নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট | 435 বার পঠিত
করোনাকালীন লকডাউন পরিস্থিতিতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল রাখতে এবং জীবন বীমার গ্রাহকদের দাবী সময়মতো পরিশোধ করতে সকল বীমা কোম্পানিগুলোর প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা কার্যালয় খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ জনবল নিয়ে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কার্যালয়গুলো খোলা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে গতকাল ১৯ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করেছে আইডিআরএ।
এ বিষয়ে জানা যায়, চলমান লকডাউনে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে জড়িত থাকায় নৌ-বীমা পলিসিও এর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর নৌ (কার্গো) কভার নোট এবং পলিসির প্রয়োজন হয়। নির্বিঘ্নে এ কাজ সম্পন্ন করতে সকল সাধারণ বীমা কোম্পানি এবং জীবন বীমার পলিসিহোল্ডারদের মেয়াদপূর্তি ও মৃত্যু দাবি যথাসময়ে পরিশোধের স্বার্থে এ আদেশ দেয় আইডিআরএ। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল বীমা কোম্পানিগুলোর প্রধান কার্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ শাখা কার্যালয় সীমিত আকারে এবং সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়ে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন।
বিআইএ’র চিঠির প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয় আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক এস এম শাকিল আখতার। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পেয়ে এ আদেশ জারি করে আইডিআরএ। লকডাউনের বর্ধিত সময় আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বিআইএ’র প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেনÑ ‘যেহেতু ব্যাংক খোলা আছে, তাই ব্যাংকের আমদানি-রফতানির স্বার্থে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমরা বীমা কোম্পানি খোলার রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি সকল কোম্পানি আইডিআরএ’র নির্দেশনার আলোকে কার্যক্রম অব্যহত রাখবে।’ আগামী ২৮ এপ্রিলের পরও লকডাউন থাকলে সেক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিও খোলা থাকবে কিনা জানতে চাইলে বলেন ‘ব্যাংকের কার্যক্রম চালু রাখতে হলে অবশ্যই বীমা কোম্পানিকেও খোলা রাখতে হবে। তাই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হলে এর সাথে সমন্বয় করে বীমা কোম্পানিগুলোও খোলা রাখা হবে বলে আশা করছি।’ বীমার অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন এমনটা জানালে বলেনÑ ‘আমরা সবাইকে মুভমেন্ট পাস নিয়ে অফিসে আসার বিষয়ে বলেছি। কিন্তু এর সময়সীমা থাকে তিন ঘন্টা। তাই আমরা বীমা কোম্পারি আইডি কার্ডকেই মুভমেন্ট কার্ড হিসেবে বিবেচনায় নিতে পদক্ষেপ নেবো। তাহলে আর সমস্যা হবে না।’
আইডিআরএ’র পরিচালক এস এম শাকিল আখতার বলেনÑ ‘ব্যাংকের সাথে সমন্বয় রেখে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে। আমরা যতটুক জেনেছি ২৮ এপ্রিলের পর লকডাউন তুলে দিতে পারে সরকার। হয়তো ঈদুল ফিতরের আগে আবার দিতে পারে। কিন্তু যদি লকডাউনের সময়সীমা বাড়ে তবে বীমা কোম্পানিগুলো খোলা রাখার সময়সীমাও বাড়ানো হবে।’ অনেক বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসে আসতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেনÑ ‘সরকার ১৮টি ক্যাটাগরির পেশাজীবিদের ক্ষেত্রে চলাচলে বাঁধানিষেধ তুলে নিয়েছে। তবে যে টুকটাক ঘটনা ঘটছে এটা পুলিশের নিচের স্তরের কর্মচারীদের দ্বারাই ঘটছে। আশা করছি দ্রুতই এ বিষয়গুলো সমাধান হবে।’
Posted ৩:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy