বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট | 494 বার পঠিত
১০০ কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে এমন ঋণগ্রহীতাদের বিশেষ নজরদারির মধ্যে রেখে ঋণ আদায় ত্বরান্বিত করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। তা সেই ঋণখেলাপি অবস্থায় থাকুক আর নিয়মিতই থাকুক। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি থাকায় এমন একটি নির্দেশনা দেওয়া বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে কবে নাগাদ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে, কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
গত ১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে পর্ষদ সদস্যদের নিয়ে সভা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। ওই সভায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় অংশ নেওয়া একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই সভায় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার আলাদা কোনো বিষয় আলোচ্যসূচিতে ছিল না, আলোচনাও হয়নি।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পাঁচ শতাংশের ওপরে রয়েছে, তাদের চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণ পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে পর্ষদ সদস্যদের মতামত নেওয়ার জন্য ওই সভায় তোলার কথা হচ্ছিল।
একই সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার ওপরের ঋণগ্রহীতাদের বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখার বিষয়েও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই সভায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, যা ওই সময় পর্যন্ত ব্যাংক খাতের বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ঘোষণা সত্ত্বেও খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় চিত্র ভাবিয়ে তোলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। গত মাসে খেলাপি বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে একটি কমিটিও করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই কমিটির সদস্যরা এরই মধ্যে এক দফা বৈঠক করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অতিমাত্রায় খেলাপি ঋণ থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে খেলাপি ঋণ পরিশোধে বিশেষ নীতিমালার সার্কুলার দুই দফা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা থাকলেও গত সপ্তাহে মঙ্গলবার চেম্বার আদালত ওই স্থগিতাদেশের ওপর আগামীকাল ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ৩০০ শীর্ষ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব ঋণখেলাপির কাছে পাওনার পরিমাণ ৭০ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা এবং শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ৫২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।
সেই সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা বা কম পাওনা থাকাদের তালিকাও প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ তালিকায় দেখা যায়,
২০০৯ সাল থেকে ১৪ হাজার ৬১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। খেলাপি হয়েছে এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।
Posted ১২:২৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed