নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 637 বার পঠিত
বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বীমা গ্রাহকের মৃত্যুর কারণে বীমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় সেগুলো প্রকাশ করেছে। বীমা গ্রাহকদের সুবিধার্থে এবং দাবি নিষ্পত্তিতে স্বচ্ছতা বাজায় রাখতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
প্রথম ধাপ: দাবি অবহিতকরণ-
মনোনীতক অথবা নিকটাত্মীয় দ্বারা পলিসি নাম্বার, বীমাকৃতের নাম, মৃত্যুর তারিখ, মৃত্যুর কারণ, মৃত্যুর স্থান, দাবিদারের নাম, সম্পর্ক ও বয়স উল্লেখ পূর্বক আবেদন পত্র অথবা কোম্পানির ছাপানো আবেদন ফরম পূরণ পূর্বক জমা দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: ডকুমেন্টেশন-
দাবিপত্রের সাথে যেসব নথি প্রদান করতে হবে-
১। মৃত্যুর প্রমাণ পত্র (মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয় হতে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ)
২। বয়স প্রামাণ পত্র (পূর্বে জমা না দেয়া থাকলে)
৩। স্বত্ব নিয়োগ পত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
৪। পলিসি দলিল
৫। নমিনীর প্রমাণ পত্র
৬। নিয়োগকর্তা প্রদত্ত সনদ যদি মৃত ব্যক্তি কর্মচারী হন।
৭। বীমা কোম্পানির প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য কোন নথি।
পলিসি শুরু থেকে ২ বছরের মধ্যে মৃত্যু হলে অতিরিক্ত যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে-
১। সর্বশেষ অসুখের স্থায়ীত্বের বিবরণসহ হাসপাতাল প্রদত্ত মৃত্যুসনদ (যদি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকে)
২। চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র
ক্ষেত্র বিশেষে মৃত্যুর প্রমাণ পত্র বিভিন্ন ধরনের হবে। যেমন-
১। বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমান কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত সনদ
২। জাহাজ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জাহাজের লগবুক থেকে একটি প্রত্যায়িত প্রতিলিপি
৩। চিকিৎসাধীন থেকে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডাক্তারের সার্টিফিকেট এবং চিকিৎসার রেকর্ড
৪। বিদেশে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস প্রদত্ত সনদপত্র, এয়ারওয়েজ বিলের কপি, আকামার কপি, সে দেশের পুলিশ প্রশাসনের সনদপত্র, সে দেশে কবরস্থ করা হলে তার প্রমাণ পত্র। বিদেশে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সাধারণত তদন্ত করা হয় না। এ সমস্ত ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে দাবি নিষ্পত্তি করা হয়।
৫। দেশে বা বিদেশে দুর্ঘটনা, খুন, আত্মহত্যা বা অজ্ঞাত কারণে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পোষ্ট মর্টেম অথবা পোষ্ট মর্টেম মওকুফের কপি।
তৃতীয় ধাপ: দাবি প্রক্রিয়াকরণ-
সকল ডকুমেন্ট পাওয়ার পর বীমা কোম্পানির যাচাইয়ে কোন ডকুমেন্টে সমস্যা ধরা পড়লে দ্রুত দাবি প্রক্রিয়াকরণের জন্য সেসব প্রমাণাদি অতি দ্রুত সঠিকভাবে উপস্থাপন করা অপরিহার্য।
কোন চাহিদা যথাযথভাবে জমা দেয়া সম্ভব না হলে প্রকৃত এবং গ্রহণযোগ্য কারণ উল্লেখ পূর্বক আবেদন করলে কোম্পানি তা বিবেচনা করতে পারে।
দাবি সংক্রান্ত সকল নথি ও চিঠিপত্র ই-মেইল, ম্যাসেঞ্জার, ইমু ইত্যাদি অনলাইন মাধ্যমে আদান প্রদান করার সুযোগ রয়েছে।
চতুর্থ ধাপ: দাবি নিষ্পত্তি-
সকল ডকুমেন্ট সঠিকভাবে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করবে। দাবি তদন্তের প্রয়োজন হলে এরই মধ্যে কোম্পানি তা সম্পন্ন করবে। দাবি পাওয়ার যোগ্য না হলে না পাওয়ার কারণ উল্লেখ পূর্বক একটি চিঠি মনোনীতককে প্রদান করতে হবে।
আর দাবি পাওয়ার যোগ্য হলে কোম্পানি পলিসির আওতায় প্রদেয় দাবির পরিমাণ হিসাব করবে। এই উদ্দেশ্যে একটি ফরমে বীমা অংক, বোনাস, মনোনীতক, কোম্পানির প্রতি গ্রাহকের সকল দায় ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করবে। গ্রাহকের সকল দায় বীমা দাবির টাকা হতে কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা মনোনীতককে প্রদান করতে হবে।
বীমা দাবি নিষ্পত্তির টাকা ব্যাংক চেক ছাড়াও বিক্যাশ, রকেট এবং বিইএফটিএন এর মাধ্যমে সরাসরি নমিনীর একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়।
Posted ১০:০১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan