| শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 307 বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা তছরুপ, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিশেষ নিরীক্ষা দলকে অসহযোগিতাসহ বীমা আইন লঙ্ঘণের অভিযোগে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে অপসারণ করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর নির্বাহী পরিচালক (লাইফ) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীর স্বাক্ষরে জারি করা অফিস আদেশে সিইও বিশ্বজিৎকে অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট তাকে বীমা আইন, ২০১০ এর ৫০ (১) (খ) ধারা মতে সিইও’র দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইডিআরএ। একই সঙ্গে সিইও’র পদ থেকে উক্ত আইনের এর ৫০ (১) (খ) ধারা মতে কেনো তাকে অপসারণ করা হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বজিৎকে অপসারণ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ব্যাংক বীমা ও আর্থিক খাতের জাতীয় ‘দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতি’ পত্রিকায় হোমল্যান্ড লাইফের সিইও বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের নানা অনিয়ম, গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা লোপাট এবং দুর্নীতির সুনিদিষ্ট অভিযোগে বেশকিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়। এগুলো আমলে নিয়ে আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর থেকেই হোমল্যান্ড লাইফের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির খতিয়ান গণমাধ্যম ও আইডিআরএ’র কাছে উন্মোচন হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বীমা আইন, ২০১০ এর ৫০ ধারার ১ (খ) এর মোতাবেক বিশ্বজিৎকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
অপসারণের আদেশে বলা হয়েছে, বীমা আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারার বিধান মোতাবেক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য “হুসেইন ফরহাদ এন্ড কোং” কে নিয়োগ করা হয়। ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জারিকরা চিঠিতে অডিট ফার্মকে বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য হোমল্যান্ড লাইফের সিইও বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও হোমল্যান্ড লাইফের সিইও ‘অডিট ফার্মকে’ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেনি বলে ‘অডিট ফার্ম’ ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ সালে লিখিতভাবে আইডিআরএ’কে বিষয়টি অবহিত করে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি আইডিআরএ’র উদ্যোগে হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে অডিট ফার্মের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে শুনানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে শুনানির আগেই অডিট ফার্মকে প্রয়োজনীয় রেকর্ড পত্র সরবরাহ করতে বিশ্বজিৎকে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আইডিআরএ’র ভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ নিরীক্ষা ‘এক্সিট’ সভায় কোম্পানির সিইও বিশ্বজিৎ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় গুরুত্বপূর্ণ নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণের বিষয়ে রেকর্ডপত্র প্রদান না করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। অডিট ফার্মের দাখিলকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের বিভিন্ন দফায় উল্লেখ রয়েছে যে, নিরীক্ষা কাজে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় লেনদেনের তথ্য, বিল, ভাউচার, দলিলাদি সরবরাহ না করায় বিশেষ নিরীক্ষা কাজ সময় মতো সম্পন্ন করতে পারেনি।
আইডিআরএ’র আদেশে আরও বলা হয়, গত ১৫ মে হোমল্যান্ড লাইফের কাছে অডিট ফার্মের প্রতিবেদনের উপর দফা ওয়ারি জবাব চাওয়া হয় হোমল্যান্ড লাইফের সিইও’সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে। জবাব পাবার পর গত ১০ আগস্ট আইডিআরএ’র উদ্যোগে হোমল্যান্ড লাইফ এবং অডিট ফার্মের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অডিট ফার্মকে কোম্পানির অসহযোগিতার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। অপরদিকে বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের পক্ষ থেকে আইডিআরএ’র নিকট লিখিত ব্যাখ্যায় বেরিয়ে আসে অসত্য তথ্য প্রদানের বিষয়টি। একই সাথে বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন এবং তার অসহযোগিতার বিষয়গুলো ত্রিপক্ষীয় সভায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
হোমল্যান্ড লাইফের ব্যাংক হিসাবে অনিয়ম: হোমল্যান্ড লাইফের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ২৬৭টি। সিইও বিশ্বজিতের অসহযোগিতায় অডিটর ২০১৮ সালের ব্যাংক স্থিতি ৫৪ কোটি ৯৭ লাখ, ২০১৯ সালে ৫৮ কোটি ৯৮ লাখ এবং ২০২০ সালে ব্যাংক স্থিতি ৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যাংক স্থিতি সম্পকে নিশ্চিত হতে পারেনি বলেছে নিরীক্ষা দল।
লাইসেন্স বিহীন এজেন্টকে কমিশন প্রদান : নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী হোমল্যান্ড লাইফের ২০১৮ সালে লাইসেন্স বিহীন এজেন্ট সংখ্যা ছিল ২,১০৬ জন, ২০১৯ সালে ২,১৭৮ জন এবং ২০২০ সালে ২,১৪৬ জন। গত তিন বছরে মোট এজেন্টের সংখ্যা ছিলো ৬,৪৩০ জন। লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও তাদের বেআইনিভাবে কমিশন প্রদান করেছেন বিশ্বজিৎ। তিনি আইডিআরএ দাখিলকৃত লিখিত ব্যাখ্যায় দাবি করেছেন যে, বীমা আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষে সকল লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু শুনানিতে জেরাকালে বিশ্বজিৎ বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন যে, মাত্র ৪৭২ জন এজেন্টের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন এবং মিথ্যাচারের জন্য তাৎক্ষণিক ক্ষমা চান। কিন্তু ৬,৪৩০ জন এজেন্টকে কোন সালে মোট কত টাকা কমিশন প্রদান করেছেন তার বিস্তারিত তথ্য নিরীক্ষা দলকে প্রদান করা হয়নি। ফলে কোম্পানির প্রকৃত ব্যবস্থাপনা ব্যয় অনুমোদিত সীমার মধ্যে ছিল কিনা তা নিরীক্ষা দল প্রমাণ করতে পারেনি। জেনেশুনেই তিনি বীমা আইন লঙ্ঘন করেছেন।
অনিষ্পন্ন বীমা দাবির সংখ্যায় গড়মিল: অডিট ফার্ম তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ২০২০ সালে কোম্পানির প্রদত্ত তথ্য এবং নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে অনিষ্পন্ন বীমা দাবির মধ্যে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার পার্থক্য তুলে ধরেছেন। হোমল্যান্ড লাইফ নিরীক্ষা দলকে অনিষ্পন্ন বীমা দাবি এবং গ্রাহক সংখ্যার তথ্য প্রদান করেনি। কোম্পানির সিইও আইডিআরএ দাখিলকৃত লিখিত ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন যে, গ্রাহকদের নিকট হতে দাবির আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই সাপেক্ষে বীমা দাবির অর্থ পরিশোধ করা হয়। তিনি লিখিত ব্যাখ্যায় দাবি করেন যে, ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় তা হিসাবভুক্ত করা হয়নি। ত্রিপক্ষীয় শুনানীকালে ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল স্বীকার করেন যে, কোম্পানির অনিষ্পন্ন বীমা দাবির পরিমাণ ১২ কোটি ৬ লাখ টাকার চেয়েও অনেক বেশি এবং তা হিসাবভুক্ত করণে কোম্পানির ভুল হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি নিরীক্ষা দলকে সঠিক তথ্য না দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। ফলে কোম্পানির অনিষ্পন্ন বীমা দাবি সম্পর্কে আইডিআরএ নিশ্চিত হতে পারেনি।
হিসাববিহীন নবায়ন প্রিমিয়াম আয়: কোম্পানির ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের নবায়ন প্রিমিয়াম আয় যাচাই করার জন্য নিরীক্ষা দল পলিসি টেবিল, পিআর, ডিসিএস, ব্যাংক ও শাখাভিত্তিক প্রিমিয়াম রশিদের সারাংশ দেয়ার কথা বলে। হোমল্যান্ড লাইফের সিইও আইডিআরএ দাখিলকৃত লিখিত ব্যাখায় জানিয়েছেন যে, নিরীক্ষা দলের চাহিদা অনুযায়ী যাবতীয় তথ্য ও সমুদয় ব্যাংক বিবরণী দেয়া হয়েছে। তবে ত্রিপক্ষীয় শুনানিকালে তিনি স্বীকার করেন যে, কোম্পানির মাত্র তিনটি শাখার একটি সারাংশ দিয়েছে, যাতে ব্যাংকভিত্তিক প্রিমিয়াম রশিদ ছিল না। ঐ তিনটি শাখার ব্যাংক হিসাব ও রশিদের মধ্যে নিরীক্ষা দল গড়মিল পেয়েছেন। যাতে দেখা যায়, কোম্পানির ২০১৮ সালে ব্যাংকে জমা করা হয় ৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্তু জমাকৃত রশিদে দেখা যায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ব্যাংকে জমা দেখানো হয় ১১ কোটি টাকা। কিন্তু জমাকৃত রশিদে দেখা যায় ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আবার ২০২০ সালে ব্যাংকে জমা করা হয় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু জমাকৃত রশিদে দেখা যায় ৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ওই তিন বছরে মোট এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার গড়মিলের বিষয়টি উঠে এসেছে।
নবায়ন পলিসির সংখ্যায় গড়মিল: কোম্পানির নবায়ন পলিসির সংখ্যার মধ্যে গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। ২০১৮ সালে ব্যাংকে জমাকৃত গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১৪ হাজার ১৬৫ জন আর জমাকৃত গ্রাহকের রশিদ ছিলো ১৫ হাজার ১৫৩ জনের। ২০১৯ সালে ব্যাংকে জমাকৃত গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ২১ হাজার ১৮৩ জন আর জমাকৃত গ্রাহকের রশিদ ছিলো ২২ হাজার ১০৮ জন। ২০২০ সালে ব্যাংকে জমাকৃত গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ১৮ হাজার ৮৭৯ জন আর জমাকৃত গ্রাহকের রশিদ ছিলো ১৯ হাজার ৩৬৯ জন। এখানে গ্রাহকের সংখ্যার মধ্যে গড়মিল রয়েছে ২ হাজার ৪০৩ জন। কোম্পানির সিইও ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল প্রকৃত তথ্য প্রদান না করায় কোম্পানির ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের নবায়ন প্রিমিয়াম আয়ের যথার্থতা সম্পর্কে নিরীক্ষা দল নিশ্চিত হতে পারেনি। সিইওর অসহযোগিতার কারণে এটি ঘটেছে, যা ত্রিপক্ষীয় শুনানিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যবসায় সমাপনী ও প্রিমিয়াম আয়ের তথ্যে জালিয়াতি: অডিট ফার্মের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কোম্পানির ব্যবসায় সমাপনী এবং প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের সঠিক তথ্য প্রদান করেনি। বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল আইডিআরএ’র নিকট দাখিলকৃত লিখিত ব্যাখ্যায় সকল তথ্য প্রদান হয়েছে দাবি করলেও ত্রিপক্ষীয় শুনানীতে জেরায় তিনি স্বীকার করেন যে, নিরীক্ষা দলের চাহিদা অনুযায়ী সকল তথ্য ও রেকর্ড সরবরাহ করা হয়নি। বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের অসহযোগিতার কারণে এটি ঘটেছে যা ত্রিপক্ষীয় শুনানী কালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অডিট ফার্মকে অসহযোগিতা: অডিট ফার্ম তার নিরীক্ষা প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হোমল্যান্ড লাইফের প্রশাসনিক এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ব্যয় যাচাই করার জন্য নিরীক্ষা দলকে ভাউচার ও নথি প্রদানে অসহযোগিতা করেছে। এছাড়াও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ২০১৮ সালে ২ কোটি ২৩ লাখ ৯৪২ টাকা, ২০১৯ সালে ৪ কোটি ৯১লাখ ৬৫৩ টাকা এবং ও ২০২০ সালে ১২ কোটি ৮২ লাখ ৯১৭ টাকার সন্দেহজনক ব্যয় চিহ্নিত করেছে। নিরীক্ষা দল সকল বিল, ভাউচার, রেকর্ড, নথি পর্যালোচনা করলে উল্লিখিত বছরসমূহে আর্থিক অনিয়মের টাকার পরিমাণ অনেকগুণ বেশি হতো মর্মে আইডিআরএ’র নিকট গণ্য হয়েছে। ত্রিপক্ষীয় শুনানী কালে বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের নিরীক্ষা দলকে এ কাজে অসহযোগিতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কর্মকান্ডে বীমা আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে এবং বিশেষ নিরীক্ষার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি তার পূর্বসূরীদের অনিয়ম গোপন করেছেন। তার উপরোক্ত কার্যকলাপ বীমা আইন ২০১০ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বীমাকারী ও বীমা গ্রাহকদের স্বার্থের পরিপন্থি। বীমা আইন, ২০১০ এর ৫০ (১) (খ) ধারামতে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থণের সুযোগ দেওয়া হলেও তিনি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেন। তার বক্তব্য অসন্তোষজনক ও অগ্রহণযোগ্য। ফলে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থণে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাই বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের উপরোক্ত কার্যকলাপ ও আচরণের মাধ্যমে বীমা আইন ২০১০ লঙ্ঘন করায় এবং এর ফলে কোম্পানির ও বীমা গ্রহিতাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে বিধায় বীমা আইন, ২০১০ এর ৫০(১)(খ) ধারামতে বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে হোমল্যান্ড লাইফের মুর্খ নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
এদিকে খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিশ্বজিতের মতো এমন ধূর্ত, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইডিআরএ’র সাহসী পদক্ষেপকে স্যালুট। অদূর ভবিষ্যতে আইন পরিপালনে অনিহা প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তারা আরো অভিমত দেন যে বিশ্বজিৎকের অপকর্মের অন্যতম সহযোগী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আলী মিয়াকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে হোমল্যান্ড লাইফের কর্পোরেট সুশাসন পরিপালন বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মিয়ার বক্তব্য জানতে দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে জানান। আইন লঙ্ঘন করে ছুটির দিনে মিটিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
Posted ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy