নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 264 বার পঠিত
বারবার বিজ্ঞাপন দিয়েও যোগ্য সিইও খুঁজে পাচ্ছে না আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এমনকি বিজ্ঞাপন দেয়ার পর সিইও পদের জন্য কোনো দরখাস্তই পাওয়া যায়নি।
সিইও হিসেবে আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর তাকে দিয়েই সিইও’র কাজ সারছে প্রতিষ্ঠানটি।
এখন পর্যন্ত সিইও খুঁজে না পাওয়ায় আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদনের জন্য আবারও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইডিআরএ) দ্বারস্থ হবে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
আকিজ তাকাফুলের দাবি, আইডিআরএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের ১১ ও ১৩ আগস্ট পরপর ২টি পত্রিকায় সিইও নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয় কিন্তু যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এমত:বস্থায় কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত সিইও আলমগীর চৌধুরীকে সিইও নিয়োগ করা হলে তার নিয়োগ অনুমোদনের জন্য ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আইডিআরএ বরাবর আবেদন করে এই বীমা কোম্পানিটি। আইডিআরএ স্বল্প অভিজ্ঞতার কারণে আলমগীর চৌধুরীর নিয়োগ অনুমোদনে আকিজ তাকাফুলের আবেদন না মঞ্জুর করে। এই দীর্ঘ সময়েও আকিজ তাকাফুল বোর্ড আইডিআরএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন সিইও নিয়োগ করেনি। বরং অভিজ্ঞতায় ঘাটতি থাকা সত্বেও আলমগীরের পক্ষে সাফাই গেয়ে আবারও তার নিয়োগ অনুমোদনে আইডিআরএ’র দ্বারস্থ হবে। কিন্তু এখনো আইডিআরএ’র তরফ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানা যায়।
অভিজ্ঞতা কম থাকা সত্বেও আলমগীর চৌধুরী সম্পর্কে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ডের সাফাই বক্তব্য। বোর্ডের দাবি, আলমগীর চৌধুরী ২০২১ সালের ৭ জুলাই হতে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ২ বছর ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মধ্যে কোম্পানির ব্যবসা ও সংগঠন বৃদ্ধি, লাইফ ফান্ড বৃদ্ধিসহ গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যা কোম্পানির জন্য সুফল বয়ে আনবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইডিআরএ’র মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান অযোগ্য অনভিজ্ঞ লোককে সিইও নিয়োগ করলে আইডিআরএ তার নিয়োগ অনুমোদন করতে পারে না। সিইও নিয়োগ অনুমোদনের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই আইডিআরএ’র সকল শর্ত পূরণ করতে হবে।
আলমগীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা আগে কম থাকলেও এখন আইডিআরএ নির্দেশিত সীমার চেয়ে বেশি আছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে আমি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা থেকে এমবিএ পাশ করি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম স্থগিত হলেও যখন আমি পাশ করি তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছিল। এ বিষয়টি আইডিআরএ’র তদন্তে বেরিয়ে আসে এবং এই সত্যতা আইডিআরএ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে অবহিত করে।
আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান শেখ শামিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বারবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Posted ৮:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy