নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট | 280 বার পঠিত
ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস ও শহরগুলোতে জনসংখ্যার চাপ কমাতে গ্রামে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কাজ করছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। গত ২৮ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রেরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইডিআরএ। এমনটাই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
আইডিআরএ সূত্রে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কৃষকদের জন্য শস্য বীমা, প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বীমা, বঙ্গন্ধু শিক্ষা বীমা এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্প চালু করেছে আইডিআরএ।
জানা গেছে গত ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পরিকল্পের আওতায় রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকের (মা-বাবা অথবা আইনগত অন্য কোন অভিভাবক) মৃত্যু বা দূর্ঘটনায় স্থায়ী পঙ্গুত্ব-অক্ষমতায় শিক্ষার্থীর লেখাপড়া যেন ব্যাহত না হয় মূলত: সে বিষয়টি বিবেচনায় পরিকল্পটি চালু করা হয়েছে। এছাড়া মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে স্বাস্থ্য বীমা চালু করেছে। পরিকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইডিআরএ এবং সাধারণ বীমা করপোরেশন কাজ করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে কৃষকদের জন্য শস্য বীমা ও প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা প্রণয়ন আইডিআরএ’র অন্যতম অবদান বলে বিবেচনা করছে দেশের বীমা সংশ্লিষ্টরা। শস্য বীমা সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, কৃষি আমাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগে কৃষকদের উৎপাদিত এ ফসল নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে কৃষক ও তার উপর নির্ভরশীল সকলেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য শস্য বীমা প্রণয়ন করে আইডিআরএ। ইতোমধ্যে বাগেরহাট ও নেত্রকোণার ১৫ হাজার কৃষককে পরীক্ষামূলক এ বীমার আওতায় আনা হয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে সাধারণ বীমা করপোরেশন ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এরই মাঝে পরিকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এদিকে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা সম্পর্কে জানা যায়, দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ শ্রমিক হিসেবে অন্য দেশে কর্মসংস্থানের জন্য যান। প্রবাসের প্রতিকূল পরিবেশ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অনেক শ্রমিকই মৃত্যুবরণ করেন বা মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে প্রবাসী কর্মী বীমা নীতিমালা তৈরী করে আইডিআরএ। বর্তমানে জীবন বীমা করপোরেশনের আওতায় পরিচালিত এ পরিকল্পটিতে সকল প্রবাসী শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা সরকারের একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
Posted ২:২৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy