| রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট | 244 বার পঠিত
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)-এর উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-২০২২ পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)এর চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন এফসিএ এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলাম, ও সদস্য (আইন) মো. দলিল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন ভার্চুয়ালি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা দিবস বা জাতীয় দিবস যাই বলি না কেন স্বাধীনতার কথা বলতে গেলেই চলে আসে বঙ্গবন্ধুর কথা। আর বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন, বাঙালিরা আমাকে মারতে পারে না এমনকি সিকিউরিটি গার্ডদের তিনি মাঝে মাঝেই এ কথা বলতেন। অথচ আজ দুঃখের সাথে বলতে হয়, এই বাঙালিরাই তাকে স্বপরিবারে মেরেছেন। বঙ্গবন্ধু বীমা খাতে কাজ করেছেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন এ খাতকে সামনে রেখে। এখাতের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার আছে।
নন-লাইফে যেমনি হোক না কেন, জীবন বীমায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করার অনেক কিছু আছে। এ খাতে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকে বলে এ খাত মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। আমি কিন্তু এ খাতে আস্থার অভাব রয়েছে বলে মনে করি না। যেহেতু বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজেই বলেছেন তিনি বীমা পরিবারের একজন। এ খাতে আমাদের উপর মানুষের আস্থা আছে সেটা আরো বাড়াতে হবে। আমরা যারা ইন্স্যুরেন্সে কাজ করি তাদের পরিবার থেকে বীমা করা শুরু করতে হবে। আমাদের পরিবারে ছেলে মেয়েদের সামনে বীমার সুফল পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বীমা খাতে কাজ করেছেন এসব বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। এতে তাদের মনে ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হবে। তাহলে এখাতে একদিন সফলতা আসবেই। আর একটি পরিবারে যেন আমরা সমালোচিত না হই তার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আলোচনা করার শক্তি আমার নেই শুধু তার একটি বক্তব্যই বলবো-একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি, একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ আমি এটাই বলব, তিনি শুধু বাঙালিই ছিলেন না তিনি বিশ্বের সেরা মানুষ। তিনি শুধু বাঙালিই নয় বিশ্বের নিপিড়িত, নির্যাতিত, অবহেলিত এবং মুক্তিকামী মানুষের মুখপত্র।
প্রধান অতিথি ড. এম মোশাররফ হোসেন এফসিএ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য দরকার অর্থনৈতিক মুক্তি। আর আমরা এই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বীমা খাত তার জন্য উত্তম একটি জায়গা। বঙ্গবন্ধুর যে চিন্তা চেতনা ছিল তার বেশির ভাগই এ খাতের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু যখন ৪০ বছর বয়সে বীমা খাতে কাজে আসে তখন আসলে কেন এই বয়সে কাজের প্রয়োজন সহজেই অনুমান করা যায়। তিনি চেয়েছেন দেশের মুক্তি। দেশের মুক্তির জন্যই কিছু সময়ের জন্য বীমা পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন। ইন্স্যুরেন্সের পরিধিকে কাজে লাগিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন এবং দেশের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেন, সেজন্যই তিনি এ পেশায় এসেছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা ধারণার বাইরে। কোন একজন মানুষের সামনে যত বেশি বাধা থাকে সে তত বেশি শক্তি সঞ্চয় হয়। এটা প্রকৃতির নিয়ম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ আমাদের দেশকে ইর্ষার একটি জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছেন এককভাবে। কারণ তিনি অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আর এই জন্য তার মধ্যে কাজের স্পৃহা অনেক বেশি। আমাদের যে লক্ষ্য ছিল সেগুলো আরো আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে নেয়া উচিত ছিল, তাহলে আমরা অনেক আগেই আমাদের লক্ষ্য ও অবস্থানে পৌঁছতে পারতাম। ইন্স্যুরেন্স খাতে জিডিপি নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়। এটা ঠিক নয়। কাউকে যদি বলা হয়ে তোমাকে এ রেজাল্ট এনে দিতে হবে। আগে তাকে সেই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে হবে।
আর এখন আমরা সেই প্ল্যাটফর্ম নিয়েই কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এসব বিষয়ে কাজ করার জন্য সহায়তা করে যাচ্ছেন। দেশের অনেক সূচক আছে যেগুলো আমরা পাশের দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছি। কিন্তু বীমা খাতের সূচকের দিকে তাকালে সেটা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি যাতে আগামী দিনগুলোতে জিডিপিতে বীমা খাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন, জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী ও রূপালী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে রায়, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল খালেক মিয়া।
Posted ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy