নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২২ মে ২০২১ | প্রিন্ট | 346 বার পঠিত
দায়িত্বে থাকাকালে একের পর এক অনিয়ম সম্পৃক্ত থেকে এবং গণমাধ্যমের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে নিজেকে এবং কোম্পানির সম্মানকে করেছিলেন অপদস্থ। পুন:বীমা করতে মানেনি বীমা আইনের বিধি-নিষেধ। হাতিয়ে নিয়েছেন একাধিক প্রণোদনা ভাতা। যদিও ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবত পাচ্ছিলেন না কোন বোনাস। এরপরও বেতন-বোনাসের অতিরিক্ত অর্থ তুলে নিয়েছেন কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। আইডিআরএ তদন্ত ও কোম্পানির অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে এসব অপকর্ম বেরিয়ে আসে। ফলশ্রুতিতে কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু কোম্পানির দেনা-পাওনা মিটিয়ে না দেয়ায় দীর্ঘ একবছর যাবত ছাড়পত্র দেয়নি পরিচালনা পর্ষদ। এবার সেই মোহাম্মদী খানমে সার্ভিস বেনিফিটের নামে কোম্পানি থেকে পুনরায় অর্থ আদায়ে নতুন করে পায়তারায় নেমেছে। এ জন্য কোম্পানির চেয়ারম্যান ও আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান বরাবর চিঠিও পাঠিয়েছেন। এমনটাই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
সূত্র জানায়, গত ২ মে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যানের কাছে সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পরিশোধ করতে আবেদন জানায় কোম্পানির সাবেক এ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। একই চিঠির অনুলিপি পাঠায় বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র কাছে। অথচ তিনি বেতন-ভাতার অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, যা আইডিআরএ তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকি বিষয়টি নিষ্পত্তি না করেই চাকরি থেকে পদত্যাগ করায় দীর্ঘ একবছর যাবত তাকে ছাড়পত্র প্রদান করেনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অনুরোধে মোহাম্মদী খানমকে ছাড়পত্র দেয় পর্ষদ। তাছাড়া কোম্পানির সিইও থাকাকালে তৎকালীন চেয়ারম্যান জাকিউল্লাহ শহীদ ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা পারভিন তিশাকে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নিয়েছেন একাধিক ইনসেনটিভ বোনাস। অথচ ডিএমডি পদমর্যাদার অনেক কর্মকর্তাই পাননি এমন সুযোগ ও বোনাস।
এদিকে সার্ভিস বেনিফিট পেতে তিনি যে আবেদন করেছেন তাও অযৌক্তিক বলে মনে করছেন বীমা বিশ্লেষকরা। তারা বলেনÑ সার্ভিস বেনিফিট মূলত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিক জন্য। যেহেতু শ্রমিকরা স্বল্প আয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাই তাদের ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টি রেখে এই সুবিধাটি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শ্রম আইনের ২ ধারার ৬৫ উপধারা অনুযায়ি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ শ্রম আইনের সুবিধা নিতে পারবেন না। অথচ তাই করছেন মোহাম্মদী খানম। পদে থাকাবস্থায় উচ্চ বেতনে চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন। এবার চাকরি থেকে পদত্যাগের পরও আইন ভেঙ্গে সার্ভিস বেনিফিট চাচ্ছেন। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত পদক্ষেপ নেয়া।
এ বিষয়ে কোম্পানির বর্তমান সিইও বায়েজিদ মুজতবা সিদ্দিকীর সাথে কথা বললে জানানÑ ‘এটি আইনগত বিষয়। যদি আইনে তিনি সার্ভিস বেনিফিট পান তাহলে তা কোম্পানি প্রদান করবে। তবে বিষয়টি আমাদের আইনজীবি ভালো বলতে পারবে।’ অপরদিকে সার্ভিস বেনিফিটের আবেদনের বিষয়ে মোহাম্মাদী খানমের ব্যক্তিগত ফোনে (০১৭৫৫….৭১) কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভি না করে কেটে দেন। এরপর ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তারও কোন প্রত্যুউত্তর দেননি তিনি।
Posted ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২২ মে ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy