এস জেড ইসলাম | সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট | 398 বার পঠিত
বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু দাবীর টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহক। হন্যে হয়ে ঘুরছেন কোম্পানির শাখা থেকে প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত। এরপরও মিলছে না সুরাহা। উপায়ন্ত না পেয়ে পলিসি কর্মকর্তার উপরই ঝাড়ছেন ক্ষোভ। এমনকি কখনও কখনও শারীরিক লাঞ্ছনার শিকারও হতে হচ্ছে তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের রোষ থেকে বাঁচতে প্রধান কার্যালয়ে যোগযোগ করেও দাবীর টাকা পরিশোধে পাওয়া যায়নি কোন আশা। ফলে এবার কোম্পানির বিরুদ্ধেই নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অভিযোগ জানালেন গ্রাহকের হাতে লাঞ্ছনার শিকার কর্মকর্তা। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০০০ সাল থেকে চাকরি করে আসছেন কুমিল্লা মুরাদনগরের সাখাওয়াত হোসেন। প্রথমে মাঠকর্মী হিসেবে যোগদান করলেও নিজ দক্ষতার ফলে ডেপুটি ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন। এ সময়ের মধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার পলিসি সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখেন।
তবে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকেই দাবীর টাকা পেতে সমস্যায় পড়তে শুরু করে তার গ্রাহকরা। সময়মতো দাবির টাকা পাচ্ছিলেন না তারা। অনেক প্রচেষ্টার পর কয়েকজন গ্রাহকের দাবী পরিশোধ করা হয়, তাও দীর্ঘ বিলম্বের পর। অপরদিকে ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে যত গ্রাহকের পলিসি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের অধিকাংশই এখন পর্যন্ত পায়নি দাবির টাকা। ফলে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা হাট-বাজারে এমনকি ওই কর্মকর্তার বাড়ি গিয়ে অনাকাক্সিক্ষত আচরণসহ মারধর পর্যন্ত করেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন জানায়, গ্রাহকদের রোষানল থেকে বাঁচতে অনেক সময় নিজের পকেট থেকে অল্প করে হলেও টাকা দিয়ে তাদের শান্ত রাখতে হয়। না হলে তাদের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। বীমা পেশায় এসে মনে হয় জীবনে বড় পাপ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএ’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে বলেনÑ চলতি বছরের ২৪ মার্চ পর্যন্ত আইডিআরএ’র কাছে সাত বার চিঠি দিয়েছি। গত নভেম্বরে গ্রাহকরা মানববন্ধন করেছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও চ্যানেলে সে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করছে না। এদিকে বীমা গ্রাহকরা আমাকে ধরে। শেষমেষ হয়তো আমাকে আত্মহত্যার পথই বেছে নিতে হবে।
মোট কতজন গ্রাহকের কত টাকা বকেয়া রয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেনÑগ্রাহকতো অসংখ্য রয়েছে। তবে যাদের হাতে হেনস্তা হতে হচ্ছে তাদের সংখ্যা শতাধিক। এসব গ্রাহকদের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানি দ্রুত যদি এসব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করে তবে অন্তত এলাকায় কিছুটা হলেও সুনাম নিয়ে থাকতে পারবো। না হলে যে কি হবে, তা উপরওয়ালাই ভালো বলতে পারে।
Posted ২:৩৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy