| মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 877 বার পঠিত
তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতির দিক থেকে এবারের বিপিএল ছাপিয়ে গেছে আগের আসরগুলোকে। তার পরও লিগের প্রথম সেঞ্চুরি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হলো ২৩তম ম্যাচ পর্যন্ত। চলতি ষষ্ঠ বিপিএলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ দূর করলেন রাজশাহী কিংসের ইংলিশ রিক্রুট লরি ইভান্স। কাউন্টিতে সাসেক্সের হয়ে খেলা এ ইংলিশ ওপেনার অপরাজিত থাকলেন ১০৪ রানে। গতকাল তার সেঞ্চুরির দিনে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম রাব্বীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আত্মসমর্পণ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ৩৮ রানে হেরেছে তারা।
এটি রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়। সাত ম্যাচে চার জয়ে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে কুমিল্লার ঝুলিতেও ৮ পয়েন্ট। তবে নিট রান রেটে এগিয়ে কুমিল্লা তিনে আর চার নম্বরে রাজশাহী।
গতকাল মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর শুরুটা ভালো হয়নি। ২৮ রানের মধ্যেই তারা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এরপরই ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাটের দুর্দান্ত জুটি। গত বছর ইংল্যান্ডের টি২০ ব্লাস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইভান্স বিপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচে করতে পারেন মোটে ১৩ রান। চার ইনিংসে দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি। সেই ইভান্সই গতকাল খেললেন এবারের বিপিএলের সবচেয়ে আলোচিত ইনিংসটি। ষষ্ঠ ওভারে শহীদ আফ্রিদিকে সীমানাছাড়া করেন তিনবার। ১৪তম ওভারে থিসারা পেরেরাকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। পরের পঞ্চাশ রান করতে ইভান্সের লেগেছে মাত্র ২১ বল। আগের ওভারে পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে দুই ছক্কা ও এক চারে ৮৩ থেকে পৌঁছে যান ৯৯-এ। শেষ ওভারে থিসারা পেরেরাকে লং অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক। এটি ইভান্সের ক্যারিয়ারে প্রথম টি২০ সেঞ্চুরি। আর বিপিএলে ১৩তম সেঞ্চুরি। মাত্র ৬২ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান এই ইংলিশ ওপেনার। তাকে সুযোগ্য সঙ্গ দেয়া ডেসকাট ৪১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। ৮৩ বলের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৪৮ রান যোগ করেন দুজন। এটি বিপিএলে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর দিয়ে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৬/৩।
জবাবে তামিম ইকবাল (২৫) ও এনামুল হক বিজয় (২৬) ইঙ্গিত দেন ভালো শুরুর। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৭ রান যোগ করেন দুজন। কিন্তু এ জুটি ভাঙনের পর স্বল্প বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। ১১০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকেই যায় দলটি। জয়ের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন পড়ে ৬৩ রান। ১৬তম ওভারে কাইস আহমেদকে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৮ রান তুলে ব্যবধান কমিয়ে আনেন আফ্রিদি। তবে পরের ওভারে দুর্দন্ত বোলিংয়ে মুস্তাফিজ দেন মাত্র ৩ রান। এরপর রাব্বীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্রিস্টিয়ান ইয়ঙ্কারের হাতে ধরা পড়েন আফ্রিদি (১৭)। ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে লিয়াম ডসন (১৭) ও সাইফউদ্দিনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান রাব্বী। হ্যাটট্রিক না পেলেও ৩ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট নেন রাব্বী। ১৩৮ রানে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।
অন্য ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। রবি ফ্রাইলিংয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কঠিন সে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে চিটাগং ভাইকিংস। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং। ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে ঢাকা ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চিটাগং।
Posted ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed