আদম মালেক | সোমবার, ১০ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 998 বার পঠিত
সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য ব্যাংকগুলোর দেয় সুদহারে ব্যাপক বৈষম্য। কোনো কোনো ব্যাংকের সুদহার তলানিতে। এ হিসাবে সবচেয়ে কম সুদ দেয় বিদেশী সিটি ব্যাংক এনএ আর সর্বোচ্চ সুদ দেয় মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড। সিটি ব্যাংক এন এ সঞ্চয়ী হিসাবে সুদ দেয় মাত্র দশমিক ৪০ শতাংশ আর সঞ্চয়কারীরা মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের কাছ থেকে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ হারেও সুদ পায়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বিদেশী ব্যাংকগুলোর কোনো তারল্য সঙ্কট নেই। এসব ব্যাংকের বর্তমানে পর্যাপ্ত মূলধন রয়েছে। চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আরও আমানত সংগ্রহ করতে পারে। আরেকটি সূত্র জানায়,কালো টাকার মালিকরা এ এসব ব্যাংককে নিজেদের জন্য নিরাপদ মনে করে। এ কারণে তাদের অর্থও আসে এসব ব্যাংকে। তাই কোনো কোনো বিদেশী ব্যাংকের আমানতের চাহিদা কম। চাহিদা কম থাকায় সুদহারও কম। আবার দেশী অনেক ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট রয়েছে। এসব ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। আমানতের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান থাকায় আমানতকারীরা এসব ব্যাংকে সঞ্চয় করতে চায় না। এজন্য তাদের আমানতের জন্য বেশী সুদ হাঁকাতে হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সঞ্চয়ী হিসাবে সবচেয়ে কম সুদ দেয় রুপালী ব্যাংক লিমিটেড আর সর্বোচ্চ সুদ দেয় এমএমবিএল। সঞ্চয়ে রুপালী ব্যাংকের সুদহার ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ আর বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৪ শতাংশ।
বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সিটি ব্যাংক এন এর সঞ্চয়খাতে সুদহার সবচেয়ে কম আর এইচএসবিসির সুদহার সবচেয়ে বেশী। সিটি ব্যাংক এন এ এর সুদহার দশমিক ৪০ শতাংশ আর এইচএসবিসি ৯ শতাংশও সুদ প্রদান করে থাকে।
দেশী বেসরকারী ব্যাংকের মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সুদহার ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ আর মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের সুদহার ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম বলেন, সিটি ব্যাংক এন এ এর ন্যায় বিদেশী ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা বেশী। তাদের ধারণা সুদহার কম হলেও সঞ্চয় নিরাপদ। এজন্য এসব ব্যাংক কম সুদে আমানত পায়
Posted ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১০ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed