মো. মানসুর আলম সিকদার | বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 2628 বার পঠিত
প্রতিটি মোটরযানের Comprehensive অথবা (1st Party) বীমা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে প্রায় সবাই এক মত পোষণ করছেন। একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে প্রতিটি মানুষকেই তার মতামত প্রকাশ, চলার স্বাধীনতা, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা অথবা স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার থাকার কথা। ঠিক একইভাবে কোনো মোটরযান মালিককের ওপর কোনো কিছুই চাপিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভিন্নমত থাকতেই পারে। বিশিষ্টজনদের অনেকেই প্রতিটি মোটরযানের মালিকদের Comprehensive অথবা (1st Party) বীমা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করছেন। আবার অনেকেই এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন। একজন মোটরযান মালিক বলেছেন, মোটর বীমা যেহেতু করতেই হবে সে ক্ষেত্রে (Third Party Liability) নামে বাধ্যতামূলক মোটর বীমা চালু করা উচিত। তিনি আরও বলেন, মোটর বীমার ক্ষেত্রে (Third Party Liability) করবে কি করবে না সেটা বীমা গ্রাহকের ব্যপার, এগুলোর ব্যাপারে কাউকে বাধ্য করা উচিত নয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জানমালের কথা চিন্তা করে রাষ্ট্র বাধ্যতা মূলকভাবে মোটর বীমা চালু করতে যাচ্ছে। তবে সেটা পূর্বের মতো হয়তো হবে না। মোটর সড়ক অ্যাক্ট ১৯৮৩, প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয় ২০০১ সালে: (ক) মৃত্যু: ২০ হাজার টাকা, (খ) গুরুতর আঘাত : ১০ হাজার টাকা, (ঘ) যে কোনো আঘাত : ৫ হাজার টাকা, (গ) সম্পত্তির ক্ষতি: ৫০ হাজার টাকা, যা বর্তমান বাজারে একেবারেই অপ্রতুল। সে জন্য আইনের এ ধারাগুলো পরিবর্তন এবং শ্রম আইন ১৯১৮ আইন আইনের আলোকে ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারিত হতে পারে। প্রিমিয়ামের হারও পরিবর্তিত হতে পারে। যদি মোটর বীমা বাধ্যতামূলভাবে চালু হয় তাহলে কমপক্ষে ১৩ শতাংশ বীমা প্রিমিয়াম বেড়ে যাবে যা বাংলাদেশের নন-লাইফ বীমা সেক্টরে এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
(১) শ্রম আইন ১৯১৮ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান: শ্রম আইন ১৯১৮ আইন অনুযায়ী কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হয়। কোনো শ্রমিক আহত হওয়ার পর পঙ্গু হলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার করে প্রদান করা অর্থাৎ তদ্রুপভাবে প্রত্যেক পথচারি, হেলপার, ড্রাইভার এবং যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ একই ভাবে প্রদান করা যেতে পারে। তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি প্রদান করার ক্ষেত্রে Act. Premium Basic, Motor Tariff অনুযায়ী (More or/ Less) নির্ধারণ করা যেতে পরে। যে কোনো শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কার্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনার ফলে কোন শ্রমিক আহত কিংবা মৃত্যু বা কোন অঙ্গহানী হলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে অথবা তার উত্তরাধিকারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
২) শ্রম আইন ১৯১৮ আইনে ১৫১ ধারায় বলা হয়েছে: বাংলাদেশ ইপিজেট শ্রম আইন ১৯১৮ সেকসন ১৮ বলা হয়েছে যদি কোনো শ্রমিক কোনো মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্তত ১ বৎসরের অধিককাল চাকরিরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোনো মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোনো পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ৬ মাসের অধিক সময় চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারণে পরবর্তীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের মজুরি প্রদান করিবেন এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ করিলে যে সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।
এর বাইরে শ্রমিক স্বাভাবিক নিয়মে অবসর গ্রহণ করলে যা প্রাপ্য হতো তাও শ্রমিকের উপরিউক্ত পাওনার সাথে যুক্ত হবে। শ্রম আইনের ১৫১ ধারা মোতাবেক চাকরিরত অবস্থায় আহত হয়ে কোনো শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হয়। কোনো শ্রমিক আহত হওয়ার পর পঙ্গু হলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাপ্য হয়। আবার কোন শ্রমিক আহত হয়ে হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গহানির কারণে আংশিক কর্ম ক্ষমতা হারালে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আনুপাতিক হারে তফসিল-১ এ নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হয়।
৩) পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য দেশেই মোটর বীমা বাধ্যতামূলক: পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য দেশেই মোটর বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই এখানে মোটর বীমা করার ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করার কোন সুযোগ নাই। তবে যে, প্রতিটি মোটরযানের Comprehensive অথবা (1st Party) বীমাই করতে হবে এমন কোনো কথা কোথাও উল্লেখ নাই। বাংলাদেশে দায়যুক্ত বীমাপত্রে (Act. Liability) বীমাটি ছিল বাধ্যতামূলক, এই কারণে যে, আইনের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে বীমাটি করা হত কিন্তু ২০ /১২/২০২০ তারিখে এ সংক্রান্ত সার্কুলার নং- নন-লাইফ ৮২/২০২০ জারি করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা তথা, থার্ড পার্টি বীমা পরিকল্প বাতিল করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই বুঝা যাবে মোটর বীমা পরিকল্প বাতিল করা হয়নি। মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ রহিত করার মাধ্যমে সরকার থেকে যানবাহনের থার্ড পার্টি বীমা তুলে দেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিলো কর্তৃপক্ষ। মোটরযান অধ্যাদেশের ১০৯ ধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা (থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স) গ্রহণ করার যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা আর নেই। তবে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এ প্রতিটি মোটরযানকে বাধ্যতামূলক বীমার আওতায় আনয়নের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে।
৪) (Third Party Insurance) বীমার ক্ষতিপূরণের মান বর্তমান বাজারে বেমানান: অনেকেই মনে করত যে থার্ডপাটি বীমা অর্থ হচ্ছে পুলিশের মামলা থেকে বাচাঁর জন্য এই বীমা করতে হয়, আসলে কথাটি সম্পূর্র্ণ ভুল। দায়যুক্ত বীমাপত্রে (Act. Liability) যে ঝুঁকিগুলো কভার করে থাকে তা হচ্ছে: মোটর সড়ক অ্যাক্ট ১৯৮৩, প্রজ্ঞাপন আকারে জারী হয় ২০০১ সালে: (ক) মৃত্যু: ২০ হাজার টাকা, (খ) গুরুতর আঘাত: ১০ হাজার টাকা, (গ) যে কোন আঘাত: ৫ হাজর টাকা, (ঘ) সম্পত্তির ক্ষতি: ৫০ হাজার টাকা, যা বর্তমান বাজারে একেবারেই অপ্রতুল। যা করা উচিত তা হচ্ছে মৃত্যুজনিত কারণে ২০ হাজারের পরিবর্তে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা, যদি বর্তমান বাজার বিবেচনা করা হয় তবে অনেকেই মত প্রকাশ করছেন যে, কমপক্ষে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ প্রদান ৫ লাখ টাকার কম হওয়া উচিত না বলে মত প্রকাশ করছেন।
৫) বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ: কোনো সন্দেহ নাই যে, বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ যেমন: বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে দেশজুড়ে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে মোট ৭ হাজার ২২১ জন। আহত হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৬ জন। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৭ হাজার ৩৯৭ জন। আর আহতের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১৯৩ জন এগুলো অত্যন্ত উদ্যেগ এবং পরিতাপের বিষয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র নিয়ে এবং জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। গত সাড়ে তিন বছরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২৫ হাজার ১২০ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২০ জন। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৬২ হাজার ৪৮২ জন। এসব দুর্ঘটনার ৯০ শতাংশ ঘটেছে চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও অতিরিক্ত গতির কারণে। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু, তরুণ ও কর্মক্ষম ব্যক্তি। এই দুই শ্রেণিকে দেশের ভবিষ্যৎ ও অর্থনীতির মূলশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
৬) থার্ডপার্টি দায়যুক্ত বীমাপত্র অথবা (Third party Liability) নামে বাধ্যতামূলক মোটর বীমা চালু করা যেতে পারে: ২০ /১২/২০২০ ইং তারিখে এ সংক্রান্ত সার্কুলার নং- নন-লাইফ ৮২/২০২০ জারি করা হয়েছে এবং তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা তথা থার্ড পার্টি বীমা পরিকল্প বাতিল করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তাই দায়যুক্ত বীমাপত্রে (Act. Liability) বীমাটি এর পরিবর্তে থার্ডপার্টি দায়যুক্ত বীমাপত্র অথবা (Third party Liability) নামে বাধ্যতামূলকভাবে মোটর বীমা চালু করা যেতে পারে। তবে প্রিমিয়াম এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ যথাযথ করতে হবে এটা এখন সময়ের দাবী। নিম্নে এই ব্যপারে সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা পোষণ করা যেতে পারেÑ
(ক) বঙ্গবন্ধু সুরক্ষার ন্যায় মোটর বীমা পলিসিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা যেতে পারে: কিছুদিন পূর্বে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা নামে একটি পরিকল্প চালু হয় সেখানে নেট প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয় ১০০ টাকা তার পরিবর্তে ক্যাপিটাল অর্থ হচ্ছে ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ (ক) মৃত্যু (ইনজুরির ৬ ক্যালেন্ডার মাসের মধ্যে) ১০০ ভাগ পরিশোধ, (খ) উভয় চোখের সম্পূর্ণ স্থায়ী ক্ষতি/ উভয় হাত/ উভয় পা/ চোখের এক স্থায়ী ক্ষতি এবং এক অঙ্গ/ এক হাত এবং এক পা (আঘাতের calendar ক্যালেন্ডার ৬ মাসের মধ্যে) ১০০ ভাগ পরিশোধ, (গ) এক চোখের সম্পূর্ণ স্থায়ী ক্ষতি/ এক হাত/ এক পা মোট স্থায়ী ক্ষতি (আঘাতের calendar ক্যালেন্ডার ৬ মাসের মধ্যে) ৫০ ভাগ পরিশোধ, (ঘ) আঘাতের কারণে স্থায়ী সম্পূর্ণ এবং নিখুঁত অক্ষমতা (আঘাতের ১২ ক্যালেন্ডার মাসের মধ্যে)১০০ ভাগ পরিশোধ। একজন গাড়ি শ্রমিক নেতা দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষার ন্যায় মোটর বীমা পলিসিতে প্যাসেঞ্জার এবং ড্রাইভার+হেলপার+ এবং কন্ট্রাক্টরদের প্রিমিয়াম বাড়িয়ে নিয়ে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা যেতে পারে অথবা শ্রম আইন ২০১৮ অনুযায়ী কোনো শ্রমিক মৃত্যু বরণ করলে তার পরিবার ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হয়। কোনো শ্রমিক আহত হওয়ার পর পঙ্গু হলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার করে প্রদান করা অর্থাৎ তদ্রুপভাবে প্রত্যেক পথচারি, হেলপার, ড্রাইভার এবং যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ একই ভাবে প্রদান করা যেতে পারে। তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি প্রদান করার ক্ষেত্রে Act Premium Basic, Motor Tariff অনুযায়ী (More or/ Less) নির্ধারণ করা যেতে পরে।
(খ) সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ প্রদান করা যেতে পারে- উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে (প্রস্তাব) পারে জন প্রতি ১০০ টাকা তার পরিবর্তে ২৫০ নেয়া যেতে পারে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমার ন্যায় ২৫০ টাকা তার পরিবর্তে ক্যাপিটাল অর্থ হচ্ছে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা যেতে পারে। আবার নেট প্রিমিয়ামের ১০০ ভাগ লোডিং দিয়ে প্রিমিয়াম আদায় সাপেক্ষে চিকিৎসা খরচও প্রদান করা যেতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র এত ভয়াবহ যে, সে অনুযায়ী (Third Party Insurance বীমার ক্ষতিপূরণের মান বর্তমান বাজারে একেবারেই বেমানান তাই এর পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। আবার প্রিমিয়ামের ১০০ ভাগ লোডিং দিয়ে গুরুতর আঘাত এবং যে কোনো আঘাতের দরুন কোন ক্ষতি হলেও চিকিৎসা সহ সমগ্র ক্ষতির ক্ষতিপূরণের দাবি করা যেতে পারে।
শ্রম আইন ২০১৮ এর আলোকে মোটর বীমা চালু করার সুফল গুলো নিম্নে সংক্ষিপ্ত ভাবে পয়েন্ট আকারে দেয়া হলো-
১) আর্থিক ভাবে মোটরযান মালিকদের সুরক্ষা হবে।
২) বীমা কোম্পানিগুলো বাড়তি ঝামেলা থেকে সুরক্ষা হবে।
৩) বীমা দাবির পরিমাণ বেড়ে যাবে কিন্তু বীমার প্রতি আস্থা বেড়ে যাবে।
৪) যান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
৫) প্রিমিয়ামের পরিমাণ বাড়লেও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ (অর্থে) অনেক বাড়বে।
৬) প্রিমিয়ামের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে, তবে তৃতীয় পক্ষ অনেক আর্থিক ভাবে সুবিধা পাবে।
৭) তুলনামূলকভাবে বীমা কোম্পানিগুলোর ক্ষতি কম হবে ইত্যাদি।
লেখক: সম্পাদক, বিডি ইন্স্যুরেন্স নিউজ (অনলাইন নিউজপোর্টাল)
Posted ২:৪৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy