এমপি-মন্ত্রীও। তাই চাকরির পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সক্রিয় তাদের কয়েকজন।
জাতীয় ‘দৈনিক যুগান্তরের’ দীর্ঘ অনুসন্ধানে রাজউকের এসব সৌভাগ্যবান কর্মচারীর অঢেল অর্থবিত্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। লাগামহীন অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি এবং কোটিপতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ১২ মার্চ তার কার্যালয়ে যুগান্তরকে বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজ হিসাবে পরিচিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে যাদের নাম এসেছে, তাদের তদন্তের মুখে পড়তে হবে। এছাড়া দুর্নীতিবাজদের অনেকে দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় আছেন। ফলে অবৈধ পথে যারা অঢেল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন, তারা স্বস্তিতে নেই। তাদের অনেকেই আর বেশি দিন রাজউকে টিকে থাকতে পারবেন না।
Posted ৭:৪৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy