শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

প্রবাসীদের ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণে জটিলতা!

বিবিএনিউজ.নেট   |   রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   488 বার পঠিত

প্রবাসীদের ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণে জটিলতা!

প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সরকার। কিন্তু আজ পর্যন্ত ব্যাংকটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বড় কোনো ব্যাংকে ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ খুলতে পারেনি। তাই এ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছে না প্রবসীরা। অথচ ব্যাংকটি কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহের প্রথমেই রয়েছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে। রেমিট্যান্স আহরণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত, দ্বিতীয় চীন ও তৃতীয় অবস্থানে মেক্সিকো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের সাতটি দেশ থেকে ৯৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠান প্রবাসীরা, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই সঙ্গে মোট রেমিট্যান্সের ৫৯ শতাংশই আসে আরবের এসব দেশ থেকে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্তাব জাবিন বলেন, মানি লন্ডারিং আইন হওয়ার ফলে ২০১৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ভালো ব্যাংকের সাথে ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ (বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট) করতে গেলে অনেক কমপ্লায়েন্সের ব্যাপার রয়েছে। পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকটি অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে না, তা-ই ব্যাংকটির সঙ্গে ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ খুলতে আগ্রহী হয় না আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো। কারণ বিদেশের ব্যাংকগুলো ব্যবসায়িক বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয় বেশি।

তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যাংকের সঙ্গে ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ খুললে ওই ব্যাংককে একটা মোটা অংকের অর্থ দিতে হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক না হওয়ায় এ ব্যয়ভার বহন করা এ মুহূর্তে কঠিন। সব মিলিয়ে এখনও ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ করাটা হয়ে ওঠেনি।

মাহ্তাব জাবিন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সঙ্গে ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট’ খোলার জন্য প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছি, তবে সেটা করা সম্ভাব হয়নি। আমরা আশা করছি, আমাদের ব্যাংকের কলেবর আরও বড় হবে। তখন আমরা রেমিট্যান্স আনাসহ অন্যান্য কাজ করতে পারব।

‘বিষয়টি বাস্তবায়নে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু এটা প্রবাসীদের জন্য ডেডিকেটেড ব্যাংক, সেহেতু এ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স আনার প্রক্রিয়া থাকা উচিত’- মন্তব্য করেন তিনি।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকটির অভিলক্ষ্য হচ্ছে- প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ী পন্থায় নিরাপদে ও দ্রুততার সঙ্গে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা প্রদান এবং বিদেশগামী ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে স্বল্প সময়ে ‘অভিবাসন ঋণ’ ও ‘পুনর্বাসন ঋণ’ প্রদান।

ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৪০০ বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসন ঋণ দিয়েছে। ব্যাংকটি মাত্র তিনদিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে। এছাড়া বিদেশ ফেরত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে ৬৩টি শাখার মাধ্যমে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সব জেলায় ব্যাংকের শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পাঁচ হাজার ৫৯২ জনকে ৭১ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাক ঋণ দেয়। একই অর্থবছর ৮২ শতাংশ ঋণ আদায় হয়। আদায়ের পরিমাণ ৬৮ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ১০৬ টাকা।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।