নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 412 বার পঠিত
বীমা কোম্পানির নির্ধারিত পরিশোধিত মূলধন ধারণের সময়সীমা ও পদ্ধতি সম্পর্কে নতুন প্রবিধি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। গত ২২ আগস্ট আইডিআরএ’র মাসিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জানা গেছে, বীমা আইনের ২১(৩) ধারা অনুযায়ী, ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এক মাসের মধ্যে জানাতে গত ১২ জানুয়ারি ১২টি লাইফ ও ৩০টি নন-লাইফ কোম্পানিকে চিঠি দেয় আইডিআরএ। পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এমনটা জানিয়ে উপরোক্ত ধারা অনুযায়ী, প্রবিধি প্রণয়নের অনুরোধ জানিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি আইডিআরএকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।
বিআইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, বীমা আইনের ২১ ধারার ১ ও ৩ উপধারায় দুটি প্রবিধির কথা বলা হয়েছে। উপধারা ১-এর প্রবিধিটি গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে প্রণয়ন হলেও উপধারা-৩ এখনো প্রণয়ন করা হয়নি। ফলে বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় বিআইএকে নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই বিধি প্রণয়ন না করা পর্যন্ত আইডিআরএ কর্তৃক গত ১২ জানুয়ারি প্রেরিত চিঠির নির্দেশনাটি স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয় সংগঠনটির তরফে।
চিঠির বিষয়বস্তু আইডিআরএ’র সভায় উপস্থাপন করা হলে এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলে। আলোচনা শেষে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মতামত জানাতে গিয়ে বলেন, যখন কোনো নতুন আইন হয় তখন সে বিষয়ে পুরোনো আইনের পরিবর্তে নতুনটিই কার্যকর হয়। তাই নতুন আইন অনুযায়ী, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণ ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে নতুন প্রবিধি প্রণয়নের ওপরও সম্মতি জানান আইডিআরএ চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বীমা আইনের ২১(৩) ধারা মোতাবেক নতুন একটি বিধি প্রণয়ন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সভার সকলেই একমত পোষণ করেন বলে জানায় সূত্রটি। এ ছাড়া নতুন বিধি প্রণয়নে কর্তৃপক্ষের আইন অনুবিভাগের পরিচালককে দায়িত্ব দেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএ’র মুখপাত্র এস এম শাকিল আকতারের সাথে কথা বলতে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। বেশ কয়েকবার ফোনের পর পুনরায় ফোন করলে ব্যস্ততার কথা জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান। কিন্তু এরপর আর কোনো যোগাযোগ করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমান বীমা আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নিবন্ধিত লাইফ বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকা বাধ্যতামূলক। উল্লিখিত মূলধনের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ প্রদান করতে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy