নাসির আহমাদ রাসেল | রবিবার, ১৫ মে ২০২২ | প্রিন্ট | 307 বার পঠিত
প্রশ্ন: ইসলামি বীমা বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে আইডিআরএ। বিধিমালার একটি খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।
কাজী মো. মোরতুজা আলী: এখানে মতামত দেয়ার কিছু নেই। ইসলামি বীমা বিধিমালা তৈরির কাজ শুরু করেছে, শেষ হবে কবে সেটিই বড় ব্যাপার। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইসলামি বীমা বিধিমালা তৈরি করা দরকার। দীর্ঘদিন ধরেই আইডিআরএ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। যেকোনো কারণেই হোক দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছেই। এখন যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আইডিআরএ একটি সময় বেঁধে দিতে পারে, এর মধ্যেই আমরা এটি চালু করবো। সেভাবেই অগ্রসর হতে হবে। বিধিমালার খসড়া কোন পর্যায়ে রয়েছে আমি তা জানি না, তবে অনেক দূর এগিয়েছে সেটা জানি। যে সমস্ত নিয়ম-কানুন রয়েছে সেগুলোর একটি বিধিমালা তৈরি করে ফাইনাল স্টেইজে এনে সরকারের অনুমোদন নেয়ার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে। আইডিআরএ কোন স্টেইজে রয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে এটি শিগগিরই বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন: ইসলামি বীমা পদ্ধতি বাস্তবায়নে শরীয়াহ কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সে লক্ষ্যে প্রত্যেক বীমা কোম্পানি স্বতন্ত্র শরীয়াহ কাউন্সিল গঠন করেছে। গড়ে তোলা হয়েছে সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিল ফর ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স অব বাংলাদেশ নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইসলামি বীমা পদ্ধতি বাস্তবায়নে শরীয়াহ কাউন্সিলের ভূমিকা ও সক্ষমতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।
কাজী মো. মোরতুজা আলী: শরীয়াহ কাউন্সিলের ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে। আপনি একটি প্রোডাক্ট বাজারে আনবেন এটি শরীয়াহসম্মত কী না শরীয়াহ কাউন্সিল সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন এবং অভিমত দেবেন। কারণ যারা বীমা বিশেষজ্ঞ বা বীমা কোম্পানিতে কাজ করেন তারা কিন্তু শরীয়াহ বিশেষজ্ঞ নন; আবার শরীয়াহ কাউন্সিলে যারা রয়েছেন তারা বীমা বিশেষজ্ঞ নন।
শরীয়াহ কাউন্সিলের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ইসলামি বীমা বিধিমালা যেটি তৈরি করা হচ্ছে, সেই বিধিমালাতেও এই বিষয়গুলো থাকবে। শরীয়াহ কাউন্সিল কী কী কাজ করবে, তাদের সক্ষমতা কোন দিক থেকে বিচার করা হবে, কারা শরীয়াহ কাউন্সিলের মেম্বার হবেন, তার একটা ক্রাইটেরিয়া ওই বিধিমালাতে দেয়া থাকবে।
কারা শরীয়াহ কাউন্সিলের মেম্বার হতে পারবেন, কারা পারবেন না; শরীয়াহ কাউন্সিলের কাজ কী হবে, কী অভিজ্ঞতা-যোগ্যতা লাগবে, নিয়োগের কী ক্রাইটেরিয়া হবে, সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিল হবে তার জন্য কী প্রসিডিউর হবে-এসব বিষয়গুলোর সাথে মিলিয়ে বুঝতে পারবেন এখন যারা কাজ করছে তাদের কি সক্ষমতা আছে বা নেই। কোন মানদণ্ডের আলোকে সক্ষমতা বিচার করব, সেই মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।
বার্ষিক প্রতিবেদনে শরীয়াহ কাউন্সিলের একটি রিপোর্ট দিতে হয়। একটি রিপোর্টিং ফরমেট থাকতে পারে যেখানে শরীয়াহ কাউন্সিলের সদস্যরা সুনির্দিষ্ট করে অভিমত দিতে পারেন। যাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড রিপোর্টিং সিস্টেম চালু হয়।
প্রশ্ন: তাকাফুল বা ইসলামি জীবন বীমা ব্যবস্থা আসলে কী?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: ইসলামি জীবন বীমা হচ্ছে সহযোগিতামূলক পদ্ধতি যা শরীয়াহ অনুমোদন করে। মানুষের আর্থিক সংকট, দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য বীমার সনাতন পদ্ধতির বাইরে গঠিত শরীয়াহ মোতাবেক পদ্ধতিই হচ্ছে ইসলামি বীমা। বীমা আইনে এর সুন্দর একটি ডেফিনেশন দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শরীয়াহসম্মত পদ্ধতিতে যে বীমা পরিচালিত হবে তাকে ইসলামি বীমা বলে। এখন শরীয়াহসম্মত পদ্ধতি কোনটি সেটি নির্ধারিত হবে যারা এই প্রোডাক্ট তৈরি করবেন, শরীয়াহ কাউন্সিলে থাকবেন, ব্যবস্থাপনায় থাকবেন তাদের জ্ঞান ও চিন্তার আলোকে। তাহলে ইসলামি বীমার একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ আমরা দেখব।
এখন যেমন শরীয়াসম্মত পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। কোনটি শরীয়াসম্মত উপায় হচ্ছে, কোনটি হচ্ছে না-সেটি দেখবে কে? শরীয়াহ কাউন্সিলকে এটি দেখতে হবে, আইডিআরকেও এটি দেখতে হবে। প্রয়োজন হলে তারা সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিলের মতামত নিবেন। কিংবা কোন ইসলামি বীমা বিশেষজ্ঞের মতামত নিবেন। একেবারে ইসলামি বীমার একটা ছক আমরা বেঁধে দিতে পারব না। ইসলামি বীমার একটি মডেল হচ্ছে তাকাফুল। ইসলামি বীমার অনেকগুলো মডেল রয়েছে। একেক দেশে, একেক অঞ্চলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণার আলোকে একেকটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ কোনটি ভাল না তা বলার সুযোগ নেই। আমাদের শরীয়াহ বিশেষজ্ঞদের মতে, রেগুলেটরি অথরিটির মতে, যেটি ইসলামি বীমা বলে প্রতিভাত হবে-সেই আলোকেই এই বীমা বিধিমালা তৈরি করা হবে। তখন আমরা বুঝতে পারবো যে আসলে বাংলাদেশে ইসলামি জীবন বীমা বলতে আমরা কি বুঝি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইসলামি বীমা ব্যবস্থা কী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: আমরা প্রথমে দেখব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমার কী ভূমিকা? বীমার যে ভূমিকা, আমি বলব শরীয়াহরও সেই ভূমিকা।
বীমার বিকল্প হিসেবে শরীয়াহসম্মত পদ্ধতিতে আমরা ইসলামি বীমা চালু করেছি। তাহলে বীমার যে সমস্ত সুবিধা আছে, সবগুলোই দেশের উন্নয়ন, মানবসেবা,আর্থিক নিরাপত্তা, প্রপার্টি সংরক্ষণ, প্রপার্টি ড্যামেজ, ক্ষতিপূরণসহ সব ক্ষেত্রে যেই পদ্ধতিগুলো পরিচালিত হচ্ছে, যেই সুবিধার কারণে বীমা ব্যবস্থা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসছে; এর সবগুলোই ইসলামি শরীয়াহতে থাকবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকই বীমা করে না। বীমার প্রতি তাদের ভালো ধারণা নেই সে কারণে তারা বীমার প্রতি আগ্রহ দেখায় না। আরেকটি অংশ বীমা করে না এ কারণে যে, এটি শরীয়াহসম্মত কী না এ সম্পর্কে তাদের ধারণা না থাকার জন্য। যখন ইসলামি বীমা চলে আসবে, যখন তার সম্ভাব্য গ্রাহকরা দেখবে এটা ইসলামসম্মত এবং বীমা করা প্রয়োজন। এর ফলে যে লোকগুলো বীমার বাইরে ছিল তারা বীমা কিনবে। ফলে দেশে বীমা প্রসারিত হবে। অর্থনীতির আকার প্রসারিত। আর্থিক নিরাপত্তা বাড়বে। সরকারের সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে যে অর্থ ব্যয় হতো, সেটি কমে যাবে। তাহলে দেশ, জনগণ, সরকার, দেশের অর্থনীতি আরো বেশি উপকৃত হবে। বীমা যদি একটি অংশে উপকারী হয়, তাহলে ইসলামি বীমা সেক্ষেত্রে আরো বেশি মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইসলামি বীমার সবচেয়ে বড় অবদান হবে এই যে, যারা বীমা বুঝত না, বীমা করত না, তারা ইসলামি শরীয়াহর আলোকে বীমা করবে। আমরা বলি ইসলামি বীমা উত্তম কাজ, এর মাধ্যমে মানুষের সেবা করার সুযোগ রয়েছে।
বীমাকে যখন আমরা বুঝতে পারব, আমরা একটি ভালো আমল করছি- তখন বীমা সেবি, বীমা কোম্পানি, বীমা গ্রাহক, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কল্যাণে কাজ করছে। আর তাকাফুলের কনসেপ্টটাই হচ্ছে পরস্পরের জন্য পরস্পরে কাজ করবে। ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।’ এই যে সমবায়ের নীতি, এটার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে ইসলামি বীমা। আমরা প্রত্যেকে, প্রত্যেকের জন্য কন্ট্রিবিউট করব। মূলত মানুষের পারস্পরিক কল্যাণের প্রতিফলন হচ্ছে ইসলামি বীমা।
প্রশ্ন: নানা সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের ইসলামি জীবন বীমা কোম্পানিগুলো পরিপূর্ণভাবে শরীয়াহর বিধি বিধান প্রতিপালন করতে পারছে না। কীভাবে এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব এবং বাংলাদেশে ইসলামি জীবন বীমা পদ্ধতি বাস্তবায়নে আরো কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: বীমার ক্ষেত্রে যে সমস্ত অসঙ্গতি রয়েছে, পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ত্রুটি রয়েছে, ব্যবস্থাপনার যে সমস্ত মৌলিক গলদ রয়েছে ইসলামি বীমার ক্ষেত্রেও যদি একই ব্যক্তিবর্গ পরিচালনার দায়িত্বে আসেন, তাদের মধ্যে যদি নীতি-নৈতিকতার উৎকর্ষ না ঘটে, তাহলে কোনো আইন বা বিধিবিধান দ্বারা এর উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমাদের প্রয়োজন ইসলামি বীমায় যারা কাজ করবেন, তারা যেন অপেক্ষকৃত উন্নত চরিত্রের, উন্নত আদর্শের হন। পেশাদারিত্ব, যোগ্যতা, যেন অপেক্ষাকৃত অধিকতর হয়। তাহলে ইসলামি বীমা বাজারে ভালো করবে। কারণ ওখানে পেশাদারিত্ব এবং আদর্শ দরকার। ইসলামি বীমা হচ্ছে আদর্শ ও পেশাদারিত্বের একটি সংমিশ্রণ। এই দুটির সংমিশ্রণ যখন হবে তখন ইসলামি বীমা আরো ভালো করবে। বীমা ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বীমার সাথে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের লোকজন যদি স্বচ্ছ না হন তাহলে কোনো পদ্ধতিই কাজ করবে না। ধরুন-আমরা সবচেয়ে আইডিয়াল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললাম ইসলামি আদর্শেরভিত্তিতে। কিন্তু পরিচালনা করছে কম যোগ্যতার লোকজন-তাহলে সেটি ভালো হবে না।
প্রশ্ন: আপনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশে তাকাফুল বা ইসলামি বীমার সম্ভাবনা কতটা?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: সম্ভাবনা ব্যাপক। আমি আগেই বলেছি-যে মানুষগুলো আগে বীমা শরীয়াহ মোতাবেক নয় বলে বীমা করত না, এখন অনেক মানুষ এটি গ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হবে। কিন্তু বীমা সম্পর্কে মানুষের যে নেতিবাচক ধারণা, সেসব প্রশ্ন ইসলামি বীমার ক্ষেত্রেও আসবে। এর সঠিক এবং সুস্পষ্ট উত্তর দেয়ার দায়িত্ব যারা বীমা চালাচ্ছেন তাদের। সুতরাং এই ক্ষেত্রে তাদের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় করণীয় হচ্ছে, মানব সম্পদের উন্নয়ন, আইনানুগ হওয়া, দেশের আইনে-বিধিবিধানে যা আছে তা অনুসরণ করা। বীমাকে আর দশটি ব্যবসার মতো না ভেবে, একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ভাবতে হবে। আমাদের মূল দৃষ্টি দিতে হবে গ্রাহকের স্বার্র্র্থ রক্ষার দিকে। বীমা করে মানুষ ঠকবে এটি হতে পারে না। অতএব আমাদের মানবসম্পদের উন্নয়ন করতে হবে। মানব পুঁজি গড়ে তুলেতে হবে। তাদেরকে আরো বেশি পেশাদার, পেশারপ্রতি আরো দায়িত্বশীল, সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মধ্যে এই বোধ জাগ্রত করতে হবে যে, আমি ভালো কাজ করছি। আল্লাহ আমাকে এর জন্য পুরস্কার দেবে। এই অনুভূতি থেকে এই ভয় থেকে মানুষ যদি বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাহলে এটা ভালো না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রশ্ন: বিধিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি ইসলামি বীমাকে জনপ্রিয় করতে আইডিআরএ আর কী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: আইডিআরএ’র অধীনে বা অনুমোদনে একটি সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিল গঠিত হতে পারে। কোনো বিষয়ে কোনো সাংঘর্ষিক মতামত এলে, যদি দেখা যায় এক কোম্পানির শরীয়াহ কাউন্সিল এক রকম বলছেন, আরেক কোম্পানির শরীয়াহ আরেকটি বলছেন সেক্ষেত্রে সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিল ভূমিকা রাখবে।
শরীয়াহ সুপারভিশন কমিটি করা যেতে পারে। তারা মূলত, শরীয়াহ কার্যক্রম যারা পরিচালনা করছে, সেখানে ইসলামি শরীয়াহ সংক্রান্ত যত সমস্যা হোক সেটি তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে পারবে।
আইডিআরএ’কে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। মনিটরিং এবং সুপারভিশন আরো জোরদার করতে হবে। যদিও আইডিআরএ বলে থাকে তাদের যথেষ্ট জনবল নেই, এজন্য অনেক কিছু করতে পারছে না। কিন্তু জনবল না বাড়ালে কাজ হবে না। তাহলে যে তিমিরে ছিলাম, সেখানেই থাকতে হবে। সুতরাং আইডিআরএ’র জনবল বাড়াতে হবে। তাদের জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আইডিআরএ যখন যোগ্য জনবল থাকবে, প্রশিক্ষিত জনবল থাকবে, পর্যাপ্ত জনবল থাকবে, তখন বীমা কোম্পানিগুলোর যে জনবল রয়েছে তাদেরকেও বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে তোলার সুযোগ হবে। বীমা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে যে ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে, সেটি আরো ব্যাপক পরিসরে করতে হবে। এই যে বীমা মেলা করা হচ্ছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বীমা কোম্পানির লোকজনই যাচ্ছে। বীমা মেলার উদ্দেশ্য হবে বীমার গ্রাহক এবং সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো। তাহলে সচেতনতার জন্য যে কাজ, সেটি ফলপ্রসূ হবে।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Posted ৭:৪৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ মে ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy