নিউজ ডেস্ক: | শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 480 বার পঠিত
মহামারী করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৭০ কোটি ডলার জরুরি সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। এরপরই এমন তথ্য দিল সংস্থাটি।
এ বিষয়ে আইএমএফের ঢাকা প্রতিনিধি র্যাগনার গুডমান্ডসন বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে সহায়তা চেয়েছে, সেটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি।
তিনি বলেন, জরুরি এই সহায়তার অর্থ হলো- অর্থনীতিকে সচল রাখা, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ কমানো এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। সমন্বিত এসব সহায়তায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল করার মাধ্যমে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনায় ঘোষণায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিতে ২৩৫ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ দেবে। এক্ষেত্রে সুদের হারও হবে ৯ শতাংশ। এই সুদের ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসবে পরিশোধ করবে।
শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ৩৫০ কোটি, বস্ত্র খাতের জন্য ৬০ কোটি প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্সিংয়ে ৬০ কোটি ডলারের তহবিল করার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রপ্তানি সহায়তার পরিমাণও ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলার করা হয়।
কিন্তু প্রণোদনা বাস্তবায়নে অর্থের ঘাটতি কাটাতে এবং বাজেট সহায়তার জন্য এই উন্নয়ন সহযোগীর কাছে সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ।
Posted ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy