বিবিএ নিউজ.নেট | সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 427 বার পঠিত
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা, যা বাজারের দেশি পেঁয়াজের তুলনায় অর্ধেক। এরপরও ক্রেতাদের চাহিদা কম। কয়েকদিন আগেও ট্রাকের সামনে লম্বা লাইন দেখা গেলেও এখন আর নেই কোনও ভিড়। অনেক স্থানেই ডেকে ডেকে পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করছেন পরিবেশকরা।
হাঁকডাকে দু-একজন ক্রেতা এলেও তাদের আগ্রহ ডাল অথবা তেলে। কিন্তু পরিবেশকদের শর্ত শুনেই ফিরে যাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ না নিলে অন্য কোনও পণ্য বিক্রি করছেন না পরিবেশকরা। অর্থাৎ যেকোনও পণ্য কিনলে সঙ্গে পেঁয়াজ নিতে বাধ্য করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা এলাকার টিসিবির ডিলার মাসুদ পারভেজ বলেন, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজও বিক্রি করার চেষ্টা করছি। পেঁয়াজ নিয়ে আমরা লোকসানে পড়ে গেছি। আর বরাদ্দের পেঁয়াজ শেষ না হলে টিসিবি থেকে অন্য পণ্য দেয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির ট্রাকসেল ঘুরে দেখা গেল, ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট থেকে কেউ পেঁয়াজ উঠিয়েছেন তিনদিন কেউবা পাঁচদিন আগে। এরপরও বিক্রি করতে পারেননি। ফলে কারও কারও পেঁয়াজে পচন ধরেছে। অপেক্ষাকৃত ভালো পেঁয়াজ বাছাই করে তা অন্য পণ্যের সঙ্গে ‘প্যাকেজ আকারে’ বিক্রি করছেন পরিবেশকরা।
ক্রেতারা জানান, টিসিবির পেঁয়াজগুলোতে পচন ধরেছে, মানও ভালো না। অন্যদিকে বাজারে দেশি পেঁয়াজের ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ফলে টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্রেতারা।
এদিকে, পেঁয়াজের পাশাপাশি টিসিবির ট্রাকে মাঝারি দানার এক কেজি ডালের দাম ৫০ টাকা, যা বাজারের চেয়ে ৩০ টাকা কম। পাঁচ লিটারের এক বোতল তেলের দাম ৪০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে ক্রেতার সাশ্রয় ১৫০ টাকার মতো। এছাড়া এখন নেই চিনির সরবরাহ। অন্যদিকে অধিকাংশ ট্রাকসেলে তেল পাওয়া যায়নি।
Posted ৪:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy