নিজস্ব প্রতিবেদক: | সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 1313 বার পঠিত
চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানিগুলো শুরু থেকেই প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের কারনে নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের। কোম্পানির পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘পেপার লেস’ কার্যক্রমের আওতায় ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়্যার চালু করেছে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকেই আবার এইসব সফটওয়্যারের পাশাপাশি চালু করে মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক সেবা। তবে বীমার প্রধান গ্রাহক দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর, শ্রমিক ও অনেক নিম্মবিত্ত মানুষই ইংরেজী জ্ঞান তেমন না থাকায় এর ব্যবহার থেকে দুরে ছিলেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই দেশে প্রথমবারের মত বাংলায় মোবাইল অ্যাপ চালু করলো জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ফলে এখন যে কেউ তার মোবাইল থেকে সহজেই জেনে নিতে পারবেন প্রিমিয়াম সম্পর্কিত তথ্য, কোম্পানির বিভিন্ন পলিসি বা পরিকল্প, উন্নয়ন কর্মকর্তার তথ্য, প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন নাম্বারসহ প্রিমিয়ামের টাকা জমা ও ব্যাংক হিসাব পর্যন্ত দেখতে পারবেন এই অ্যাপে। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকর্তারা তাদের অধীনস্ত কর্মকর্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
জানা গেছে, প্রিমিয়াম ক্যালকুলেটর, বীমা পরিকল্প, ব্যাংক একাউন্ট, উন্নয়ন কর্মকর্তা, গ্রাহক, ওয়েবসাইট, পেমেন্ট, বীমা ক্রয় ও যোগাযোগ নামে ৯টি বাটন রয়েছে এই অ্যাপে। এসব বাটন ব্যবহার করে নির্ধারিত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বীমা গ্রাহক ও উন্নয়ন কর্মীরা। দেশের যে কোন প্রান্তের যে কেউ এই অ্যাপ ব্যবহার করে জেনিথ ইসলামী লাইফের সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এজন্য প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন এবং মেমরিতে কমপক্ষে ৮.৪ মেগাবাইট ফ্রি স্পেস থাকতে হবে। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যাপটির বিষয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। গ্রাহকসেবা ত্বরান্বিত করতে আমাদের কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াচ্ছি। বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা অ্যাপটি এমনভাবে ডিজাইন করেছি যাতে উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং বীমা গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় সব সেবা এখান থেকেই নিতে পারেন। গ্রাহক নিজেই প্রিমিয়াম হিসেব করে অনলাইন মাধ্যমে তা পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়াও শুধু পলিসি নম্বর দিয়েই যে কোন গ্রাহক তার স্টেটমেন্ট জানতে পারবেন।
এর ফলে কোম্পানির কার্যক্রমে স্বচ্ছতার পাশাপাশি অসাধু বীমা কর্মীদের প্রতারণার সুযোগ কমে যাবে। অন্যদিকে কমে আসবে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়। প্রযুক্তির এমন ব্যবহারে বীমা খাতের যে ইমেজ সংকট রয়েছে তাও দূর হবে বলে প্রত্যাশা এই কর্মকর্তার।
Posted ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed