বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 566 বার পঠিত
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবলোপন করা ঋণের টাকা আদায় করতে পারছে না। যদিও ঋণ আদায়ের জন্য প্রতি বছর বড় লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
খেলাপি ঋণের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মন্দ ও ক্ষতিজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেলে ব্যাংক ওই ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) রেখে ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। গ্রাহকের সঙ্গে মন্দ মানের খেলাপি ঋণকে ব্যাংকের স্থিতিপত্র থেকে আলাদা রাখা হয়। একে ঋণ অবলোপন বলে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) অবলোপন করা ঋণ থেকে ২১১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আদায়ের লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু জুলাই থেকে গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি মাত্র ৭১ লাখ টাকা আদায় করতে পেরেছে। একইভাবে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ঠিক করেছে, চলতি অর্থবছরে ১৫৩ কোটি টাকা আদায় করবে। কিন্তু আদায় করতে পেরেছে মাত্র ৮১ লাখ টাকা। আর বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইসিবি ২৬৩ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নিয়েছে। সাড়ে চার মাসে প্রতিষ্ঠানটি এক টাকাও আদায় করতে পারেনি। এছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৪ কোটি টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় করেছে ১৯ লাখ। এক লাখ টাকা আদায় করেছে আনসার ভিডিপি ব্যাংক, যার আদায়ের লক্ষ্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সম্প্রতি বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক সভা করে। সভায় এসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অনুযায়ী ঋণ আদায় এবং বিভিন্ন ধরনের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ উদ্যোগের অভাবেই ঋণ আদায় এবং মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে মনে করছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের ওপর রিট মামলা ও অর্থঋণ আদালতে মামলার পাহাড় জমেছে। চলতি অর্থবছরে বিকেবি ১০৪টি, রাকাব ৪০টি, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ১৬টি ও আইসিবি ২৪টি রিট নিষ্পত্তির লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৫টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে এই চার প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে অর্থঋণ আদালতে মামলার নিষ্পত্তির অবস্থা আরও খারাপ। বিকেবি এক হাজার ৩৪০টি, রাকাব ৫ হাজার ৪৯৪টি, কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৯৯টি ও আইসিবি ১০০টি অর্থঋণ মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান মোট ২৯৪টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে, যার মধ্যে ২৫৭টি রাকাবের। প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
Posted ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed