শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x
সহযোগিতার অভিযোগ আইডিআর’র সাবেক পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে

সিইও’র অনুমোদন পেতে রাশেদ বিন আমানের জালিয়াতির আশ্রয়

বিশেষ প্রতিবেদন   |   রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   1222 বার পঠিত

সিইও’র অনুমোদন পেতে রাশেদ বিন আমানের জালিয়াতির আশ্রয়

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বরখাস্তকৃত ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের নিয়োগ অনুমোদনে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কর্মঅভিজ্ঞতা তথ্যে মিথ্যাচার, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও বীমা আইন ২০১০ এর প্রবিধানমালা ২০১২ অনুযায়ী সিইও’র বয়সের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তাকে সিইও (সিসি) হিসেবে ২ বছর ৮ মাস ও পূর্ণ সিইও পদে ৩ বছরের অগ্রিম নিয়োগ অনুমোদন দেয় আইডিআরএ। এ ঘটনা বীমা সেক্টরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে রাশেদ বিন আমানের নিয়োগ অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলকৃত (চেকলিস্ট অনুযায়ী) নথিতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের তথ্য সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কোম্পানি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কোম্পানির ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে রামপুরা থানায় মামলা করেছেন কোম্পানির এক্সিকিউটিভ মোস্তফা গোলাম ইমরান, (মামলা নং ৪, তাং ১১/০১/২৪। এছাড়া, আরো ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে সোনালী লাইফের পর্ষদ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পিডাব্লিউসি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

রাশেদ আমানের নিয়োগ অনুমোদনের জন্য আইডিআরএ দাখিলকৃত কাগজপত্রে দেখা যায়, আইন অনুযায়ী তার কর্মঅভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর ভুয়া নথি দাখিল করেন। সিইও পদে নিয়োগ পেতে বীমা পেশায় ১৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু রাশেদ বিন আমানের সেই অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের চেকলিস্টে অভিজ্ঞতার মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। উত্থাপিত নথিতে দেখা যায়, তিনি ২০০৫ সালের ২ জুন থেকে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এজিএম (উন্নয়ন) পদে রিক্রুটমেন্ট এবং ব্যবসায়িক উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৯ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে জিএম (উন্নয়ন) পদে এবং ২০১২ সালের ১১ মার্চ আবারো পদোন্নতি পেয়ে ২০১৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সিনিয়র জিএম (উন্নয়ন) পদে একই কোম্পানিতে রিক্রুটমেন্ট এবং ব্যবসায়িক উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেন। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে রাশেদ বিন আমানের চাকুরির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মীর রাশেদ বিন আমান নামে কোন ব্যক্তি মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কর্মরত ছিলেন না। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ ব্যাংক বীমা অর্থনীতির প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও এনসি রুদ্র দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতি প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, রাশেদ বীন আমান নামে কেউ এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেনি, এটা শত ভাগ নিশ্চিত।

 

এদিকে রাশেদ বিন আমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণে দেখা যায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। এছাড়া, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণসহ সেখানে ব্যাংকে চাকুরি করেন বলে তার পরিবার সূত্রে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে তার কর্মঅভিজ্ঞতার বিবরণে দেখা যায়, তিনি ২০১৩ সালের ০১ আগস্ট থেকে কোম্পানির ডিএমডি এন্ড সিএফও পদে যোগদান করে রিক্রুটমেন্ট এবং ব্যবসায়িক উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেন। কোম্পানির শুরু থেকে তিনি কাগজে কলমে সিএফও পদে থাকলেও কখনো তিনি সিএফও’র দায়িত্ব পালন করেননি। যা আইডিআরএ দাখিলকৃত তার সিভিতে কর্মঅভিজ্ঞতার বিবরণে উঠে এসেছে। তিনি কোম্পানিতে সবসময় রিক্রুটমেন্ট এবং ব্যবসায়িক উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তার কর্মঅভিজ্ঞতার বিবরণে উল্লেখ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সালের ০১ জুলাই থেকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্বভার গ্রহণ করে আইডিআরএ’র তৎকালীন কিছু অসাধু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সহায়তায় ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ মাস বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ৮০, উপধারা-৪ লঙ্ঘন করে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখেন।

এদিকে, বীমা আইন-২০১০ এর ধারা ৮০ উপধারা ৪ এ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে- বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ একাধারে ৩ মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাবে না, এখানে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত সময়সীমা আরো ৩ মাস বাড়াতে পারবে। এই আইন অনুযায়ী রাশেদ বিন আমানকে দীর্ঘদিন ধরে ১ম ধাপে ১৮ মাস (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) এবং দ্বিতীয় ধাপে ২ বছর ০৮ মাস সিইও (সিসি) হিসেবে নিয়োগ অনুমোদন দিয়ে আইন পরিপালন না করার অপসংস্কৃতি চালু করেন তৎকালীন আইডিআরএ’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা।

এছাড়া বীমা আইন ২০১০ এর অপরাধ ও দণ্ড অধ্যায়ের ধারা ১৩১-এ দলিল, বিবরণী, হিসাব, রিটার্ন ইত্যাদিতে মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা আছে, এই আইনে রাশেদ বিন আমানসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তি প্রদানের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

আইডিআরএ দাখিলকৃত নথিতে রাশেদ বিন আমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের বিবরণে গোজামিলের প্রমাণ পাওয়া যায়। মাধ্যমিকের ফলাফলে তিনি এ গ্রেড পেয়েছেন বলে উল্লেখ করলেও উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তরের ফলাফলের বিবরণে কোন গ্রেড উল্লেখ করা হয়নি। শুধু সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, মাধ্যমিকে পাসের সন ২০০১ উল্লেখ করে আবার উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান (বৃটিশ কাউন্সিল থেকে উত্তীর্ণ) ২০০২ সালে সম্পন্ন করেছেন বলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন। পাশাপাশি তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের কোন সনদ আইডিআরএ জমা দেননি। এছাড়া তিনি ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করার বিবরণ তুলে ধরলেও একই সময়ে বাংলাদেশের মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ২০০৫ সাল থেকে এজিএম পদে কর্মরত থাকার নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এদিকে, রাশেদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট ভুয়া বলে দাবি করেছেন সোনালী লাইফের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক।

এছাড়া, রাশেদ বিন আমানের জন্ম ১৯৮৪ সালের ৩১ আগস্ট, সেই হিসেবে তার বয়স ৪০ বছর পূর্ণ হবে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট। অথচ আইডিআরএ ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল চিঠির মাধ্যমে (স্মারক নং:৫৩.০৩.০০০০.০৩২.১১.০১০.১৯.২১) তাকে বিশেষ বিবেচনায় অর্থাৎ ২০১২ সালের সিইও নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালার অনেকগুলো শর্ত ভঙ্গ করে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৭ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রিম সিইও পদে নিয়োগ অনুমোদন দেয়।

এদিকে, আইন অনুযায়ী মীর রাশেদ বিন আমানের বয়স ৪০ বছর না হওয়া সত্ত্বেও তার অগ্রিম নিয়োগ অনুমোদন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে তৎকালিন পরিচালক শাহ্ আলম আইন পরিপালনের পরিবর্তে আইন অবমাননার সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছেন বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা-২০১২ অনুযায়ী সিইও হিসেবে নিয়োগলাভের জন্য প্রার্থীর অযোগ্যতায় স্পষ্ট করে বলা আছে প্রার্থীর বয়স ৪০ বছর পূর্ণ না হলে বা ৬৭ বৎসর পূর্ণ হলে তিনি সিইও হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই প্রবিধানমালায় কোথাও অগ্রিম অনুমোদনের নির্দেশনা নেই।

খাত সংশ্লিষ্টরা আরো বলেন, রাশেদ বিন আমানের বয়স ৩৮ হওয়ার পরেও সিইও (সিসি) হিসেবে আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে অনুমোদনের পাশাপাশি তাকে অগ্রিম মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ অনুমোদন দিয়ে বীমা খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন আইডিআরএ’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন ও সাবেক পরিচালক (উপসচিব) মো. শাহ আলম সিন্ডিকেট। এই নিয়োগ অনুমোদন নিয়ে বড় ধরণের আর্থিক লেনদেনের মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, তৎকালীন আইডিআরএ’র সাবেক পরিচালক (উপসচিব) মো. শাহ আলম এর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করলে এসব অপকর্মের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে এবং বর্তমানে আইডিআরএ দায়িত্বরত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইমেজ ফিরবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে তারা জানান।

এদিকে রাশেদ বিন আমানকে অবৈধভাবে নিয়োগ অনুমোদনের বিষয়ে আইডিআরএ’র তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তৎকালীন পরিচালক (উপসচিব) মো. শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। অনেক কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা চলতি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আইন আছে ঠিকই কিন্তু আইন পরিপালন হচ্ছে না। আর বীমা খাতে অহরহ আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। সিইও (সিসি) সংক্রান্ত আইনের নির্দেশনা পরিপালনে কঠোর হওয়ার জন্য আপনারা লিখা-লিখি অব্যাহত রাখেন। আপনাদের ভূমিকা আরো জোরদার হলে বীমা খাতে আইন পরিপালনে সকলে সজাগ হওয়ার পাশাপাশি সিইও (সিসি) হিসেবে দীর্ঘদিন কোম্পানির শীর্ষ পদে অবস্থানের অবসান ঘটতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। শাহ্ আলম আরও বলেন, আমি বর্তমানে যুগ্মসচিব পদে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ে কর্মরত আছি। অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নেককাজে শরীক হতে অনেক কোম্পানি আমার পারিবারিক কবরস্থান সংস্কারে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। এখন যারা অভিযোগ করছেন, তারা স্ট্যানবাজি করছেন।

আইডিআরএ দাখিলকৃত নথিতে ভুল তথ্য ও মিথ্যাচারের বিষয়ে জানতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বরখাস্তকৃত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) রাশেদ বিন আমানকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও এ বিষয়ে তিনি কোন সাড়া দেননি।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।