নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 523 বার পঠিত
আগামী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবতি বাজেটে নগদ সহায়তার বিপরীতে যে ৫ শতাংশ আয়কর কর্তনের বিধান রয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে।
একইসঙ্গে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে স্থানীয় পর্যায়ে সংগৃহীত পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রদান ও রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
নমসবধআজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএ এসব দাবি জানায়।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি অত্যন্ত বিজ্ঞচিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে শিল্পকে সুরক্ষা প্রদান, তথা শ্রমিকদেরকে সম্ভাব্য আর্থিক অভিঘাত থেকে সুরক্ষার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি মজুরি ঋণ সহায়তা প্যাকেজ প্রদান করেছেন, যার মাধ্যমে শিল্প একটি তাৎক্ষনিক বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি ক্ষুদ্র-মাঝারী শিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ও বৃহৎ শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা প্যাকেজ দুটিও বাণিজ্যিক ব্যাংক সমুহের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে বিতরণ করা হবে।
আমরা কৃতজ্ঞ যে, বাজেট প্রস্তাবনায় তৈরি পোশাক শিল্পখাতে রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ সহায়তাগুালো চালু আছে সেগুলো অব্যাহত রাখার এবং পাশাপাশি অতিরিক্ত ১শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তাও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
‘গতবছর পোশাক শিল্পের আবেদনের প্রেক্ষিতে উৎসে কর কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ হারে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিলো। শিল্পের এই কঠিন সময়ে উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ হারে আরও ৫ বছর অব্যাহত রাখতে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর প্রতি বিজিএমইএ বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।’
বিজিএমইএ বলেছে, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে বিজিএমইএ থেকে জারিকৃত প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে পণ্য খালাস করা হতো। কিন্তু বর্তমান বাজেট প্রস্তাবে বিভাগীয় মূসক কর্মকর্তার দপ্তর হতে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে পণ্য খালাসের এসআরও করা হয়েছে, যা আমদানি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করবে এবং রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা পূর্বের পদ্ধতিতে অর্থাৎ বিজিএমইএ হতে জারীকৃত প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে পণ্য খালাস করার জন্য সংশ্লিষ্ট এসআরও সংশোধন করার অনুরোধ করছি।
অগ্নি নির্বাপক উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের যৌথ প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে পণ্য খালাস করা হতো। কিন্তু বর্তমান বাজেট প্রস্তাবে বিজিএমইএ’র পাশাপাশি বিভাগীয় মূসক কর্মকর্তার দপ্তর হতে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে পণ্য খালাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এসআরও সংশোধন করে পূর্বের ন্যয় শুধুমাত্র বিজিএমইএ’র প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে পণ্য খালাস করা আবশ্যক।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, যখন সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ এর মহামারিতে টালমাটাল, জনজীবন পর্যন্ত বিপর্যস্ত ঠিক সেরকম এক অভুতপূর্ব সংকটের মধ্যে থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট ঘোষণা করলেন।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথপরিক্রমা’ শীর্ষক বাজেটের লক্ষণীয় বিষয় হলো অর্থমন্ত্রী করোনার বাস্তবতার আলোকে গতানুগতিকতার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।
Posted ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan