বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 584 বার পঠিত
ব্যাংক খাতের কোম্পানি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে ১১০০ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে করে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৫০০ কোটি টাকায়। এজন্য কোম্পানির সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনসাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরা করা হবে।
জানা গেছে, এছাড়া কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা শূন্য এক পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১১৫ টাকা ৪৩ পয়সায়। আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১২ টাকা ২৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৯৭ টাকা ৪১ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে আট টাকা ৭৩ পয়সা। আর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৮ টাকা শূন্য দুই পয়সা। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় এবং সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির তিন লাখ ৫৫ হাজার ৯৫০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৯০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৪০ লাখ তিন হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর দশমিক ৫৭ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১০ টাকায় হাতবদল হয়, সর্বশেষ দর দাঁড়ায় ২০৯ টাকা ২০ পয়সায়। দিনভর শেয়ারদর ২১২ টাকা থেকে ২০২ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। গত এক বছরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সর্বোচ্চ দর ছিল ২৩৭ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ১১১ টাকা ৩০ পয়সা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীর জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। যা তার আগের বছরের সমান। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ২৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৪১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে আট টাকা ৮১ পয়সা ও ৮৮ টাকা ৩০ পয়সা। আলোচিত সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৪৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা আগের বছর ছিল ১৭৬ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৭ দশমিক শূন্য চার এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৯ দশমিক ৯৬।
এছাড়া কোম্পানির মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে গত বছরের শেষদিকে ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল সাবঅর্ডিনেট বন্ড ইসু্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদন দেয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি সনদ দেয়।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৮৭ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ২০ কোটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৮৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে সাত দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার।
Posted ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed