চিনি শিল্পের আর্থিক ক্ষতি দূর করতে সরকারি মিলগুলোতে গুণগত মানসম্পন্ন চিনি উৎপাদনে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া চিনি শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে মন্ত্রণালয়কে কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, টাকার অভাবে চাষিদের কাছ থেকে কেনা আখের মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না কর্পোরেশনের ১৫টি চিনিকল। চিনিকলগুলোর কাছে আখ চাষিদের আখের মূল্য বাবদ পাওনার পরিমাণ প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এদিকে উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় মিলগুলো আরও বিপাকে পড়েছে। এসব সংকট থেকে উত্তরণে মানসম্মত চিনি উৎপাদনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

তিনি আরও বলেন, কমিটি চিনিকলগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা যথা সময়ে পরিশোধ করারও সুপারিশ করেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোশনের অধীন সচল চিনিকলসমূহের বার্ষিক উৎপাদন, আয়-ব্যয়, লাভ-লোকসান ও ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অধীন সচল চিনিকল সমূহের বিদ্যমান অডিট আপত্তি সমূহের ওপর, কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বার্ষিক উৎপাদন, বিপণন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অধীনস্থ কেরু অ্যান্ড কোং মিল এবং রেনউইক, যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং মিল ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যথাক্রমে ৫৫০.৭২ লাখ টাকা এবং ১০৬.১১ লাখ টাকা লাভ করে।

বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের এপ্রিল ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত মোট বাণিজিক অডিট আপত্তির সংখ্যা ১৬২৪টি, সাধরণ আপত্তির সংখ্যা ৬৫২টি, অগ্রিম আপত্তির সংখ্যা ৯১৭টি, খসড়া আপত্তির সংখ্যা ১০টি।

বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. জিল্লুল হাকিম, মুহিবুর রহমান মানিক এবং বিশেষ আমন্ত্রণে মো. মজাহারুল হক প্রধান অংশ নেন।

এছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।