নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৯ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 517 বার পঠিত
আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৮ সালের ১৭ মে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। যা ব্যবহারের জন্য দেড় বছর বা ২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। কিন্তু সেই সময় অনেক আগে পার হয়ে গেলেও ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৩ টাকা বা ৭৭.১২ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিও ফান্ডের উপর ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার সুদজনিত অর্থ অব্যবহৃত রয়েছে।
শুধুমাত্র আইপিও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফি, প্রসপেক্টাস প্রকাশ ইত্যাদি ব্যয়গুলো পরিশোধ করেছে।
ইন্ট্রাকোর আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহিত অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের অফিস ভবন, সাবস্টেশন, এলপিজি স্যাটেলাইট প্লান্ট, সিলিন্ডার, মালবাহি গাড়ী ইত্যাদি কাজ পরিচালনার জন্য আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও অফিস ভবন নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৯৯.৮৮ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। এছাড়া সাবস্টেশনের ১০০ শতাংশ, মালবাহি গাড়ির ১০০ শতাংশ, সিলিন্ডারের ৯৫.৯৭ শতাংশ ও এলপিজি স্যাটেলাইট প্লান্টের ৫৭.০৩ শতাংশ বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার অসম্পন্ন রয়েছে।
এদিকে নির্দিষ্ট সময় শেষে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ফান্ড ব্যবহারের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এখন প্লান্টের পরিবর্তে কুমিল্লায় নির্মিত একটি নতুন এলপিএফ সিলিন্ডার উৎপাদনকারী কারখানা কিনতে চায়। যা শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনক্রমে কেনা হবে বলে গত ২৮ অক্টোবর ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানায়।
উল্লেখ্য ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং আইপিওতে সাধারন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে ইস্যু করা হয়। আর এই শেয়ার ইস্যুর লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১৮ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
Posted ৪:৩১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan