বিজ্ঞপ্তি | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট | 21 বার পঠিত
পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র উদ্যোগে “সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ও গ্রিন ফাইন্যান্স” শীর্ষক দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকিং খাতের আধুনিকায়ন এবং পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করতে সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ব্যাংকের বিভিন্ন ডিভিশনের কর্মকর্তা, কর্পোরেট ও আঞ্চলিক শাখার প্রতিনিধিসহ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শাখার প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ও গ্রিন ফাইন্যান্সের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আর্থিক খাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অপরিহার্য। পূবালী ব্যাংকের এ উদ্যোগ সবার জন্য একটি দায়িত্বশীল ও টেকসই অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনে সহায়ক হবে।”
অনুষ্ঠানের রিসোর্স পারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (SFD) চৌধুরী লিয়াকত আলী বলেন, সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্সের মূল লক্ষ্য হলো এমন একটি আর্থিক কাঠামো তৈরি করা, যা পরিবেশগত দায়বদ্ধতা, সামাজিক উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। তিনি এ সময় সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্সের তাত্ত্বিক ধারণা এবং এর প্রায়োগিক দিকগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। ব্যাংকিং খাতের প্রতিদিনের কার্যক্রমে পরিবেশ-বান্ধব ও টেকসই উদ্যোগ কিভাবে যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের রিসোর্স পারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক (SFD) শাখাওয়াত হোসেন, সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স রিপোর্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সঠিক ও স্বচ্ছ রিপোর্টিং সিস্টেম ব্যাংকিং কার্যক্রমে দায়িত্বশীলতা ও আস্থা বাড়ায়। এটি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানদন্ড পূরণেও সহায়ক।” তিনি রিপোর্টিং প্রক্রিয়ার কার্যক্রম, পদ্ধতি এবং এর প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। অংশগ্রহণকারীরা রিপোর্টিং পদ্ধতির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের রিসোর্স পারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক (SFD) আহমেদ যোবায়ের মাহবুব, ওঝজগ (ISRM (Integrated Sustainability Risk Management) গাইডলাইন সম্পর্কে আলোচনা করেন, তিনি বলেন, “ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পরিবেশগত এবং সামাজিক দিকগুলো বিবেচনা করা অপরিহার্য। ওঝজগ গাইডলাইন এই ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত ও প্রশমিত করতে একটি কাঠামো প্রদান করে।” তিনি গাইডলাইনটির বিভিন্ন ধাপ, প্রয়োগ পদ্ধতি, এবং কিভাবে এটি ব্যাংকিং কার্যক্রমের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখে তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের রিসোর্স পারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক (SFD) মো. আবু রায়হান গ্রিন রিফাইন্যান্স স্কিম নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “গ্রিন ফাইন্যান্স এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে আমরা পরিবেশগত উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখতে পারি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং টেকসই কৃষির মতো প্রকল্পে বিনিয়োগ এই স্কিমগুলোর মূল লক্ষ্য।” তিনি গ্রিন রিফাইন্যান্স স্কিমের আওতায় বিভিন্ন সেক্টরে প্রাপ্ত সুবিধা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “এ ধরনের কর্মশালা আমাদের সবার জন্য শিক্ষণীয় এবং দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সহায়ক।” এটি শুধু ব্যাংকের জন্য নয়, বরং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র পরিবেশ-বান্ধব ও দায়িত্ব¡শীল আর্থিক উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
Posted ৮:১০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy