এস জেড ইসলাম | রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 380 বার পঠিত
অতিরিক্ত কমিশন প্রদান, অনুমোদন ছাড়া শাখা স্থাপন, স্থাবর সম্পদ ও শেয়ার বিনিয়োগে আইন ভঙ্গসহ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর বিশেষ নিরীক্ষায় প্রাইম ইসলামী লাইফে এমন ১৬টি গরমিল তথ্য পেয়েছে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান। পরে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানকে শোকজ নোটিশ পাঠায় বীমা নিয়ন্ত্রক। গত ৩১ জানুয়ারি শোকজের জবাব দিয়েছে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বীমা আইন-২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী পুঁজিবাজারভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে ২০১৫-২০১৭ সালের জন্য বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আইডিআরএ। এজন্য অডিট ফার্ম মেসার্স এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোং. চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগ করে সংস্থাটি। নিরীক্ষায় ১৬টি বিষয়ে আপত্তি তুললেও ১৩টি ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে।
যেসব বিষয়ে আইন লঙ্ঘন হয়েছে তা হলো- সীমা ভেঙে অতিরিক্ত কমিশন প্রদান, অনুমোদন ছাড়া শাখা কার্যালয় স্থাপন, কমিশনের উপর কর্তন করা ট্যাক্স জমা না দেয়া, লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ, গ্রাহকের প্রিমিয়ামের টাকা থেকে এজেন্টের কমিশন নেয়া, নিয়ন্ত্রক সংস্থায় পুনর্বীমার তথ্য নিয়মানুযায়ী প্রদান না করা, গাড়ির লগবুক যথাযথভাবে না রাখা ও আইএএস-১৬ লঙ্ঘন করে মেরামত-সংরক্ষণের যাবতীয় ব্যয় মূলধন হিসেবে দেখানো, সম্পদ ব্যয় ও অবচয়ের ক্ষেত্রে উত্থাপিত প্রশ্নের যথাযথ তথ্য দিতে না পারা, স্থাবর সম্পদ ও শেয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘন, নির্ধারিত সীমা ভেঙে আনুমানিক ৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ এবং গ্রাহককে দাবিপূর্তির টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করে পুনরায় বীমা করতে চাপ প্রয়োগ ইত্যাদি।
নিরীক্ষক প্রতিবেদন উত্থাপিত এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি প্রাইম ইসলামী লাইফকে শোকজ নোটিশ পাঠায় আইডিআরএ। এরপর গত ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদান করে সিইও আপেল মাহমুদ। চিঠিতে অডিটরের তোলা আপত্তি সম্পর্কে স্বীকারোক্তি দিয়ে সেসব বিষয় যথাযথ পরিপালনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাইম ইসলামী লাইফের সিইও আপেল মাহমুদের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, ‘উল্লিখিত বিষয়গুলো তৎকালীন ম্যানেজমেন্টে কারণে হয়েছে। আমি ২০১৯ সালে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে যথাযথভাবে আইন পরিপালনের চেষ্টা করছি, যার ফলে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ক্ষেত্রে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পুনঃভরণ করা হয়েছে।’ এসব অনিয়মের ক্ষেত্রে আইডিআরএ কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা- জানতে চাইলে বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি আমাদের জবাব পেয়ে এবং আইন পরিপালন করছি, এটা জানতে পেরে আইডিআরএ কনভিন্সড হয়েছে। তাই এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
Posted ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy