নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 396 বার পঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বিশেষভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বীমাদাবি পরিশোধের প্রয়াস’ শীর্ষক অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্থাটি। এখন থেকে প্রতি মাসের ২য় ও ৪র্থ বুধবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বীমা গ্রাহকদের দাবি পরিশোধের চেক হস্তান্তর করা হবে।অনুষ্ঠানটি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত একযোগে জুম অ্যাপস ও ফেসবুক লাইভে স¤প্রচার করা হয়। এ সময় ১৩টি লাইফ বীমা কোম্পানির ২৬ জন গ্রাহকের নমিনির কাছে প্রায় ১০ কোটি টাকার মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর করা হয়।
কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোশার্রফ হোসেনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনিয়ারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ই-রিসিটের মাধ্যমে গ্রাহকদের নমিনির কাছে আজ যে দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে তাতেই বোঝা যায় এ খাত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে ডিজিটাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে বীমা খাত। তাছাড়া এ খাতের সাথে যারা সম্পৃক্ত রয়েছেন তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, জাতির পিতা তিনিও বীমা খাতের মানুষ। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে বীমার বীজ বপন করেছিলেন। সে সময়ে তিনি যে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিলেন মূলত তার উপরেই আমরা পথ চলছি। আমাদেরকে এটা আরো বিস্তৃত করতে হবে।
বীমা খাতের উন্নয়নে মানুষের আস্থা অর্জনের প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়লেই বীমার পেনিট্রেশন বাড়বে। এজন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে থাকার ও দক্ষ জনশক্তি দরকার। এভাবে প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির সমন্বয়ে যথাসময়ে বীমাদাবি পরিশোধ হলে মানুষের আস্থা বাড়বে। ছোটখাটো বিষয়ে দাবি আটকে না রেখে পরিশোধ করতে হবে। আবার পলিসিহোল্ডারদের নির্ঝঞ্ঝাট সুবিধা দিয়ে সেক্টরের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সিইওদের ভালোভাবে দেখতে হবে।
কোম্পানিগুলোর দাবি পরিশোধের বিষয়ে তিনি বলেন, এ সেক্টরের উন্নয়নে প্রথমেই দাবি পরিশোধের দিকে নজর দিতে হবে। এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বীমা কোম্পানির মূল কাজই হলো দাবি পরিশোধ। এর জন্যই তো পলিসি ইস্যু করা হয়। তাই দাবি পরিশোধে গুরুত্ব দিতে হবে। ইতিপূর্বে দাবি পরিশোধ না করার অনেক অভিযোগ ছিল। তবে আইডিআরএ’র মাধ্যমে সেখানে শৃঙ্খলা আসছে। পাশাপাশি অঙ্গসমূহ যেমন- বীমা অ্যাকাডেমি, ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফোরামের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে সার্বিক খাতের উন্নয়নের জন্য। এটা অত্যন্ত জরুরি, মন্ত্রণালয় থেকে সে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি অটোমেশনে যেতে হলে আরো বড় প্রজেক্ট নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনারা (সিইও’রা) বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও চিন্তাভাবনা করে প্রস্তাব করেন, আমরা দেখবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, আইডিআরএ’র সদস্য মো. দলিল উদ্দিন (আইন), মইদুল ইসলাম (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলীসহ বিভিন্ন জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা। সভা সঞ্চালনা করেন আইডিআরএর নির্বাহী পরিচালক সরোয়ার আলম।
Posted ৪:৫২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed