নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 345 বার পঠিত
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যদের সহজ শর্তে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেবে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক।
বুধবার (২৪ জুন) ই-ক্যাব ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতোমধ্যে ই-কমার্স সেক্টরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমি মনে করি এটা সূচনা মাত্র। ভবিষ্যতে সব ব্যবসাই ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাবে। ই-কমার্সকে আমাদের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে করোনাভাইরাস। খাতটি যেহেতু পুরোপুরি মেধাভিত্তিক সে কারণে এই ব্যবসার জন্য আলাদা করে কেউ জামানত সংগ্রহ করে রাখে না। তাই অনেক উদ্যোক্তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেন না।
প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বা ব্যান্ডউইথ খাদ্যের মতো অতিপ্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে প্রাইম ব্যাংকের এ উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।
প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ব্যাংকিং ব্যবসায়ও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। পরবর্তীতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর হবে। এ বিষয়টি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে করোনা। গত তিন মাস ধরে আমরা সবজি বাজারও ই-কমার্সের মাধ্যমে করছি। টেলিমেডিসিন থেকে শুরু করে সব ধরনের করোনা সামগ্রী এখন ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাবেচা হচ্ছে। তাই এ খাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় হবে এ খাত। এছাড়া ব্যাংকিং ব্যবসায় জামানত নিয়ে ঋণ দেয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৮ হাজার কোটি টাকার ই-কমার্স মার্কেট রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এর ৮৫ শতাংশই বন্ধ। বাকি ১৫ শতাংশ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং করোনা পণ্যের ব্যবসা করছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই নারী। ভবিষ্যতে এই বাজার আরও বড় হবে। এই খাত থেকে আগামী এক বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা করেন তিনি।
শমী কায়সার আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে খাতটি এখন প্রতি মাসে ৬৬৬ কোটি টাকা লোকসান করছে। ই-ক্যাব জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৩০ লাখ ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্রেতা রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরে এই ক্রেতার সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়াবে।
এই চুক্তির ফলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল (সিসি, ওডি ও ডিমান্ড লোন), ফিক্সড অ্যাসেট ক্রয় ও ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের জন্য টার্ম লোন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সল্যুশন (এলসি এলএটিআর, আইডিবিপি), ব্যাংক গ্যারান্টি, ওয়ার্ক অর্ডার ইত্যাদি অর্থায়ন সুবিধা পাবে। ডিপোজিট সুবধিা ও ই-ট্রানজেকশনের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং-অ্যালটুচিড সার্ভিস পাবে। লোনের জন্য দুই বছররে ব্যবসার অভিজ্ঞতা ও ই-ক্যাবের সুপারিশ পত্রের প্রয়োজন হবে। ই-ক্যাবের সদস্যবৃন্দ যাতে বাসায় বা অফিসে বসেই অনায়াসে লোনের আবেদনসহ যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য প্রাইম ব্যাংক রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগ করেছে।
Posted ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan