বিবিএ নিউজ.নেট | রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট | 362 বার পঠিত
বীমা আইন ভেঙে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ায় ধারাবাহিকভাবে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পুঁজিবাজারে বীমাখাতের একসময়কার ডাকসাইটে প্রতিষ্ঠান ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড (সিজিসি) সম্পর্কিত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইন এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় সম্পর্কিত আইডিআরএ’র নির্দেশনা ভেঙে অতিরিক্ত ব্যয় করে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। আবার পরিচালকদের পর্যাপ্ত শেয়ার না থাকা এবং একই পরিবার থেকে দুইয়ের অধিক পরিচালক মনোনীত হয়ে বারবার বীমা আইন লঙ্ঘন করেছে। এতো অনিয়মের পরও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব পালন করা স্বতন্ত্র পরিচালকরা কোনো আপত্তিই তুলছেন না। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিতে আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সংখ্যক স্বতন্ত্র পরিচালক না থাকাকেই দায়ী করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এদের স্বল্পতায় প্রতিষ্ঠানটি এই সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। তাই বিএসইসি’র আইন পরিপালন নিশ্চিত করতে প্রথমেই বিধি অনুসারে প্রতিষ্ঠানটিতে নির্ধারিত স্বতন্ত্র পরিচালক রাখতে বাধ্য করার বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সিজিসি অনুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালকের ঘাটতি
বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেহেতু কোম্পানি পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে না, তাই তাদের স্বার্থরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন (সিজিসি) নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালের ১০ জুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি। প্রজ্ঞাপনে স্বতন্ত্র পরিচালকের গুরুত্ব বোঝাতে প্রথম দফার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদেই এ সম্পর্কিত বিধান পালনের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে দেখা যায়, প্রতি চারজন পরিচালকের বিপরীতে একজন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাছাড়া পরিচালকদের সংখ্যা চারজনের কম যে কোনো সংখ্যা হলে তাদের জন্যও একজন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকতে হবে বলে এতে জানানো হয়। সংক্ষেপে বলা যায়, পাঁচ ভাগের একভাগ স্বতন্ত্র পরিচালক থাকতে হবে এবং চারজনের কম যে কোনো সংখ্যার বিপরীতে আরেকজন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখতে হবে।
কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০২০ থেকে দেখা যায়, ওই বছর কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে ১৭ জন পরিচালকের বিপরীতে স্বতন্ত্র পরিচালক আছে মাত্র দুইজন। এর মধ্যে একই পরিবারভুক্ত পরিচালক রয়েছেন চারজন।
অথচ সিজিসি অনুযায়ী, ১৭ জন পরিচালক রাখার প্রয়োজন ছিল না। ১৬ জনের বিপরীতে ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার বাধ্যবাধকতা আছে। এতে পরিচালকদের মোট সংখ্যা দাঁড়াতো ২০ জন। সেক্ষেত্রে আইনটি পরিপালন করতে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স থেকে দুইজন পরিচালককে পদত্যাগ করে তার জায়গায় দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ অত্যাবশ্যকীয়। অথচ বিএসইসির প্রজ্ঞাপন (ঝঊঈ/ঈগজজঈউ/২০০৯-১৯৩/০৮) মোতাবেক তারা এ কাজটি না করায়, অর্থাৎ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যর্থতায় প্রতিষ্ঠানটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমনসহ তালিকাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুঁজিবাজারের আরেক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে সিজিসির শর্ত ভঙ্গ করায় বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অতিসম্প্রতি সেখানে আরো দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করে বিএসইসি। ইস্টল্যান্ডে এর পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
স্বতন্ত্র পরিচালক বিষয়ে কোম্পানির বক্তব্য
প্রতিষ্ঠানটির বলছে বীমা আইন অনুসারে তারা দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক রেখেছেন। তাই এখানে আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া এমন বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও অবান্তর বলছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, ‘স্বতন্ত্র পরিচালক সংক্রান্ত নির্দেশনাটি সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ২সিসির আওতাভুক্ত। তাই এই আইনের সাথে সাংঘর্ষিক অন্য আইন থাকলে তাকে সুপারসিড (রহিত) করে বিএসইসির আইন। ফলে বীমা আইনে যাই থাক না কেন, যেহেতু এখন পুঁজিবাজারে আছে প্রতিষ্ঠানটি তাই বিএসইসির অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ২সিসির ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে এটি বীমা আইনকে রহিত করে। ফলে এখানে বীমা আইনের দোহাই দেয়া যাবে না।’
পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করে বরং বিক্রি
তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি স্বতন্ত্র পরিচালকের ক্ষেত্রে বীমা আইন পালনের কথা জানালেও উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ারধারণ সম্পর্কিত আইনটি পালন করেনি। বীমা আইনে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিধান রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আইডিআরএ এবং এটি পরিপালনে সংস্থাটি ইতোমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে। কিন্তু ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স সে আইন পরিপালনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি, উপরন্তু উদ্যোক্তা/পরিচালকদের যে শেয়ার ছিল তা থেকে আরো বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ বার্ষিক প্রতিবেদনে উদ্যোক্তা/পরিচালকরা ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের ঘোষণা দিয়ে পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। পরবর্তীতে শেয়ার না কিনে, বরং উচ্চদরে পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করায় শেয়ারের দর পড়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুঁজিবাজারের হাজারো বিনিয়োগকারী। তাছাড়া বীমা আইনে একই পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুইজন পরিচালক থাকতে পারবে বলে নির্দেশনা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানে মাহবুবুর রহমানের পরিবার থেকে চারজন পরিচালক রয়েছে। এতে বীমা আইন লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহবুবুর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে।
বিধি ভঙ্গ করে একই পরিবারে ৪ পরিচালক
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ মোট ৪ জন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। যা বীমা আইন ও বিধির লঙ্ঘন। কেননা বীমাকারীর নিবন্ধন প্রবিধানমালা, ২০১৩ এর ৩(২)(খ) অনুসারে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জীবন বৃত্তান্ত ফরম (বীউনিক-খ) এর ১৮(ঠ) ক্রমিকে একই পরিবার থেকে দুইজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না বলে বিধান রয়েছে। কিন্তু বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, স্ত্রী হামিদা রহমান, ছেলে রিজওয়ান-উর রহমান এবং মেয়ে সেগুফতা মাহবুব পরিচালক হিসেবে পর্ষদে আছেন। ফলে বীমা আইন লঙ্ঘন হয়েছে।
আইনবহির্ভূত পদ সৃষ্টি করে পদায়ন
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান পদ দেখা গেলেও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কাউকে দেখা যায়নি। এতে বীমা আইনের ৭৯ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন বীমাসংশ্লিষ্টরা। তবে ভাইস-চেয়ারম্যান না থাকলেও এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে গোলাম রহমান নামক সত্তরোর্ধ্ব বয়সের এক ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বীমাখাত-সংশ্লিষ্ট কোনো আইনেই এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান নামে কোনো পদ নেই। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত ও খামখেয়ালিপনার একটি উদাহরণ বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এই পদ সৃষ্টি করে তার বিপরীতে বেতন-ভাতা প্রদান বাবদ প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে কোম্পানির তহবিল থেকে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে মানিলন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
বীমা আইন লঙ্ঘন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাহবুবুর রহমান
বীমা আইনের ৭৫ ধারায় বীমাকারীর কোনো পরিচালককে একই শ্রেণির অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক না থাকার বিধান থাকলেও তা লঙ্ঘন করেছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। তিনি একইসাথে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করছেন। এতেই বোঝা যায়, মূলত নিজেদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটি একেক সময় আইনের একেক ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এ বিষয়ে খাত-বিশ্লেষকদের অভিমত, মাহবুবুর রহমান দেশের আর্থিকখাত ও মিডিয়া অঙ্গনের একজন বরেণ্য ব্যক্তি। বিভিন্ন প্রোগ্রাম, টকশোতে তার জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শোনার জন্য অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু তার প্রতিষ্ঠানে তারই হাতে আইন লঙ্ঘনের এমন ঘটনা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের পরও অডিটরের অনাপত্তি
এদিকে নিয়মানুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালক কম থাকার সুযোগে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা ব্যয় বেশি দেখিয়ে সরকারি রাজস্বের একটি বড় অংশ ফাঁকি দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না হলে এই অর্থ কোম্পানির মুনাফায় যুক্ত হতো। সেক্ষেত্রে সরকার এখান থেকে আরো বেশি রাজস্ব পেতো এবং বিনিয়োগকারীরা তাদের ২০-৩০ শতাংশ লভ্যাংশ পেতো। (অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ে ব্যাংক বীমা অর্থনীতির বিস্তারিত প্রতিবেদন আসছে পরবর্তীতে)
মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য
প্রতিষ্ঠানটির এসব অনিয়ম নিয়ে চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোম্পানির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এতোদিন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন?’ আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে থাকার বিষয়ে বলেন, ‘আমি ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হওয়ার পরও এ নিয়ে আইডিআরএ কোনো আপত্তি তোলেনি।’ অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান রয়েছে।’
অনিয়মে জড়িত থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের
এই অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে যদি আইডিআরএ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আপত্তি তোলা হয়, তবে রাজস্ব খাতে সরকারি ন্যায্য কর প্রদানের পাশাপাশি অতিরিক্ত জরিমানাও হতে পারে। এ বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস থেকে কোনো আপত্তি না দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিনিয়োগকারীরা। এক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলে (এফআরসি) নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া আইডিআরএর কাছেও অর্থ পুনর্ভরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এতে কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি ভেঙে পড়বে। তাছাড়া আইন ভঙ্গের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির ওপর যে বিপুল পরিমাণ জরিমানা আরোপ হতে পারে, তাতে কোম্পানির অর্থনৈতিক অবস্থান একেবারেই ধসে পড়বে বলে আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের। তাই তাদের স্বার্থরক্ষার্থে অচিরেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বীমা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে কোম্পানিকে বাঁচাতে এখানে প্রশাসক বসানোর মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
Posted ১:২৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy