বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 1126 বার পঠিত
‘সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর কাব্যের ছন্দের মতোই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য, ছিলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের চেতনার মূর্তপ্রতীক। রাজনীতির বর্ণিল জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে।
জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে সাধারণ বীমার সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম তার ১৮ পার্ক রোডে বারিধারার নিজস্ব বাসভবনের ড্রইংরুমে বসে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি পত্রিকাকে ‘ইন্স্যুরেন্সে বঙ্গবন্ধু’ আলোকে স্মৃতিচারণমূলক এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই তুলে ধরেন। তার জীবদ্দশায় সম্ভবত এটিই ছিল তার স্মৃতিচারণমূলক শেষ সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারটি ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে গ্রহণ করেন (ভিডিওসহ) ব্যাংক বীমা অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শামসুল আলম বলেন, এখন তার বয়স ৮৪ বছর। ১৯৩৬ সালের ২১ অক্টোবর জন্ম। এতো বছর পর শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু বলা বড় কঠিন কাজ। যখন আমার বয়স ৮-১০ বছর, স্কুলের ছাত্র আমি। বঙ্গবন্ধু তখনই একজন পলিটিক্যাল লিডার; গ্রেটম্যান। তিনি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সাথে অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি কাজ করেছেন। এর মধ্যে ফজলুল হক মওলা, গোলাম মওলা, সমশের আলী, খোদা বক্স, আলী আহমদ, মুস্তাফিজুর রহমান খান, মাঈদুল ইসলাম।
সমশের আলী এক নম্বর সেলসম্যান। বিজিআইসির প্রতিষ্ঠতা ও চেয়ারম্যান সিলেটের মরহুম আজিজুস সামাদের (এমএ সামাদ) বড় ভাই মহিবুস সামাদ। বর্তমান বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদের বড় চাচা।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে প্রতিষ্ঠিত আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পূর্ব-পাকিস্তান শাখা ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে স্থাপন করে। ঢাকা শহরের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ (তৎকালীন জিন্নাহ অ্যাভিনিউ) (ভাম অ্যান্ড কোম্পানি বিল্ডিং)-এর এমএ হাসান বিল্ডিংয়ের দোতলায় ছিল আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিস। আলফা সাধারণ বীমা ব্যবসা করতো। ডন পত্রিকার মালিক পাকিস্তানের প্রখ্যাত শিল্পপতি, ধনাঢ্য ইউসুফ হারুন ছিলেন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মালিক। বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এই কোম্পানি তাকে পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধান হিসেবে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৬০ সালের ১ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি কোম্পানির চিফ নিযুক্ত হন। তিনিই কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠিত করে দেন। কোম্পানিও বঙ্গবন্ধুর ইমেজকে ব্যবহার করে তার গুড উইলকে কাজে লাগিয়েছে। তাদের অফিস তারাই চালাতো। তিনি ছিলেন নামমাত্র। বঙ্গবন্ধু আলফা ইন্স্যুরেন্সের প্রধান হিসেবে কোম্পানির জন্য ব্যবসা নিয়ে আসতেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূলত উপদেষ্টা। বঙ্গবন্ধুকে অন্য সুযোগ-সুবিধাসহ সম্মানী হিসেবে ২০০০ টাকা দেয়া হতো। তখন তিনি জেনারেল ম্যানেজার। বাড়ি, গাড়ি ফ্রি, বেতন পেতেন ৩০০০ টাকা। গোলাম মওলা বেতন পেতেন ৫০০০ টাকা।
এই অফিসে বসেই বঙ্গবন্ধু ৬ দফা তৈরি করেন। এই চেয়ারে বসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের বীমা পেশায় সম্পৃক্ত করতেন এবং তাদের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতেন। তাই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বীমা পেশারও গুরুত্ব রয়েছে অনেক। ১৯৬৩, ৬৪, ৬৫ সালের কথা, তখন তিনি বিলেতে। ১৯৬৫ সালে যুদ্ধের পরে পূর্ব-পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তখন রাজনীতি আরো ঘনীভূত। তখন বয়স ৩০-৩২ বছর, বিয়ে করিনি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত হবার পর আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সম্পৃক্ততা বাতিল করে দেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীমার প্রাণপুরুষ গোলাম মওলা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানি কোম্পানি ছেড়ে বাঙালিদের নিয়ে গ্রেট ইস্টার্ন কোম্পানি খোলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে চিফ অ্যাডভাইজর হিসেবে গ্রহণ করলেন।
১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করবেন আর তখনই ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে আরসিডি (রিজিওনাল কনফারেন্স ফর ডেভেলপমেন্ট) অনুষ্ঠিত হয়। অতিমাত্রায় ব্যস্ত তখন বঙ্গবন্ধু। তারপরও তিনি আরসিডি কনফারেন্সে যোগ দেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তানের খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ। সেখানে বসেই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিলেন- ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া এবং মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করে ভবিষ্যতে আরো বড় করে কনফারেন্স করবো। আরসিডি কনফারেন্স এতো ছোট পরিসরে একটা অংশকে নিয়ে হবে না। বঙ্গবন্ধুর পাশেই তখন তিনি বসা। তিনি বারবার বলছিলেন, ভারতকে বাদ দিয়ে আরসিডি হয় না, মিনিংলেস। আমরা এটাকে আরও বড় করে করবো। আর এ চিন্তা থেকেই পরবর্তী সার্ক সম্মেলনের উদ্ভব। আর এ থেকেই অনুমেয় তার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। ভিশন তার কত উচ্চতায় ছিল তা প্রমাণ করে। তিনি যা বুঝতেন, তাই অকপটে বলে দিতেন।
বঙ্গবন্ধু যখন গ্রেট ইস্টার্ন চিফ অ্যাডভাইজর এবং চেয়ারম্যান ছিলেন হাফিজুর রহমান। বড় বড় ঝামেলা তিনিই সামলাতেন। তিনি এখানের চিফ অ্যাডভাইজর ছিলেন। কিন্তু তার সাথে কোম্পানির কোনো সরাসরি যোগাযোগ হতো না। তিনি তো অ্যাডভাইজর। তার ব্যবসা কত হতো তা তাকে আমরা বলতাম না। চাপ দিতাম না। ইনকাম ডেসপাস করতাম। তার একটা প্রসিকিউর ছিল। আমাদের যোগাযোগ হতো বঙ্গবন্ধুর পিএ মোহাম্মদ হানিফের সাথে। যিনি ঢাকার সাবেক মেয়র ছিলেন। যত আবদার, সুপারিশ চাওয়া-পাওয়া সব আমরা মোহাম্মদ হানিফের মাধ্যমে চাইতাম। কোথায় কোন ব্যবসা আছে বলতাম। একটু বলে দিলে ব্যবসাটা পেয়ে যাবো। হানিফ ভাই টেলিফোন করে দিতেন। আমাদের লোক গিয়ে ব্যবসা নিয়ে আসতো। এমনকি টাকা-পয়সা, চেক, বেতন সব মোহাম্মদ হানিফের মাধ্যমে পেতাম। এভাবে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন বীমা পেশার সাথে। তিনি ছিলেন বীমা পেশারও নেতা। তখন তিনি (শামসুল আলম) জেনারেল ম্যানেজার এবং গোলাম মওলা এমডি। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে গোলাম মওলা এদেশের বীমাশিল্প সমৃদ্ধকরণে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেন। বীমাকে আরসিডির (ইরান, পাকিস্তান এবং তুরস্কের) ‘রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ অন্তর্ভুক্তকরণের উদ্যোগে তিনি ১৯৭১ সালে লন্ডনে চলে যান।
যখন স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়, তখন গোলাম মওলা লন্ডনে। আমি একা। বীমা পেশার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করতেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের বীমা পেশায় সম্পৃক্ত করতেন এবং তাদের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতেন। বীমা পেশার আড়ালে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় কিনা তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে গোয়েন্দারা। তবে কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
অনেক কর্নেল, আর্মি অফিসার অফিসে আসতো। জানতে চাইতো- কোম্পানিতে শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পৃক্ততার কথা। আমাদের বক্তব্য একদম পরিষ্কার। ইয়েস, হি ওয়াজ ইনভলবিং আওয়ার দ্যা চিফ অ্যাডভাইজর লাইক মেনি আদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। আর্মি অফিসার বলতো, ইটস ওকে। তাই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বীমা পেশারও গুরুত্ব অনেক বেশি।
১০ মার্চ ব্রিটিশের বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু তার ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ বন্ধু গোলাম মওলাকে সাথে করে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন।
১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বীমাকে ন্যাশনালাইজেশন করেন। এটা তার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। ৪৯টি কোম্পানিকে একত্রিত করে পাঁচটি করপোরেশন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের ১৪ মে পাঁচ করপোরেশন ভেঙে দিয়ে জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা নামে দুটি করপোরেশন করেন। গোলাম মওলা তখন অসুস্থ হয়ে ভারতের হাসপাতালে ভর্তি। আমি তখন সাধারণ বীমার অ্যাক্টিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ১৯৭৭ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হই এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম। এরপর জীবন বীমার এমডি করা হলো। সেখানে ছিলাম ২ বছর। তখনই এরশাদ সাহেব প্রাইভেট সেক্টর করলেন। ১৯৮৮ সালে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি করলাম। এ কোম্পানিতে আমি ২০০৫ সাল থেকে ১৭ বছর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলাম। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও থাকলাম। এরপর আমার অবসর জীবন। ওয়ান ইলেভেনের পরের ঘটনা। তখন আমি লন্ডনে। টেলিফোনে সাধারণ বীমার চেয়ারম্যান করার অফার দেয়া হলো। আমি বাংলাদেশে চলে আসলাম। আমি ২০০৭ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সাধারণ বীমার বোর্ড চেয়ারম্যান এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সাল এই ২ বছর জীবন বীমার চেয়ারম্যান ছিলাম। ২০১৬ সাল থেকে আমি আর পেশায় নেই, অবসরে। আমার সাথে বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক সম্পর্ক আছে। আমি শেখ রেহানার আপন খালুশ্বশুর। সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিল্লুর রহমান আমার ভায়রা। আইভি রহমানের ছোট বোন আমার স্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালে। তিনি আমার থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ। জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনুকরণীয় ও চিরস্মরণীয়। তিনি বিশ্বনেতা।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উত্থান ছিল যেমন দাপটের, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ। তার অসাধারণ সাংগঠনিক ক্ষমতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি (শামসুল আলম) ১৯৮৪ সালে একবার পিরোজপুরে গিয়েছিলেন। ছোট্ট জেলাশহরকে তার ভালো লেগেছে। ছিমছাম পরিষ্কার শহর।
বঙ্গবন্ধুর কিছু অজানা কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান তিনি। দু’চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিনি তো মরেননি। তিনি সবসময় জীবিত থাকবেন। তিনি জীবিত থাকলে দেশ আরো উন্নত হতো। মহান আল্লাহ্তায়ালা তাকে বেহেশত নসিব করুন।
পরিশেষে তিনি ইন্স্যুরেন্সের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন দেশে শুধু বীমা ক্ষেত্রেই নয়, সকল ক্ষেত্রে অনেক আগেই উন্নত হতো। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা পিতার ভিশন নিয়েই এগোচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ইন্স্যুরেন্স কাভারেজের মধ্যে আসুক। সব কিছুকেই ইন্স্যুরেন্সের সম্পৃক্ততায় আসুক। জাতির পিতার দিকনির্দেশনাকে তিনি বাস্তবায়ন করবেন।
বঙ্গবন্ধু সকল অর্থেই স্বদেশের প্রতিচ্ছবি। তার মৃত্যু শেষ কথা নয়।
‘এই বাংলার আকাশ-বাতাস, সাগর-গিরি ও নদী
ডাকিছে তোমারে বঙ্গবন্ধু, ফিরিয়া আসিতে যদি…’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এম শামসুল আলমের গ্রহণ করা ‘ইন্স্যুরেন্সে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক স্মৃতিচারণমূলক সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের আগে তিনিও রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ মে ২০২০ তারিখে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
উল্লেখ্য, এম শামসুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অনার্স) এবং এম.কম (ফার্স্ট ক্লাস) সম্পন্ন করে লন্ডন থেকে অ্যাসোসিয়েট অব দ্যা চার্টার্ড ইন্স্যুরেন্স ইনস্টিটিউট (এসিআইআই) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬০ সালে পাকিস্তান ইন্স্যুরেন্স করপোরেশনে ট্রেনিং অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ বীমা করপোরেশনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এছাড়া ২০১৪ সালে জীবন বীমা করপোরেশনে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে সাধারণ বীমা করপোরেশনে ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৮৫-৮৭ সাল পর্যন্ত এশিয়ান রি-ইন্স্যুরেন্স করপোরেশনের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
এম শামসুল আলম অসুস্থ থাকার কারণে তার পক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ‘১ম জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সম্মাননা পদকটি গ্রহণ করেন তার কনিষ্ঠ কন্যা শাকেরা আলম।
Posted ৪:২৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed